সংবাদ শিরোনাম ::
Logo কপ ৩০: তৃতীয় দিন শেষ হয়েছে ঘোষণা, বিতর্ক, গুরুত্বপূর্ণ ঘটনায় Logo কপ ৩০: জলবায়ু সংকট নিয়ে সম্মেলন করে ৩০ বছর পার, এখন সমাধানের সময়   Logo জাতীয় নির্বাচনের দিনই হবে গণভোট: প্রধান উপদেষ্টা Logo শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির মামলার রায় ১৭ নভেম্বর Logo জলবায়ু সংকটই এখন স্বাস্থ্য সংকট: ডব্লিউএইচও প্রধান    Logo আজ দুপুরে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধান উপদেষ্টা Logo সাভারে ডিগ্রেডেড এয়ারশেড বাস্তবায়নে অভিযান: চিমনি ভেঙে অবৈধ ইটভাটা বন্ধ, ১৮ লাখ টাকা জরিমানা Logo প্রকৃতি ও জীবনের এবারের পর্ব- ‘রক্ষিত অঞ্চল ব্যবস্থাপনা’    Logo জ্ঞান হারিয়ে হাসপাতালে ভর্তি নায়ক গোবিন্দ Logo বোটানিক্যাল গার্ডেনে প্রবেশে চালু হলো ই-টিকেটিং

নারী চিকিৎসকের রহস্যজনক মৃত্যু, ভারতে ‘রাত দখলের ডাক’

চিকিৎসকের রহস্যজনক মৃত্যু, ভারতে নারীদের ‘রাত দখলের ডাক’

ভারতের পশ্চিমবঙ্গে কলকাতার আর জি কর হাসপাতালে শিক্ষানবীশ এক চিকিৎসককে ধর্ষণের পর হত্যার প্রতিবাদে নিরাপত্তার দাবিতে আন্দোলন তীব্র হয়েছে। বিভিন্ন হাসপাতালে চলছে কনিষ্ঠ ও আবাসিক চিকিৎসকদের কর্মবিরতি। ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ছে অন্যান্য রাজ্যেও।

কর্মস্থলে বিশেষ করে রাতে নারীদের নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিতের দাবিতে ইতোমধ্যে বুধবার মধ্যরাতে ‌‘রিক্লেইম দ্য নাইট’ বা রাত দখল নামে পদযাত্রার ঘোষণা দিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের বিক্ষোভকারীরা। এই পদযাত্রায় হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ-বিক্ষোভ করবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

পশ্চিমবঙ্গের ভয়াবহ এই ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ভারতের বিভিন্ন প্রদেশে আন্দোলন শুরু করেছেন দেশটির নাগরিকরা। স্বাধীনভাবে এবং ভীতিহীন বেঁচে থাকার অধিকারের দাবিতে বিক্ষোভের ডাক দিয়েছেন তারা।

ভারতে নারীদের ‘রাত দখলের ডাক’
ভারতে নারীদের ‘রাত দখলের ডাক’

এই ঘটনায় ভারতের রাজনৈতিক অঙ্গনও চুপ নেই। কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে লিখেছেন, “মেডিক্যাল কলেজের মতো জায়গায় যদি চিকিৎসকেরা নিরাপদ না থাকেন, তা হলে অভিভাবকেরা কোন ভরসায় তাদের মেয়েকে পড়তে পাঠাবেন?”

হাসপাতালে রাতভর দায়িত্ব পালনের পর গত শুক্রবার সকালের দিকে অবসর সময়ে সেমিনার হলে ঘুমাতে যান ৩১ বছর বয়সী এক নারী চিকিৎসক। পশ্চিমবঙ্গের ওই হাসপাতালে শেষবারের মতো তাকে জীবিত দেখা যায় সেদিন। পরের দিন সকালে তার নিথর দেহ হলের মঞ্চের ওপর পড়ে থাকতে দেখা যায়। তার শরীরে অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন ছিল।

অথচ প্রথমে ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। নিহতের পরিবারকে জানানো হয়, ওই নারী চিকিৎসক আত্মহত্যা করেছেন।

তবে, ময়নাতদন্তে চিকিৎসককে ভয়াবহ শারীরিক নির্যাতনের প্রমাণ পাওয়া যায়। এর পরপরই ক্ষোভে ফেটে পড়ে পশ্চিমবঙ্গের সর্বস্তরের মানুষ। একপর্যায়ে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে দেশজুড়ে।

ঘটনার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট ডাকেন ভারতের চিকিৎসকরা। ফলে, অনেকটাই স্থবির হয়ে পড়ে সেখানকার চিকিৎসা ব্যবস্থা।

আপলোডকারীর তথ্য

Shuvo

জনপ্রিয় সংবাদ

কপ ৩০: তৃতীয় দিন শেষ হয়েছে ঘোষণা, বিতর্ক, গুরুত্বপূর্ণ ঘটনায়

নারী চিকিৎসকের রহস্যজনক মৃত্যু, ভারতে ‘রাত দখলের ডাক’

আপডেট সময় ০৭:০৩:০৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ অগাস্ট ২০২৪

ভারতের পশ্চিমবঙ্গে কলকাতার আর জি কর হাসপাতালে শিক্ষানবীশ এক চিকিৎসককে ধর্ষণের পর হত্যার প্রতিবাদে নিরাপত্তার দাবিতে আন্দোলন তীব্র হয়েছে। বিভিন্ন হাসপাতালে চলছে কনিষ্ঠ ও আবাসিক চিকিৎসকদের কর্মবিরতি। ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ছে অন্যান্য রাজ্যেও।

কর্মস্থলে বিশেষ করে রাতে নারীদের নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিতের দাবিতে ইতোমধ্যে বুধবার মধ্যরাতে ‌‘রিক্লেইম দ্য নাইট’ বা রাত দখল নামে পদযাত্রার ঘোষণা দিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের বিক্ষোভকারীরা। এই পদযাত্রায় হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ-বিক্ষোভ করবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

পশ্চিমবঙ্গের ভয়াবহ এই ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ভারতের বিভিন্ন প্রদেশে আন্দোলন শুরু করেছেন দেশটির নাগরিকরা। স্বাধীনভাবে এবং ভীতিহীন বেঁচে থাকার অধিকারের দাবিতে বিক্ষোভের ডাক দিয়েছেন তারা।

ভারতে নারীদের ‘রাত দখলের ডাক’
ভারতে নারীদের ‘রাত দখলের ডাক’

এই ঘটনায় ভারতের রাজনৈতিক অঙ্গনও চুপ নেই। কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে লিখেছেন, “মেডিক্যাল কলেজের মতো জায়গায় যদি চিকিৎসকেরা নিরাপদ না থাকেন, তা হলে অভিভাবকেরা কোন ভরসায় তাদের মেয়েকে পড়তে পাঠাবেন?”

হাসপাতালে রাতভর দায়িত্ব পালনের পর গত শুক্রবার সকালের দিকে অবসর সময়ে সেমিনার হলে ঘুমাতে যান ৩১ বছর বয়সী এক নারী চিকিৎসক। পশ্চিমবঙ্গের ওই হাসপাতালে শেষবারের মতো তাকে জীবিত দেখা যায় সেদিন। পরের দিন সকালে তার নিথর দেহ হলের মঞ্চের ওপর পড়ে থাকতে দেখা যায়। তার শরীরে অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন ছিল।

অথচ প্রথমে ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। নিহতের পরিবারকে জানানো হয়, ওই নারী চিকিৎসক আত্মহত্যা করেছেন।

তবে, ময়নাতদন্তে চিকিৎসককে ভয়াবহ শারীরিক নির্যাতনের প্রমাণ পাওয়া যায়। এর পরপরই ক্ষোভে ফেটে পড়ে পশ্চিমবঙ্গের সর্বস্তরের মানুষ। একপর্যায়ে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে দেশজুড়ে।

ঘটনার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট ডাকেন ভারতের চিকিৎসকরা। ফলে, অনেকটাই স্থবির হয়ে পড়ে সেখানকার চিকিৎসা ব্যবস্থা।