পরিবেশ দূষণ রোধে বিশেষ দুই সপ্তাহ ধরে বিশেষ অভিযান ও ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেছে পরিবেশ অধিদপ্তর। এই অভিযানে এখন পর্যন্ত সাড়ে ৫ কোটি টাকার বেশি জরিমানা আদায়, শতাধিক ইটভাটা বন্ধ এবং বিপুল পরিমাণে নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ করা হয়েছে, কয়েকটি কারখানা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এতে বলা হয়েছে:
“পরিবেশ অধিদপ্তর সারা দেশে ২ জানুয়ারি থেকে ১৬ জানুয়ারি ২০২৫ পর্যন্ত পরিবেশদূষণ রোধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেছে। এই সময়ে ১২৩টি মোবাইল কোর্টে ৩২৩টি মামলায় ৫ কোটি ৫৮ লাখ ৩৬ হাজার ৭০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।
৭৬টি অবৈধ ইটভাটার চিমনি ভেঙে কার্যক্রম বন্ধ করা হয়েছে। ৩০টি ইটভাটা বন্ধের নির্দেশনা এবং ৭টি ভাটার কাঁচা ইট ধ্বংস করা হয়েছে। এছাড়া ৫টি কারখানার ৬ ট্রাক সীসা/ব্যাটারি গলানোর যন্ত্রপাতি জব্দ করে কারখানা বন্ধ করা হয়েছে।
এছাড়াও বায়ু দূষণের দায়ে খোলা অবস্থায় নির্মাণ সামগ্রী রাখায় কয়েকটি ভবন কর্তৃপক্ষকে জরিমানা এবং সতর্কও করা হয়েছে।
নিষিদ্ধ পলিথিন রোধে ৩ নভেম্বর ২০২৪ থেকে সারা দেশে ২৩৮টি মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হয়েছে। এতে ৪৮০টি প্রতিষ্ঠান থেকে ৩২ লাখ ৮৯ হাজার ৮০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। প্রায় ৭৫ হাজার ৮০২ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ এবং ৭টি কারখানার সেবা সংযোগ বিচ্ছিন্ন ও সিলগালা করা হয়েছে।
আজ ১৬ জানুয়ারি ময়মনসিংহ, নারায়ণগঞ্জ এবং ঢাকার কামরাঙ্গীরচরে মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হয়। এতে ৯টি মামলায় ১৭ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। তিনটি কারখানার বৈদ্যুতিক মিটার জব্দ, বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন এবং আনুমানিক ১০০ টন পলিথিনসহ কারখানা সিলগালা করা হয়েছে। একই সময়ে দেশে প্রায় ২ হাজার ৫ কেজি পলিথিন জব্দ করা হয়।
আজ সাতক্ষীরা, নীলফামারী, মাদারীপুর এবং গাজীপুরে অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে ৪টি মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হয়। এতে ৮টি মামলায় ১৭ লাখ টাকা জরিমানা আদায় এবং ৪টি ইটভাটার কার্যক্রম বন্ধ করা হয়।
ময়মনসিংহে শব্দদূষণ রোধে ১টি মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হয়। এতে ১টি যানবাহনের চালককে ৫০০ টাকা জরিমানা এবং অন্যান্য চালককে সতর্ক করা হয়েছে।
পরিবেশ দূষণ রোধে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় ও পরিবেশ অধিদপ্তরের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।”