আগামী ৯০ দিনের জন্য নতুন শুল্কনীতি স্থগিত করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে চীন ছাড়া সকল দেশের জন্য এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে।
নিজের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে এক পোস্টে ট্রাম্প শুল্কনীতি স্থগিতের কথা জানিয়েছেন। একই সঙ্গে সেখানে তিনি উল্লেখ করেছেন, চীনের পণ্যের ওপর এবার ১২৫ শতাংশ হারে শুল্ক আরোপ হবে।
পোস্টে ট্রাম্প লিখেছেন, ‘বিশ্ববাজারের প্রতি চীন যে অসম্মান দেখিয়েছে, সেটির ভিত্তিতে আমি চীনের ওপর শুল্কের পরিমাণ ১২৫ শতাংশে বাড়াচ্ছি। যা এখন থেকে কার্যকর হবে। আশা করি, চীন বুঝতে পারবে যে, যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যান্য দেশকে শোষণ করার বিষয়টি আর মানা হবে না।’
অন্যান্য দেশগুলোর ওপর আরোপ করা নতুন শুল্কহার ৯০ দিনের জন্য স্থগিত করার বিষয়টি জানিয়ে ট্রাম্প লিখেছেন, ‘৭৫টিরও বেশি দেশ যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিদের বাণিজ্য, বাণিজ্য বাধা, শুল্ক, মুদ্রা জালিয়াতি, অ-আর্থিক শুল্ক নিয়ে আলোচনার জন্য আহ্বান জানিয়েছে। এবং এই দেশগুলো যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে কোনো পাল্টা ব্যবস্থা নেয়নি। তাদের জন্য আমি শুল্ক ৯০ দিনের জন্য স্থগিত করেছি এবং এই শুল্কহার ১০ শতাংশে নামিয়ে এনেছি। যা তাৎক্ষণিকভাবে কার্যকর হবে।’
গত বুধবার (২ এপ্রিল) বিশ্বব্যাপী আমদানি পণ্যের ওপর পারস্পরিক শুল্ক ঘোষণা করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এরপরই বিশ্ব অর্থনীতিতে বড় ধরনের ধাক্কা লাগে। বাংলাদেশ ওপরও আরোপ করা হয় ৩৭ শতাংশ বাড়তি শুল্ক।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি বলছে, চীনা পণ্যের ওপর ট্রাম্প ৩৪ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছেন। এই অতিরিক্ত শুল্ক আরোপের ঘোষণায় ক্ষুব্ধ হয়ে চীন সরকার মার্কিন পণ্যের ওপরেও পাল্টা ৩৪ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে।
চীন সরকারের এই পাল্টা শুল্ক আরোপের ঘোষণার পর ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি গত সোমবার তাঁর নিজস্ব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে লেখেন, ‘মঙ্গলবারের মধ্যে চীন যদি অতিরিক্ত শুল্ক আরোপের ঘোষণা প্রত্যাহার না করে, তাহলে চীনা পণ্যের ওপর আরও অতিরিক্ত ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে।’ অর্থাৎ চীনা পণ্যের ওপর সর্বমোট ১০৪ শতাংশ শুল্ক কার্যকর হবে।
কিন্তু ট্রাম্পের হুমকি আমলে নেয়নি চীন এবং শুল্ক আরোপের ঘোষণা প্রত্যাহারও করেনি। উল্টো চীনও শুল্ক আরও ৫০ শতাংশ বাড়িয়ে ৮৪ শতাংশ করে। এবার ট্রাম্প আরেক দফা বাড়িয়ে চীনা পণ্যে শুল্ক ১২৫ শতাংশ করলেন।