পুরনো মূলমন্ত্রে ফিরে গেছে বাংলা একাডেমি

পুরনো মূলমন্ত্রে ফিরে গেছে বাংলা একাডেমি

পুরনো ‘মূলমন্ত্রে’ ফিরেছে বাংলা একাডেমি। এখন থেকে বাংলা একাডেমি ‘বাঙালি জাতিসত্তা ও বুদ্ধিবৃত্তিক উৎকর্ষের প্রতীকের’ এর পরিবর্তে ‘বাংলা একাডেমি জাতির মননের প্রতীক’ এই মূলমন্ত্রে পথ চলবে।

একাডেমির নির্বাহী পরিষদের ২০২৫ সালের ষষ্ঠ সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী একাডেমির মূলমন্ত্র বা মোটো পরিবর্তন করা হয়েছে। একাডেমি সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, অধ্যাপক মোহাম্মদ হারুন-উর রশিদ বাংলা একাডেমির মহাপরিচালকের দায়িত্বে থাকার সময় একাডেমির মূলমন্ত্র করা হয়েছিল ‘বাংলা একাডেমি জাতির মননের প্রতীক’। মোহাম্মদ হারুন-উর রশিদ ১৯৯১ সালে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছিলেন। তার চার বছরের মেয়াদের শেষ দিকে ‘জাতির মননের প্রতীক’ মূলমন্ত্রটি চূড়ান্ত করা হয়।

ক্ষমতচ্যুত আওয়ামী লীগের শাসনামলে শামসুজ্জামান খান মহাপরিচালক থাকাকালে বাংলা একাডেমির মূলমন্ত্র পরিবর্তন করে ‘বাংলা একাডেমি বাঙালি জাতিসত্তা ও বুদ্ধিবৃত্তিক উৎকর্ষের প্রতীক’ করা হয়। শামসুজ্জামান খান ২০০৯ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক ছিলেন। তার আগে ২০০৭-২০০৯ সাল পর্যন্ত একাডেমির মহাপরিচালক ছিলেন সৈয়দ মোহাম্মদ শাহেদ।

এই পরিবর্তন কীভাবে দেখছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, “আমি যখন মহাপরিচালক ছিলাম, তখন তো এটিই ছিল যে ‘জাতির মননের প্রতীক’। পরে এটি পরিবর্তনের কী দরকার হয়েছিল, আমি জানি না। আমার সময় তো মূলমন্ত্রে কোনো সমস্যা দেখিনি।” একাডেমি সংশ্লিষ্ট একজন কর্মকর্তা বলেছেন, ‘বাংলা একাডেমি বাঙালি জাতিসত্তা ও বুদ্ধিবৃত্তিক উৎকর্ষের প্রতীক’ বলার মধ্য দিয়ে দেশের অন্যান্য জাতিগোষ্ঠীর অংশগ্রহণকে ‘সংকুচিত করা হয়’– এই যুক্তিতে এই পরিবর্তন আনা হয়েছে।

একাডেমি মনে করছে, ‘জাতির মননের প্রতীক’ বলার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে বসবাসরত ‘সকল জাতির আকাঙ্ক্ষাকে’ ধারণ করা হয়। বাংলা একাডেমির পুরস্কারপ্রাপ্ত নাট্যকার ও কবি শুভাশিস সিনহা বলেন, “এখন যে মূলমন্ত্রটি করা হয়েছে, ‘জাতির মননের প্রতীক, তা যথার্থই। তবে আমি মনে করি জাতির মননের ও সৃজনের প্রতীক’ বললে অর্থটি আরো বেশি ব্যপ্ত হয়।”

পুরনো মূলমন্ত্রে ফিরে গেছে বাংলা একাডেমি

আপডেট সময় ০৬:৩৩:০৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩১ মে ২০২৫
পুরনো ‘মূলমন্ত্রে’ ফিরেছে বাংলা একাডেমি। এখন থেকে বাংলা একাডেমি ‘বাঙালি জাতিসত্তা ও বুদ্ধিবৃত্তিক উৎকর্ষের প্রতীকের’ এর পরিবর্তে ‘বাংলা একাডেমি জাতির মননের প্রতীক’ এই মূলমন্ত্রে পথ চলবে।

একাডেমির নির্বাহী পরিষদের ২০২৫ সালের ষষ্ঠ সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী একাডেমির মূলমন্ত্র বা মোটো পরিবর্তন করা হয়েছে। একাডেমি সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, অধ্যাপক মোহাম্মদ হারুন-উর রশিদ বাংলা একাডেমির মহাপরিচালকের দায়িত্বে থাকার সময় একাডেমির মূলমন্ত্র করা হয়েছিল ‘বাংলা একাডেমি জাতির মননের প্রতীক’। মোহাম্মদ হারুন-উর রশিদ ১৯৯১ সালে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছিলেন। তার চার বছরের মেয়াদের শেষ দিকে ‘জাতির মননের প্রতীক’ মূলমন্ত্রটি চূড়ান্ত করা হয়।

ক্ষমতচ্যুত আওয়ামী লীগের শাসনামলে শামসুজ্জামান খান মহাপরিচালক থাকাকালে বাংলা একাডেমির মূলমন্ত্র পরিবর্তন করে ‘বাংলা একাডেমি বাঙালি জাতিসত্তা ও বুদ্ধিবৃত্তিক উৎকর্ষের প্রতীক’ করা হয়। শামসুজ্জামান খান ২০০৯ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক ছিলেন। তার আগে ২০০৭-২০০৯ সাল পর্যন্ত একাডেমির মহাপরিচালক ছিলেন সৈয়দ মোহাম্মদ শাহেদ।

এই পরিবর্তন কীভাবে দেখছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, “আমি যখন মহাপরিচালক ছিলাম, তখন তো এটিই ছিল যে ‘জাতির মননের প্রতীক’। পরে এটি পরিবর্তনের কী দরকার হয়েছিল, আমি জানি না। আমার সময় তো মূলমন্ত্রে কোনো সমস্যা দেখিনি।” একাডেমি সংশ্লিষ্ট একজন কর্মকর্তা বলেছেন, ‘বাংলা একাডেমি বাঙালি জাতিসত্তা ও বুদ্ধিবৃত্তিক উৎকর্ষের প্রতীক’ বলার মধ্য দিয়ে দেশের অন্যান্য জাতিগোষ্ঠীর অংশগ্রহণকে ‘সংকুচিত করা হয়’– এই যুক্তিতে এই পরিবর্তন আনা হয়েছে।

একাডেমি মনে করছে, ‘জাতির মননের প্রতীক’ বলার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে বসবাসরত ‘সকল জাতির আকাঙ্ক্ষাকে’ ধারণ করা হয়। বাংলা একাডেমির পুরস্কারপ্রাপ্ত নাট্যকার ও কবি শুভাশিস সিনহা বলেন, “এখন যে মূলমন্ত্রটি করা হয়েছে, ‘জাতির মননের প্রতীক, তা যথার্থই। তবে আমি মনে করি জাতির মননের ও সৃজনের প্রতীক’ বললে অর্থটি আরো বেশি ব্যপ্ত হয়।”