যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসে ছড়িয়ে পড়া প্রাণঘাতী দাবানলে মৃত্যু বেড়ে অন্তত ১৬ জনে দাঁড়িয়েছে। নিখোঁজ রয়েছে ২৩ জন। দাবানলগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড়টি নগরীর সবচেয়ে অভিজাত এলাকাগুলোর মধ্যে একটিতে ছড়িয়ে পড়ার মুখে আছে। এ হুমকি ঠেকাতে দমকল কর্মীরা সর্বাত্মক লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। এখন পর্যন্ত আর্থিক ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ১৫০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যেতে পারে।
বিবিসি জানিয়েছে, লস অ্যাঞ্জেলেসের উত্তরপশ্চিম প্রান্তের প্যালিসেইডস আগুন ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আরও ১০০০ একর এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে, এতে আরও বহু ঘরবাড়ি দাবানলের গ্রাসে চলে গেছে। দাবানলটি এখন লস অ্যাঞ্জেলেসের পশ্চিমাংশের অভিজাত ব্রেন্টউড এলাকায় ছড়িয়ে পড়ার হুমকি তৈরি করেছে।
আমেরিকান সংবাদমাধ্যম সিএনএন বলছে, শুষ্ক বাতাসের তীব্রতায় ব্রেন্টউড ছাড়াও এনসিনো, পশ্চিম লস অ্যাঞ্জেলেসসহ দাবানল আরও ভেতরের দিকে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
লস অ্যাঞ্জেলেসে দাবানলের ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন হলিউড তারকারাও। মেল গিবসন, অ্যান্থনি হপকিনস, প্যারিস হিলটন, জেফ ব্রিজেস, জেনিফার গ্রে, ম্যান্ডি মুর, ক্যারি এলওয়েসসহ বেশ কয়েকজন তারকার বাসভবন পুড়ে ছাই হয়ে গেছে আগুনে।
দাবানলে প্রাণ গেছে সাবেক এক টেলিভিশন তারকার। ররি সাইকস নামের এই তারকা ১৯৯৮ সালে শৈশবকালে ব্রিটিশ টিভি শো ‘কিডি ক্যাপারস’ এবং ২০০৩ সালে অস্ট্রেলিয়ান শো ‘মর্নিংস উইথ কেরি-অ্যান’-এ উপস্থিত হয়ে দর্শকমহলে বেশ জনপ্রিয়তা পান।
মৃত্যুকালে ৩২ বছর বয়সী সাইকস পেশাদার মোটিভেশনাল স্পিকার এবং দানবীর হিসেবেও সুপরিচিত ছিলেন তিনি।
অনীশ আরও বলেন, ‘এই অতি সুক্ষ কণা আমাদের নাক ও গলায় ঢুকে যায়। ফরে গলা ও মাথাব্যথা হয় শুরু হয়। তাই যেসব এলাকায় দৃশ্যমান ধোঁয়া বা ধোঁয়ার গন্ধ রয়েছে, এমনকি যেখানে আপনি তা দেখতে পান না, সেখানেও বাতাসের মান খারাপ। তাই যতটা সম্ভব ঘরের বাইরে যাওয়া কমিয়ে আনা উচিত।’
এ পরিস্থিতিতে সুস্থ বাসিন্দাদেরও যতটা সম্ভব ঘরের ভেতরে থাকা উচিত। কোনো না কোনো বায়ু পরিশোধনব্যবস্থা ব্যবহার করা উচিত বলে জানিয়েছেন আনিশ মাহাজান।