আবহাওয়ার পূর্বাভাস জানানোর বেসরকারি প্ল্যাটফর্ম বাংলাদেশ ওয়েদার অবজারভেশন টিম -এর এক ফেসবুক পোস্টে জানানো হয়েছে, আজ দেশের অধিকাংশ এলাকায় বজ্রবৃষ্টির জন্য অনুকূল পরিবেশ রয়েছে। পোস্টে বলা হয়েছে: “আমাদের এক্সপেরিমেন্টাল কে-ইনডেক্স মডেল অনুযায়ী আজ দেশে৪র অধিকাংশ এলাকায় বজ্রবৃষ্টির অনুকূল পরিবেশ রয়েছে। সুতরাং ,আগামী ২৪ ঘণ্টায় দেশের অধিকাংশ এলাকায় বৃষ্টি ও বজ্রবৃষ্টির বেশ সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে।
এদিকে আজ মঙ্গলবার সকালে ৪৫ মিনিটের বৃষ্টিতে ময়মনসিংহ নগরীর বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন নগরবাসী। যদিও সিটি করপোরেশন বলছে, দ্রুত পানি নেমে যাবে।
মঙ্গলবার (২০ মে) সকাল পৌনে ১০টা থেকে ময়মনসিংহে ভারি বৃষ্টিপাত শুরু হয়। চলে সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত। এ বৃষ্টি নগরীর বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতা দেখা দেয়।
স্থানীয়রা জানান, ভারি বর্ষণে নগরীর প্রাণকেন্দ্র সি কে ঘোষ রোডের ছায়াবানী সিনেমা হলের সামনে থেকে ত্রিশাল বাসস্ট্যান্ড, ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল প্রাঙ্গণ, সিটি করপোরেশনের বাশবাড়ি কলোনি, কাচিঝুলি গোলাপজান রোড, আনন্দ মোহন কলেজ রোড ও মীরবাড়ীসহ বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। পৌনে একঘণ্টার বৃষ্টি বিভিন্ন এলাকার মানুষকে ভোগান্তিতে ফেলেছে। আকাশ মেঘাচ্ছন্ন। যেকোনো সময় আবারও বৃষ্টির সম্ভবনা রয়েছে। বিরতিহীনভাবে কয়েকদিন বৃষ্টি হলে নগরবাসী চরম ভোগান্তিতে পড়ার সম্ভবনা রয়েছে।
এছাড়া কুড়িগ্রামে অতি ভারী বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকায় শহর ও গ্রামের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। জেলা শহরের ড্রেনেজ ব্যবস্থা ভালো না হওয়ায় সরকারি বিভিন্ন অফিস, আদালত ও আবাসিক এলাকায় জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। এতে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন হাজারও মানুষ।
সোমবার (১৯ মে) রাত ৯টায় কুড়িগ্রাম জেলায় বৃষ্টি শুরু হয়ে মঙ্গলবার (২০ মে) দুপুর পর্যন্ত ভারি বৃষ্টিতে জেলার নদ-নদীগুলোর পানি বৃদ্ধির পাশাপাশি শহরের বিভিন্ন রাস্তাঘাট পানিতে তলিয়ে গেছে।
মঙ্গলবার (২০ মে) সকাল থেকে কুড়িগ্রামের জজকোর্ট মোড় এলাকা থেকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, কুড়িগ্রাম পৌর বাজার থেকে হাসপাতালপাড়া সড়ক, ফায়ার সার্ভিস, হাটিরপাড়, ভকেশনাল মোড় এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। শহরের বিভিন্ন রাস্তায় জমে থাকা হাঁটুপানির মধ্য দিয়ে চলাচল করছে মানুষ। এছাড়া রাস্তায় পানি জমে থাকায় অনেক দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। জেলা প্রশাসন কার্যালয়, ফায়ার সার্ভিস স্টেশন, পুলিশ লাইন্স, জজকোর্টের মতো গুরুত্বপূর্ণ দাপ্তরিক কার্যালয়ের মাঠে পানি জমেছে।
সিলেট নগরে মঙ্গলবার (২০ মে) ভোর থেকে শুরু হওয়া ভারি বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে অন্তত ২০টি এলাকায়। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন নগরবাসী। অপরদিকে, উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে জাফলংসহ সিলেটের কয়েকটি উপজেলায় নদীতীরবর্তী এলাকাগুলো প্লাবিত হয়েছে।
সকালে মাত্র কয়েক ঘণ্টার বৃষ্টিতে নগরের উপশহর, তেররতন, সোবহানীঘাট, তালতলা, মাছুদিঘির পাড়, ছড়ার পাড়, মণিপুরী রাজবাড়ি, শেখঘাট, ঘাসিটুলা, বাবনা ও স্টেশন রোডসহ অনেক এলাকা পানির নিচে চলে যায়। বাড়িঘর ও দোকানপাটেও পানি ঢুকে পড়ে।
অন্যদিকে, বৃষ্টি অব্যাহত থাকায় নদ নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে।