প্রাণী অধিকার নিয়ে বরাবরই সোচ্চার অভিনেত্রী জয়া আহসান। বিভিন্ন সময় তার প্রমাণ দিয়েছেন। পেয়েছেন ‘প্রাণবিক বন্ধু’র সম্মাননাও। থার্টি ফার্স্ট উদযাপনকে সামনে রেখে যথারীতি জয়া জানালেন প্রাণবিক অনুরোধ!
২০২৪ এর একেবারে শেষ প্রান্তে দাঁড়িয়ে সবাই যখন থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপনের মহড়ায় ব্যস্ত- সেই সময়ে জয়া আতশবাজি ও পটকা ফোটানো থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন!
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে আগেই সতর্কতা জারি করেছে। এ ধরনের কাজকে ‘শাস্তিযোগ্য অপরাধ’ও বলছে মন্ত্রণালয়। তবে বিষয়টি নিয়ে এখনও সচেতন নয় দেশের মানুষ। কাজেই এ নিয়ে সরকার থেকে শুরু করে বহু সামাজিক কিংবা প্রাণী কল্যাণ সংগঠনগুলো সচেতনতার বার্তা দিচ্ছে।
দেশের শোবিজ তারকারাও যে যার মতো করে বার্তা পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করছেন। নন্দিত অভিনেত্রী জয়া আহসান এ বিষয়ে বরাবরই একধাপ এগিয়ে। সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক দীর্ঘ পোস্ট লেখেন জয়া। পরে প্রাণি অধিকার নিয়ে কাজ করা একটি সংগঠনের মাধ্যমে ভিডিও বার্তাও দেন জয়া।
বছরের শেষ রাতে আতশবাজি পুড়িয়ে ও পটকা ফুটিয়ে যেভাবে নতুন বছর বরণ করা হয়, অভিনেত্রী জয়া আহসানের ভাষায়, তা তাণ্ডবের নামান্তর। এ বিষয়ে জয়া বলেন, “নতুন বছরকে স্বাগত অবশ্যই সবাই মিলেই আনন্দের সাথেই জানাবো। কিন্তু এটা মাথায় রাখতে হবে, আমাদের আনন্দ যেন অন্যের মৃত্যুর কারণ না হয়।”
এসময় জয়া বলেন, নতুন বছরের আনন্দ যেন অন্যের মৃত্যুর কারণ না হয়। নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে দয়া করে কেউ আতশবাজি কিংবা পটকা ফোটাবেন না! এ ধরনের উদযাপন মানুষ ও প্রাণিকূলের জন্য হুমকি। আপনার নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে গিয়ে কারো জীবন যেন বিপন্ন না হয়।
জয়া বলেন, আতশবাজি, পটকা ফোটানো এবং ফানুস ওড়ানোর ‘তাণ্ডবে’ যে কোনো প্রাণহানির দায় এই শহরের কারো এড়ানোর সুযোগ নেই।
দুই বছর আগে আতশবাজির শব্দে শিশু উমায়েরের মৃত্যুর প্রসঙ্গও তোলেন জয়া। জানান, ‘শুধু পাখির কথা কেন, এই শহরের কুকুর-বিড়াল-মুরগি-কীটপতঙ্গসহ সবাই-ই অস্থির হয়ে যায় নগরবাসীর আতশবাজি আর ফানুস উৎসবে। এমনকি ডিমের ভেতর বাচ্চা পর্যন্ত নষ্ট হয়ে যায়। আর মানুষ? তারা তো মানুষের কথাও ভাবে না। ২০২২-এর জানুয়ারির ১ তারিখ যখন নগরবাসী সারারাত আতশবাজি উৎসব করে ঘুমাচ্ছে তখন মৃত্যুর সাথে লড়াই করছিল ৪ মাস বয়সী উমায়ের। একসময় সে পরাজিত হয় এবং মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। ছোট্ট উমায়েরের এই মৃত্যুর দায় কেন এই নগরবাসী নেবে না? আপনারা যারা আতশবাজি ফুটিয়েছিলেন তারা কেউ কি এই দায় থেকে মুক্ত?’