সংবাদ শিরোনাম ::
Logo প্রকৃতির প্রতিশোধ: সংকটে জীববৈচিত্র্য Logo লঘুচাপ, ঘূর্ণিঝড়ের গুঞ্জন! কেমন যেতে পারে মাসের শেষ দিনগুলো, যা বলছে আবহাওয়ার পূর্বাভাস Logo প্রশাসনিক সমন্বয় ও সংস্কার ছাড়া পরিবেশ সংরক্ষণ সম্ভব নয় : পরিবেশ উপদেষ্টা Logo বেসরকারি শিক্ষক নিয়োগে নারী কোটা বাতিল Logo প্রকৃতির সঙ্গে সুর মিলিয়ে চলার বার্তা নিয়ে এবছরের আন্তর্জাতিক জীববৈচিত্র্য দিবস Logo জাতীয় নির্বাচন, ‘মানবিক করিডোর’, মব সহিংসতা নিয়ে যা বললেন সেনাপ্রধান Logo রিট খারিজ, মেয়র হিসেবে ইশরাককে শপথ পড়ানোর বাধা নেই Logo প্রাক বর্ষায় রাজধানীসহ নানাস্থানে মাঝারি-ভারী বৃষ্টি Logo শিল্পে বিনামূল্যে ভূগর্ভস্থ পানি উত্তোলন বন্ধে নীতিমালা চূড়ান্ত হচ্ছে : রিজওয়ানা হাসান Logo শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নতুন শপথবাক্য পাঠ করানোর নির্দেশ

নিউ ইয়র্ক টাইমসের দাবি: পাকিস্তানে হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে ভারত!

নিউ ইয়র্ক টাইমসের দাবি: পাকিস্তানে হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে ভারত!

কাশ্মীরে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে। এর মধ্যেই আমেরিকান সংবাদমাধ্যম নিউ ইয়র্ক টাইমস দাবি করেছে, পাকিস্তানে হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে ভারত!

 

রোববার (২৭ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এই দাবি করেছে নিউইয়র্ক টাইমস।

 

প্রতিবেদনে বলা হয়, পেহেলগামে হামলার পর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বিশ্বের এক ডজনের বেশি নেতার সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন। পাশাপাশি দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দিল্লিতে শতাধিক কূটনৈতিক মিশনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে নিয়মিত আলোচনা চালাচ্ছে।

 

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে দেয়া ব্রিফিংয়ের সঙ্গে জড়িত চার কূটনীতিকের উদ্ধৃতি দিয়ে নিউইয়র্ক টাইমস জানায়, মোদি ২২ এপ্রিলের পর থেকে বিশ্বনেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। তবে এসব প্রচেষ্টা মূলত শান্তি আনার জন্য নয়, বরং সামরিক প্রতিক্রিয়ার ক্ষেত্র প্রস্তুতের অংশ।

 

গত বৃহস্পতিবার দেয়া এক ভাষণে মোদি ‘সন্ত্রাসের আস্তানা ধ্বংসের’ হুমকি দেন, যদিও তিনি সরাসরি পাকিস্তানের নাম নেননি।

 

নিউইয়র্ক টাইমস আরও জানায়, পরিস্থিতি অত্যন্ত উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। ভারতীয় বাহিনী কাশ্মীরে তল্লাশি অভিযান জোরদার করেছে এবং হামলার সঙ্গে জড়িতদের খুঁজতে শত শত মানুষকে গ্রেফতার করেছে।

 

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কূটনৈতিক ব্রিফিংয়ে ভারতীয় কর্মকর্তারা পাকিস্তানের অতীতের সন্ত্রাসবাদে সহায়তার ইতিহাস তুলে ধরেছেন। তারা জানান, সর্বশেষ এই হামলার ঘটনায় তদন্ত চলছে এবং হামলাকারীদের পাকিস্তানের সঙ্গে সংযোগ রয়েছে এমন কিছু প্রযুক্তিগত প্রমাণ পাওয়া গেছে।

 

বিশ্লেষক ও কূটনীতিকদের মতে, এখন পর্যন্ত শক্ত প্রমাণের অভাব দুটি সম্ভাবনার ইঙ্গিত দেয়, হয় ভারত আরও তথ্য সংগ্রহের জন্য সময় নিচ্ছে, নয়তো বর্তমান বিশ্ব পরিস্থিতিতে তারা মনে করছে-আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে বিস্তারিত ব্যাখ্যা না দিয়েই পদক্ষেপ নেয়া যাবে।

 

সংবাদমাধ্যমটি বলছে, বর্তমানে ভারতের কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক শক্তি বৃদ্ধি পাওয়ায় আন্তর্জাতিক চাপের ‘তোয়াক্কা অনেক কম’।

 

ভারতের সাবেক জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা শিব শঙ্কর মেনন বলেন, কাশ্মীরে এবারের হামলার পর পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপ নেয়া ছাড়া কোনো বিকল্প নেই। কারণ ২০১৬ ও ২০১৯ সালে পাকিস্তানে হামলা চালিয়েছিল ভারত। ভারতীয় সরকার এখন আরও চাপের মধ্যে রয়েছে, কারণ সাম্প্রতিক বছরগুলোতে কাশ্মীরকে আরও নিরাপদ ও পর্যটনকে উৎসাহিত করে প্রচারণা চালিয়েছে।

 

তবে মেনন বলেন, ‘আমি খুব চিন্তিত নই যে, উভয় পক্ষই সংঘাতে একটি নিয়ন্ত্রিত অবস্থায় থাকবে।’

আপলোডকারীর তথ্য

Shuvo

প্রকৃতির প্রতিশোধ: সংকটে জীববৈচিত্র্য

নিউ ইয়র্ক টাইমসের দাবি: পাকিস্তানে হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে ভারত!

আপডেট সময় ০৫:২৯:৫৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫

কাশ্মীরে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে। এর মধ্যেই আমেরিকান সংবাদমাধ্যম নিউ ইয়র্ক টাইমস দাবি করেছে, পাকিস্তানে হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে ভারত!

 

রোববার (২৭ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এই দাবি করেছে নিউইয়র্ক টাইমস।

 

প্রতিবেদনে বলা হয়, পেহেলগামে হামলার পর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বিশ্বের এক ডজনের বেশি নেতার সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন। পাশাপাশি দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দিল্লিতে শতাধিক কূটনৈতিক মিশনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে নিয়মিত আলোচনা চালাচ্ছে।

 

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে দেয়া ব্রিফিংয়ের সঙ্গে জড়িত চার কূটনীতিকের উদ্ধৃতি দিয়ে নিউইয়র্ক টাইমস জানায়, মোদি ২২ এপ্রিলের পর থেকে বিশ্বনেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। তবে এসব প্রচেষ্টা মূলত শান্তি আনার জন্য নয়, বরং সামরিক প্রতিক্রিয়ার ক্ষেত্র প্রস্তুতের অংশ।

 

গত বৃহস্পতিবার দেয়া এক ভাষণে মোদি ‘সন্ত্রাসের আস্তানা ধ্বংসের’ হুমকি দেন, যদিও তিনি সরাসরি পাকিস্তানের নাম নেননি।

 

নিউইয়র্ক টাইমস আরও জানায়, পরিস্থিতি অত্যন্ত উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। ভারতীয় বাহিনী কাশ্মীরে তল্লাশি অভিযান জোরদার করেছে এবং হামলার সঙ্গে জড়িতদের খুঁজতে শত শত মানুষকে গ্রেফতার করেছে।

 

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কূটনৈতিক ব্রিফিংয়ে ভারতীয় কর্মকর্তারা পাকিস্তানের অতীতের সন্ত্রাসবাদে সহায়তার ইতিহাস তুলে ধরেছেন। তারা জানান, সর্বশেষ এই হামলার ঘটনায় তদন্ত চলছে এবং হামলাকারীদের পাকিস্তানের সঙ্গে সংযোগ রয়েছে এমন কিছু প্রযুক্তিগত প্রমাণ পাওয়া গেছে।

 

বিশ্লেষক ও কূটনীতিকদের মতে, এখন পর্যন্ত শক্ত প্রমাণের অভাব দুটি সম্ভাবনার ইঙ্গিত দেয়, হয় ভারত আরও তথ্য সংগ্রহের জন্য সময় নিচ্ছে, নয়তো বর্তমান বিশ্ব পরিস্থিতিতে তারা মনে করছে-আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে বিস্তারিত ব্যাখ্যা না দিয়েই পদক্ষেপ নেয়া যাবে।

 

সংবাদমাধ্যমটি বলছে, বর্তমানে ভারতের কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক শক্তি বৃদ্ধি পাওয়ায় আন্তর্জাতিক চাপের ‘তোয়াক্কা অনেক কম’।

 

ভারতের সাবেক জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা শিব শঙ্কর মেনন বলেন, কাশ্মীরে এবারের হামলার পর পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপ নেয়া ছাড়া কোনো বিকল্প নেই। কারণ ২০১৬ ও ২০১৯ সালে পাকিস্তানে হামলা চালিয়েছিল ভারত। ভারতীয় সরকার এখন আরও চাপের মধ্যে রয়েছে, কারণ সাম্প্রতিক বছরগুলোতে কাশ্মীরকে আরও নিরাপদ ও পর্যটনকে উৎসাহিত করে প্রচারণা চালিয়েছে।

 

তবে মেনন বলেন, ‘আমি খুব চিন্তিত নই যে, উভয় পক্ষই সংঘাতে একটি নিয়ন্ত্রিত অবস্থায় থাকবে।’