আইইউসিএনের হালনাগাদ তথ্য বলছে, বর্তমানে ১০ লাখের বেশি প্রজাতি বিলুপ্তির ঝুঁকিতে যেমন রয়েছে, তেমনই এই তালিকায় বছরে যুক্ত হচ্ছে আরও প্রায় ১০ হাজার প্রজাতি। যা বার্তা দিচ্ছে, ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে সভ্যতা। এমন বাস্তবতায়, আবুধাবিতে শেষ হওয়া আইইউসিএন বিশ্ব সংরক্ষণ কংগ্রেসের নতুন লক্ষ্যমাত্রা তাই, ২০৩০ সালের মধ্যে সমুদ্র ও স্থলভাগের ৩০ শতাংশ সংরক্ষণ।
সভ্যতা রক্ষায় বিশ্বের সংরক্ষণ সক্ষমতা বাড়াতে নীতিমালা ও আইনি পদক্ষেপের পাশাপাশি যথাযথ অর্থায়ন নিশ্চিতের আহ্বান জানিয়েছেন, প্রকৃতিবন্ধু বীর মুক্তিযোদ্ধা মুকিত মজুমদার বাবু।
এবার সংরক্ষণ কংগ্রেসের শুরুর দিন থেকে সক্রিয় ছিলেন প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশন চেয়ারম্যান মুকিত মজুমদার বাবু। কংগ্রেসের সার্বিক অর্জন ও প্রত্যাশা তুলে ধরে তিনি সমাপনী অধিবেশনের ফাঁকে বলেন, ‘প্রায় ১০০’র মতো নতুন সদস্য হয়েছে এবার। ৬টি দেশ নতুন যুক্ত হয়েছে। আইইউসিএন-এর এই প্লাটফর্মে নতুন নতুন মেম্বার, দেশ যখনই যুক্ত হচ্ছে তখন আমাদের এই সংগ্রাম, জীববৈচিত্র্য রক্ষার সংগ্রাম আরও শক্তিশালী হচ্ছে।’
প্রকৃতিবন্ধু আরও বলেন, ‘কংগ্রেসে আইনগত ও অর্থায়নের নানা বিষয়ও এসেছে। বিজ্ঞানী, পরিবেশ আন্দোলনকর্মী, পরিবেশবিদ, ব্যবসায়ী সম্প্রদায় সহ নানা মতের নানা খাতের মানুষ এই সংরক্ষণ সম্মেলনে যোগ দিয়েছে এবার। বৈশ্বিক এরকম আয়োজনে আমরা যতো জোরেশোরে জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের কথা বলতে পারবো ততোই এই পৃথিবীটা ভাল থাকবে।’
আবুধাবিতে আইইউসিএন বিশ্ব সংরক্ষণ কংগ্রেসের সমাপনীতে মানবজাতি ও প্রকৃতির ভারসাম্য ফেরাতে আগামী ৫ বছরের লক্ষ্যমাত্রা পূরণের বিকল্প নেই বলছেন পরিবেশবিদ ও নানা দেশের প্রতিনিধিরা।

কংগ্রেসে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে যোগ দেয়া পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ বলেন, ‘আমরা জলাভূমি সংরক্ষণের কথা বলেছি, আমাদের বিল-খাল-নদীগুলো মরে যাচ্ছে। দূষণে নষ্ট হচ্ছে, সেখানকার জীববৈচিত্র্য ধ্বংসের পথে। কাজেই জলাভূমি সংরক্ষণ বাংলাদেশের জাতীয় অগ্রাধিকারে আছে। এবিষয়ে আন্তর্জাতিক সহায়তা, আইইউসিএনকেও আমরা সম্পৃক্ত থাকার কথা বলেছি।’
বিলুপ্তির ঝুঁকিতে থাকা লাখো প্রজাতির সংরক্ষণ ও হাজারও প্রজাতির বিপন্ন ঝুঁকি কাটাতে কংগ্রেস প্রস্তাবিত ঘোষণা প্রতিপালন নিশ্চিতেই মুক্তির রূপরেখা দেখছেন পরিবেশবাদিরা।
মূল প্রতিবেদন: মোশাহিদ রনি
তথ্য ও চিত্র: মেহেদী হাসান
প্রকৃতিবার্তা ডেস্ক 




















