সংবাদ শিরোনাম ::
Logo কপ ৩০: তৃতীয় দিন শেষ হয়েছে ঘোষণা, বিতর্ক, গুরুত্বপূর্ণ ঘটনায় Logo কপ ৩০: জলবায়ু সংকট নিয়ে সম্মেলন করে ৩০ বছর পার, এখন সমাধানের সময়   Logo জাতীয় নির্বাচনের দিনই হবে গণভোট: প্রধান উপদেষ্টা Logo শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির মামলার রায় ১৭ নভেম্বর Logo জলবায়ু সংকটই এখন স্বাস্থ্য সংকট: ডব্লিউএইচও প্রধান    Logo আজ দুপুরে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধান উপদেষ্টা Logo সাভারে ডিগ্রেডেড এয়ারশেড বাস্তবায়নে অভিযান: চিমনি ভেঙে অবৈধ ইটভাটা বন্ধ, ১৮ লাখ টাকা জরিমানা Logo প্রকৃতি ও জীবনের এবারের পর্ব- ‘রক্ষিত অঞ্চল ব্যবস্থাপনা’    Logo জ্ঞান হারিয়ে হাসপাতালে ভর্তি নায়ক গোবিন্দ Logo বোটানিক্যাল গার্ডেনে প্রবেশে চালু হলো ই-টিকেটিং
‘নৌপরিবহন ও নাব্যতা: চ্যালেঞ্জ ও উত্তরণের উপায়’ সেমিনারে বক্তারা 

‘নদীর নাব্যতা রক্ষায় ড্রেজিং হতে হবে পরিবেশবান্ধব ও স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায়’

  • নাসিমুল শুভ
  • আপডেট সময় ১২:১৯:৫৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৫
  • 434

‘নদীর নাব্যতা রক্ষায় ড্রেজিং হতে হবে পরিবেশবান্ধব ও স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায়’

‘নদীমাতৃক বাংলাদেশের প্রকৃতি বাঁচাতে নদীগুলোকে বাঁচাতে হবে, আর নদী বাঁচাতে পলির ফাঁদ থেকে মুক্তির জন্য নাব্যতা রক্ষায় ড্রেজিং করতে হবে। তবে নদী বাঁচানোর এই ড্রেজিং হতে হবে সত্যিকার অর্থে নদীর স্বার্থে, সৎ উদ্দেশ্যে এবং অবশ্যই পরিবেশবান্ধব উপায়ে,’

একই সঙ্গে নদী বাঁচাতে অপরিণামদর্শী উন্নয়ন থেকে সরে এসে নদীপথে গুরুত্ব বাড়ানোর তাগিদ দিয়েছেন সরকারি-বেসরকারি অংশীজন এবং পরিবেশকর্মীরা। এজন্য কার্যকর নদী ব্যবস্থাপনা নিশ্চিতে নীতিনির্ধারকদের আরও বাস্তবমুখী পদক্ষেপ নেয়ার দাবিও তুলেছেন তারা।

আজ মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত ‘নৌপরিবহন ও নাব্যতা: চ্যালেঞ্জ ও উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক এক সেমিনারে অংশ নিয়ে বক্তারা এসব কথা বলেন।

সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘নদী পলিতে ভরাট হচ্ছে, ভয়াবহ দূষণের শিকার হচ্ছে। নদীগুলো মরছে। অপরিণামদর্শী উন্নয়নে ব্রিজ বানানো হচ্ছে। এতে পিলারগুলোর জন্য পলিজমে চর পড়ছে, নদী মরে যাচ্ছে। নদীকেন্দ্রীক যাদের জীবন তারাও নদী মারা ব্রিজ আসলে চায় না। পানির প্রবাহ ব্যহত হলে, নদীর পানি বিষাক্ত হলে ইলিশ কেন, কোনো মাছই পাওয়া যাবে না।’

উপদেষ্টা সাখাওয়াত ব্রিজের বিপক্ষে নন জানিয়ে বলেন, ‘ব্রিজ হলে নদীর ভবিষ্যত যাচাই করে সম্ভব হলে ঝুলন্ত সেতু অথবা টানেল গড়া হোক।’ বক্তব্যে দেশের অভ্যন্তরীণ নৌপথ বাঁচানোর তাগিদ দেন তিনি। এছাড়া নদীর নাব্যতা রক্ষার নামে অপরিকল্পিত এবং অহেতুক ড্রেজিং বন্ধ করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বাংলাদেশের নদীকেন্দ্রীক জনপদগুলোর যাতায়াত পুরো বছর সচল রাখতে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি খাতের ড্রেজিং প্রতিষ্ঠানগুলোর স্বচ্ছতা ও আন্তরিকতা আশা করেন।

দেশের প্রকৃতি-পরিবেশের প্রাণ নদী, নদীগুলোর নাব্যতা রক্ষার এই সেমিনারে বিশেষ অতিথি ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।

বক্তব্যের শুরুতেই দেশে পরিবেশ আন্দোলনের এই চেনামুখ সবার আগে নদীকে জীবন্ত সত্তা হিসেবে গ্রহণ করে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে আন্তরিকভাবে নদী ব্যবস্থাপনায় গুরুত্বারোপ করার আহ্বান জানান।

একই সঙ্গে পরিবেশ এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় সামলানো উপদেষ্টা রিজওয়ানা বলেন, ‘নদী মরে গেছে, এই কথাটি এটাই বোঝায় যে নদী আসলে জীবন্ত সত্তা, নদী মাছ থেকে শুরু করে প্রকৃতির বাস্তুসংস্থানের জন্মদাত্রী। তাই দেশের পরিবেশ-প্রকৃতি বাঁচাতে হলে নদী বাঁচানো ছাড়া উপায় নেই। নদীর প্রতি অবিচার, জীবনের প্রতি অবিচার। নদীকে তাই জীবন্ত সত্তা হিসেবে আন্তরিকভাবে বিশ্বাস করলেই নদী ব্যবস্থাপনা সফল হবে।’

তবে রিজওয়ানা হাসান সবচেয়ে জোর দিয়ে বলেন, ‘নদীর প্রতিবেশ ব্যবস্থা ধ্বংস না করে ড্রেজিং নিশ্চিত করতে হবে। ড্রেজিং কাজে অবশ্যই পরিবেশগত প্রভাব যাচাই করে নিতে হবে।’

পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা হিসেবে তিনি বলেন, ‘নাব্যতা রক্ষায় ড্রেজিং চলমান প্রক্রিয়া। তবে বাস্তবতা এবং মানুষের অধিকার নিশ্চিতের স্বার্থেই নদী ও পানির বিষয়গুলো পুরোপুরি বেসরকারিখাতে ছেড়ে দেয়ার সুযোগ আপাতত নেই। তবে নদীর নাব্যতা রক্ষায় ড্রেজিং কাজে বেসরকারি উদ্যোক্তা-প্রতিষ্ঠানগুলো যেন সুস্থ প্রতিযোগীতার মাধ্যমে সরকারের সহায়ক হতে পারে তা নিশ্চিত করা হবে।’

সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মুকিত মজুমদার বাবু। প্রকৃতিবন্ধু তাঁর বক্তব্যে বলেন, ‘নদীর নাব্যতা রক্ষা, দূষণ রোধ ও নদী ব্যবস্থাপনা নিশ্চিতে সরকার, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এবং নদী ও পরিবেশ কর্মীদের একটি কার্যকর যোগাযোগ নিশ্চিতে এমন সভা-সেমিনার নিয়মিত প্রয়োজন। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকারী দুজনের কথাতে নদী পথে পরিবহন খরচ কম, কার্বন দূষণ কম সহ নানা জরুরি তথ্য উঠে এসেছে।

তিনি আরও বলেন, ‘নদী বাঁচাতে ড্রেজিং ব্যয়বহুল একথাটি যেমন বলা হচ্ছে তেমনি এটাও বুঝতে হবে যে নাব্যতা রক্ষা, নদী বাঁচানোর ড্রেজিং দীর্ঘমেয়াদে প্রকৃতি-পরিবেশের জন্য সুফল বয়ে আনবে। তবে এজন্য সততা, আন্তরিকতা এবং সংশ্লিষ্টদের স্বচ্ছতার মাধ্যমে কাজটি করতে হবে।’

সেমিনারে মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন রিভার এন্ড ডেল্টা রিসার্চ সেন্টারের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ এজাজ ও নৌপরিবহন বিশেষজ্ঞ সৈয়দ মনোয়ার হোসেন। সূচনা বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ রিভার ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ মনির হোসেন।

নদী বাঁচানো এবং সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার প্রত্যাশায় এই সেমিনারের আয়োজক ছিল প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশন এবং বাংলাদেশ রিভার ফাউন্ডেশন।

সেমিনারে উপস্থিত এবং বক্তব্য রাখাদের মধ্যে ছিলেন- পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমুল আহসান, বিআইডব্লিউটিএ-এর চেয়ারম্যান কমডোর আরিফ আহমেদ মোস্তফা, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন-বাপার যুগ্ম সম্পাদক আমিনুর রসুল এবং বাংলাদেশ কাটার সাকশন ড্রেজার এসোসিয়েশনের সভাপতি বশির আহমেদ।

আপলোডকারীর তথ্য

Shuvo

জনপ্রিয় সংবাদ

কপ ৩০: তৃতীয় দিন শেষ হয়েছে ঘোষণা, বিতর্ক, গুরুত্বপূর্ণ ঘটনায়

‘নৌপরিবহন ও নাব্যতা: চ্যালেঞ্জ ও উত্তরণের উপায়’ সেমিনারে বক্তারা 

‘নদীর নাব্যতা রক্ষায় ড্রেজিং হতে হবে পরিবেশবান্ধব ও স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায়’

আপডেট সময় ১২:১৯:৫৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৫

‘নদীমাতৃক বাংলাদেশের প্রকৃতি বাঁচাতে নদীগুলোকে বাঁচাতে হবে, আর নদী বাঁচাতে পলির ফাঁদ থেকে মুক্তির জন্য নাব্যতা রক্ষায় ড্রেজিং করতে হবে। তবে নদী বাঁচানোর এই ড্রেজিং হতে হবে সত্যিকার অর্থে নদীর স্বার্থে, সৎ উদ্দেশ্যে এবং অবশ্যই পরিবেশবান্ধব উপায়ে,’

একই সঙ্গে নদী বাঁচাতে অপরিণামদর্শী উন্নয়ন থেকে সরে এসে নদীপথে গুরুত্ব বাড়ানোর তাগিদ দিয়েছেন সরকারি-বেসরকারি অংশীজন এবং পরিবেশকর্মীরা। এজন্য কার্যকর নদী ব্যবস্থাপনা নিশ্চিতে নীতিনির্ধারকদের আরও বাস্তবমুখী পদক্ষেপ নেয়ার দাবিও তুলেছেন তারা।

আজ মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত ‘নৌপরিবহন ও নাব্যতা: চ্যালেঞ্জ ও উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক এক সেমিনারে অংশ নিয়ে বক্তারা এসব কথা বলেন।

সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘নদী পলিতে ভরাট হচ্ছে, ভয়াবহ দূষণের শিকার হচ্ছে। নদীগুলো মরছে। অপরিণামদর্শী উন্নয়নে ব্রিজ বানানো হচ্ছে। এতে পিলারগুলোর জন্য পলিজমে চর পড়ছে, নদী মরে যাচ্ছে। নদীকেন্দ্রীক যাদের জীবন তারাও নদী মারা ব্রিজ আসলে চায় না। পানির প্রবাহ ব্যহত হলে, নদীর পানি বিষাক্ত হলে ইলিশ কেন, কোনো মাছই পাওয়া যাবে না।’

উপদেষ্টা সাখাওয়াত ব্রিজের বিপক্ষে নন জানিয়ে বলেন, ‘ব্রিজ হলে নদীর ভবিষ্যত যাচাই করে সম্ভব হলে ঝুলন্ত সেতু অথবা টানেল গড়া হোক।’ বক্তব্যে দেশের অভ্যন্তরীণ নৌপথ বাঁচানোর তাগিদ দেন তিনি। এছাড়া নদীর নাব্যতা রক্ষার নামে অপরিকল্পিত এবং অহেতুক ড্রেজিং বন্ধ করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বাংলাদেশের নদীকেন্দ্রীক জনপদগুলোর যাতায়াত পুরো বছর সচল রাখতে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি খাতের ড্রেজিং প্রতিষ্ঠানগুলোর স্বচ্ছতা ও আন্তরিকতা আশা করেন।

দেশের প্রকৃতি-পরিবেশের প্রাণ নদী, নদীগুলোর নাব্যতা রক্ষার এই সেমিনারে বিশেষ অতিথি ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।

বক্তব্যের শুরুতেই দেশে পরিবেশ আন্দোলনের এই চেনামুখ সবার আগে নদীকে জীবন্ত সত্তা হিসেবে গ্রহণ করে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে আন্তরিকভাবে নদী ব্যবস্থাপনায় গুরুত্বারোপ করার আহ্বান জানান।

একই সঙ্গে পরিবেশ এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় সামলানো উপদেষ্টা রিজওয়ানা বলেন, ‘নদী মরে গেছে, এই কথাটি এটাই বোঝায় যে নদী আসলে জীবন্ত সত্তা, নদী মাছ থেকে শুরু করে প্রকৃতির বাস্তুসংস্থানের জন্মদাত্রী। তাই দেশের পরিবেশ-প্রকৃতি বাঁচাতে হলে নদী বাঁচানো ছাড়া উপায় নেই। নদীর প্রতি অবিচার, জীবনের প্রতি অবিচার। নদীকে তাই জীবন্ত সত্তা হিসেবে আন্তরিকভাবে বিশ্বাস করলেই নদী ব্যবস্থাপনা সফল হবে।’

তবে রিজওয়ানা হাসান সবচেয়ে জোর দিয়ে বলেন, ‘নদীর প্রতিবেশ ব্যবস্থা ধ্বংস না করে ড্রেজিং নিশ্চিত করতে হবে। ড্রেজিং কাজে অবশ্যই পরিবেশগত প্রভাব যাচাই করে নিতে হবে।’

পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা হিসেবে তিনি বলেন, ‘নাব্যতা রক্ষায় ড্রেজিং চলমান প্রক্রিয়া। তবে বাস্তবতা এবং মানুষের অধিকার নিশ্চিতের স্বার্থেই নদী ও পানির বিষয়গুলো পুরোপুরি বেসরকারিখাতে ছেড়ে দেয়ার সুযোগ আপাতত নেই। তবে নদীর নাব্যতা রক্ষায় ড্রেজিং কাজে বেসরকারি উদ্যোক্তা-প্রতিষ্ঠানগুলো যেন সুস্থ প্রতিযোগীতার মাধ্যমে সরকারের সহায়ক হতে পারে তা নিশ্চিত করা হবে।’

সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মুকিত মজুমদার বাবু। প্রকৃতিবন্ধু তাঁর বক্তব্যে বলেন, ‘নদীর নাব্যতা রক্ষা, দূষণ রোধ ও নদী ব্যবস্থাপনা নিশ্চিতে সরকার, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এবং নদী ও পরিবেশ কর্মীদের একটি কার্যকর যোগাযোগ নিশ্চিতে এমন সভা-সেমিনার নিয়মিত প্রয়োজন। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকারী দুজনের কথাতে নদী পথে পরিবহন খরচ কম, কার্বন দূষণ কম সহ নানা জরুরি তথ্য উঠে এসেছে।

তিনি আরও বলেন, ‘নদী বাঁচাতে ড্রেজিং ব্যয়বহুল একথাটি যেমন বলা হচ্ছে তেমনি এটাও বুঝতে হবে যে নাব্যতা রক্ষা, নদী বাঁচানোর ড্রেজিং দীর্ঘমেয়াদে প্রকৃতি-পরিবেশের জন্য সুফল বয়ে আনবে। তবে এজন্য সততা, আন্তরিকতা এবং সংশ্লিষ্টদের স্বচ্ছতার মাধ্যমে কাজটি করতে হবে।’

সেমিনারে মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন রিভার এন্ড ডেল্টা রিসার্চ সেন্টারের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ এজাজ ও নৌপরিবহন বিশেষজ্ঞ সৈয়দ মনোয়ার হোসেন। সূচনা বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ রিভার ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ মনির হোসেন।

নদী বাঁচানো এবং সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার প্রত্যাশায় এই সেমিনারের আয়োজক ছিল প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশন এবং বাংলাদেশ রিভার ফাউন্ডেশন।

সেমিনারে উপস্থিত এবং বক্তব্য রাখাদের মধ্যে ছিলেন- পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমুল আহসান, বিআইডব্লিউটিএ-এর চেয়ারম্যান কমডোর আরিফ আহমেদ মোস্তফা, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন-বাপার যুগ্ম সম্পাদক আমিনুর রসুল এবং বাংলাদেশ কাটার সাকশন ড্রেজার এসোসিয়েশনের সভাপতি বশির আহমেদ।