আগামী ২ দিন সিলেট, মৌলভীবাজার ও সুনামগঞ্জ জেলার বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে। সারিগোয়াইন, যাদুকাটা নদী বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে। এছাড়া রংপুর বিভাগে তিস্তা নদীর পানি আগামী ২ দিন বেড়ে সতর্কসীমায় প্রবাহিত হতে পারে।
আজ মঙ্গলবার (৩ জুন) পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র থেকে দেওয়া পূর্বাভাসে এসব তথ্য জানানো হয়।
পূর্বাভাসে বলা হয়, সিলেট জেলার সুরমা, কুশিয়ারা ও মৌলভীবাজার জেলার মনু নদীর পানি সমতল বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
সিলেট, সুনামগঞ্জ ও মৌলভীবাজার জেলার সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর পানি সমতল আগামী ৪৮ ঘণ্টা বৃদ্ধি পেতে পারে এবং বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে। সারিগোয়াইন, যাদুকাটা নদীর পানি সমতল বৃদ্ধি পেতে পারে এবং বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে।
মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ ও নেত্রকোনা জেলার মনু, খোয়াই, সোমেশ্বরী, ধলাই নদীসমূহের পানি সমতল হ্রাস পেতে পারে। এই সময়ে সিলেট, সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার জেলার প্রধান নদী সংলগ্ন নিম্নাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা অবনতি হতে পারে।
এতে আরও বলা হয়, ব্রহ্মপুত্র নদ ও যমুনা নদীর পানি সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে যা আগামী ২ দিন অব্যাহত থাকতে পারে তবে বিপৎসীমার নিচে প্রবাহিত হতে পারে। ৩য় দিন নদ-নদীসমূহের পানি সমতল স্থিতিশীল থাকতে পারে এবং ৪ র্থ ও ৫ম দিন হ্রাস পেতে পারে।
রংপুর বিভাগের তিস্তা, ধরলা ও দুধকুমার নদীসমূহের পানি সমতল আগামী ২৪ ঘণ্টায় হ্রাস পেতে পারে। তবে পরবর্তী ২ দিন বৃদ্ধি পেতে পারে এবং তিস্তা নদী সতর্কসীমায় প্রবাহিত হতে পারে।
এদিকে আগামী ২ দিন চট্টগ্রাম বিভাগের মুহুরী, ফেনী, হালদা, সাঙ্গু, মাতামহুরূ নদীসমূহের পানি সমতল হ্রাস পেতে পারে এবং বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে।
গঙ্গা নদীর পানি সমতল স্থিতিশীল রয়েছে। এদিকে পদ্মা নদীর পানি সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে যা আগামী ৫ দিন পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে তবে বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে।