সংবাদ শিরোনাম ::
Logo প্রকৃতির প্রতিশোধ: সংকটে জীববৈচিত্র্য Logo লঘুচাপ, ঘূর্ণিঝড়ের গুঞ্জন! কেমন যেতে পারে মাসের শেষ দিনগুলো, যা বলছে আবহাওয়ার পূর্বাভাস Logo প্রশাসনিক সমন্বয় ও সংস্কার ছাড়া পরিবেশ সংরক্ষণ সম্ভব নয় : পরিবেশ উপদেষ্টা Logo বেসরকারি শিক্ষক নিয়োগে নারী কোটা বাতিল Logo প্রকৃতির সঙ্গে সুর মিলিয়ে চলার বার্তা নিয়ে এবছরের আন্তর্জাতিক জীববৈচিত্র্য দিবস Logo জাতীয় নির্বাচন, ‘মানবিক করিডোর’, মব সহিংসতা নিয়ে যা বললেন সেনাপ্রধান Logo রিট খারিজ, মেয়র হিসেবে ইশরাককে শপথ পড়ানোর বাধা নেই Logo প্রাক বর্ষায় রাজধানীসহ নানাস্থানে মাঝারি-ভারী বৃষ্টি Logo শিল্পে বিনামূল্যে ভূগর্ভস্থ পানি উত্তোলন বন্ধে নীতিমালা চূড়ান্ত হচ্ছে : রিজওয়ানা হাসান Logo শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নতুন শপথবাক্য পাঠ করানোর নির্দেশ

পুলিশ পরিদর্শক হত্যা: আলোচিত সেই আরাভ খানের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

পুলিশ পরিদর্শক হত্যা: আলোচিত সেই আরাভ খানের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের (এসবি) পরিদর্শক মামুন ইমরান খান হত্যা মামলায় দুবাইয়ে পলাতক আলোচিত স্বর্ণ ব্যবসায়ী আরাভ খানসহ আটজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

 

বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ জাকির হোসেন (গালিব) এ রায় ঘোষণা করেন। সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সূত্রে বিষয়টি জানা গেছে।

 

যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত মামলার অপর আসামিরা হলেন- সুরাইয়া আক্তার কেয়া (২১), ইমরানের বন্ধু রহমত উল্লাহ (৩৫), স্বপন সরকার (৩৯), দিদার পাঠান (২১), মিজান শেখ (২১), আতিক হাসান (২১), সারোয়ার হোসেন (২৩)।

 

আসামিদের মধ্যে আরাভ খান ও তার স্ত্রী সুরাইয়া আক্তার কেয়া পলাতক রয়েছেন। অন্য আসামিরা কারাগারে আছেন।

 

উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ৯ জুলাই গাজীপুরের জঙ্গল থেকে মামুন ইমরান খানের লাশ উদ্ধার করা হয়। ওই ঘটনায় মামুনের ভাই জাহাঙ্গীর আলম খান বাদী হয়ে রাজধানীর বনানী থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক শেখ মাহবুবুর রহমান ২০১৯ সালের ৮ এপ্রিল আদালতে এ মামলার চার্জশিট দাখিল করেন। ২০২১ সালের ২৫ নভেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করেন আদালত। মামলাটিতে ৩৮ জন সাক্ষীর মধ্যে আদালতে ২৬ জন সাক্ষ্য দেন।

 

রবিউল ইসলাম এখন আরাভ খান নাম ধারণ করে দুবাইয়ে আছেন। ২০২৩ সালে দুবাইয়ে অভিজাত জুয়েলারি দোকান উদ্বোধন করে আলোচনায় আসেন তিনি। ২০২৩ সালে একটি অস্ত্র মামলায় তাকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেন ঢাকার একটি ট্রাইব্যুনাল।

 

কী হয়েছিল পুলিশ কর্মকর্তা মামুনের সাথে?

মামুন হত্যা মামলার অভিযোগপত্র ও তদন্ত–সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, পুলিশ কর্মকর্তা মামুন এমরান খানকে বান্ধবীর জন্মদিনের অনুষ্ঠানের কথা বলে বনানীর একটি বাসায় ডেকে নিয়েছিলেন ‘বন্ধু’ রহমত উল্লাহ। পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী সেখানে আগে থেকে অবস্থান করছিলেন তিন নারী। বাসার একটি কক্ষে লুকিয়ে ছিলেন দিদার, আতিক, স্বপন সরকারসহ পাঁচজন। তাঁদের লক্ষ্য ছিল—ওই নারীদের সঙ্গে আপত্তিকর ছবি তুলে মামুনের কাছ থেকে টাকা আদায় করা।

 

তখন বাসার একটু দূরে দাঁড়িয়ে পুরো ঘটনা দেখছিলেন রবিউল ইসলাম, সাম্প্রতিক সময়ে যিনি আরাভ খান নামে পরিচিত। বনানীর ওই বাসা ছিল তাঁরই। যদিও তিনি এটিকে তাঁর অফিস বলে উল্লেখ করেছেন।

 

বাসায় ডেকে আনার পর ব্ল্যাকমেল করে টাকা আদায়ে ব্যর্থ হয়ে হাত–পা বেঁধে মামুনকে বেদম মারধর করেন রহমতউল্লাহ, দিদার ও আতিকেরা। ওই রাতেই মামুনের মৃত্যু হয়। পরে রহমত উল্লাহর পরিকল্পনায় বাইরে থেকে দুটি বস্তা ও একটি সাদা কাপড় নিয়ে আসেন রবিউল ওরফে আরাভ খান। সেই বস্তায় ভরে মামুনের লাশ গাড়িতে করে গাজীপুরের একটি জঙ্গলে নিয়ে পেট্রল ঢেলে পুড়িয়ে দেওয়া হয়।

আপলোডকারীর তথ্য

Shuvo

প্রকৃতির প্রতিশোধ: সংকটে জীববৈচিত্র্য

পুলিশ পরিদর্শক হত্যা: আলোচিত সেই আরাভ খানের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

আপডেট সময় ০৪:৫৯:৩৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৫

পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের (এসবি) পরিদর্শক মামুন ইমরান খান হত্যা মামলায় দুবাইয়ে পলাতক আলোচিত স্বর্ণ ব্যবসায়ী আরাভ খানসহ আটজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

 

বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ জাকির হোসেন (গালিব) এ রায় ঘোষণা করেন। সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সূত্রে বিষয়টি জানা গেছে।

 

যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত মামলার অপর আসামিরা হলেন- সুরাইয়া আক্তার কেয়া (২১), ইমরানের বন্ধু রহমত উল্লাহ (৩৫), স্বপন সরকার (৩৯), দিদার পাঠান (২১), মিজান শেখ (২১), আতিক হাসান (২১), সারোয়ার হোসেন (২৩)।

 

আসামিদের মধ্যে আরাভ খান ও তার স্ত্রী সুরাইয়া আক্তার কেয়া পলাতক রয়েছেন। অন্য আসামিরা কারাগারে আছেন।

 

উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ৯ জুলাই গাজীপুরের জঙ্গল থেকে মামুন ইমরান খানের লাশ উদ্ধার করা হয়। ওই ঘটনায় মামুনের ভাই জাহাঙ্গীর আলম খান বাদী হয়ে রাজধানীর বনানী থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক শেখ মাহবুবুর রহমান ২০১৯ সালের ৮ এপ্রিল আদালতে এ মামলার চার্জশিট দাখিল করেন। ২০২১ সালের ২৫ নভেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করেন আদালত। মামলাটিতে ৩৮ জন সাক্ষীর মধ্যে আদালতে ২৬ জন সাক্ষ্য দেন।

 

রবিউল ইসলাম এখন আরাভ খান নাম ধারণ করে দুবাইয়ে আছেন। ২০২৩ সালে দুবাইয়ে অভিজাত জুয়েলারি দোকান উদ্বোধন করে আলোচনায় আসেন তিনি। ২০২৩ সালে একটি অস্ত্র মামলায় তাকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেন ঢাকার একটি ট্রাইব্যুনাল।

 

কী হয়েছিল পুলিশ কর্মকর্তা মামুনের সাথে?

মামুন হত্যা মামলার অভিযোগপত্র ও তদন্ত–সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, পুলিশ কর্মকর্তা মামুন এমরান খানকে বান্ধবীর জন্মদিনের অনুষ্ঠানের কথা বলে বনানীর একটি বাসায় ডেকে নিয়েছিলেন ‘বন্ধু’ রহমত উল্লাহ। পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী সেখানে আগে থেকে অবস্থান করছিলেন তিন নারী। বাসার একটি কক্ষে লুকিয়ে ছিলেন দিদার, আতিক, স্বপন সরকারসহ পাঁচজন। তাঁদের লক্ষ্য ছিল—ওই নারীদের সঙ্গে আপত্তিকর ছবি তুলে মামুনের কাছ থেকে টাকা আদায় করা।

 

তখন বাসার একটু দূরে দাঁড়িয়ে পুরো ঘটনা দেখছিলেন রবিউল ইসলাম, সাম্প্রতিক সময়ে যিনি আরাভ খান নামে পরিচিত। বনানীর ওই বাসা ছিল তাঁরই। যদিও তিনি এটিকে তাঁর অফিস বলে উল্লেখ করেছেন।

 

বাসায় ডেকে আনার পর ব্ল্যাকমেল করে টাকা আদায়ে ব্যর্থ হয়ে হাত–পা বেঁধে মামুনকে বেদম মারধর করেন রহমতউল্লাহ, দিদার ও আতিকেরা। ওই রাতেই মামুনের মৃত্যু হয়। পরে রহমত উল্লাহর পরিকল্পনায় বাইরে থেকে দুটি বস্তা ও একটি সাদা কাপড় নিয়ে আসেন রবিউল ওরফে আরাভ খান। সেই বস্তায় ভরে মামুনের লাশ গাড়িতে করে গাজীপুরের একটি জঙ্গলে নিয়ে পেট্রল ঢেলে পুড়িয়ে দেওয়া হয়।