সংবাদ শিরোনাম ::
Logo ইকোসিস্টেমকে রক্ষা করে প্রাকৃতিক সম্পদকে সুরক্ষার বার্তা দিলেন পরিবেশ সচিব Logo নতুন প্রজন্মকে সাথে নিয়ে এবছরের ‘সবুজে সাজাই বাংলাদেশ’ শুরু  Logo গাজীপুরে কৃষি প্রযুক্তি ও পুষ্টি মেলার উদ্বোধন Logo দাবি না মানলে জবি শিক্ষার্থীদের লাগাতার কর্মসূচির ঘোষণা Logo সাম্য হত্যার ঘটনায় শোক পালন করছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন Logo অ্যান্টার্কটিকায় জলবায়ু পরিবর্তন স্পষ্ট, পূর্ব দিকের চেয়ে পশ্চিমে দ্রুত গলছে বরফ Logo প্রকৃতিকে ধ্বংস করে উন্নয়ন হলে সে উন্নয়ন টেকসই হবেনা: রিজওয়ানা হাসান Logo ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে সম্মানসূচক ডি. লিট ডিগ্রি দিলো চবি Logo চিরতরে চলে গেলেন ‘সবচেয়ে গরিব প্রেসিডেন্ট’   Logo চট্টগ্রাম বন্দর বাংলাদেশের অর্থনীতির হৃৎপিণ্ড: প্রধান উপদেষ্টা

প্রবীর মিত্রের মৃত্যুতে চলচ্চিত্র অঙ্গনে শোক, জানাজা ও দাফন সম্পর্কে যা জানা গেল!

চিরবিদায় নিয়েছেন বাংলা সিনেমার কিংবদন্তী অভিনেতা প্রবীর মিত্র। রোববার (৫ জানুয়ারি) রাতে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার জয়ী এই অভিনেতা। তার মৃত্যুতে শোকে স্তব্ধ দেশের চলচ্চিত্র অঙ্গনসহ তার ভক্ত-অনুরাগীরা।

বর্ষীয়ান অভিনেতা প্রবীর মিত্রের মরদেহ নেওয়া হবে চলচ্চিত্রের আঁতুড়ঘর এফডিসিতে। আজ দুপুর ১২টার দিকে সেখানে শ্রদ্ধা জানানো শেষে বাদ জোহর তাঁর জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।

সোমবার বাদ যোহর এফডিসিতে প্রথম জানাজা হবে। এরপর মরদেহ নিয়ে যাওয়া হবে চ্যানেল আইতে। সেখানে দ্বিতীয় জানাজা শেষে আজিমপুর কবরস্থানে দাফন করা হবে।

প্রসঙ্গত, রোববার (৫ জানুয়ারি) দিবাগত রাত ১০টা ১০ মিনিটে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন প্রবীর মিত্র। তাঁর বয়স হয়েছিল ৮১ বছর।

এর আগে, গত ২২ ডিসেম্বর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল প্রবীর মিত্রকে। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে আইসিইউতে নেওয়া হয়।

১৯৪৩ সালের ১৮ আগস্ট কুমিল্লার চান্দিনায় জন্মগ্রহণ করেন প্রবীর মিত্র। তাঁর পুরো নাম প্রবীর কুমার মিত্র। পুরান ঢাকায় বড় হওয়া প্রবীর স্কুলজীবন থেকেই নাট্যচর্চার সঙ্গে যুক্ত হন। সেসময়ে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘ডাকঘর’ নাটকে অভিনয় করেছিলেন তিনি।

১৯৬৯ সালে ‘জলছবি’ সিনেমায় অভিনয়ের মধ্য দিয়ে চলচ্চিত্রাঙ্গনে অভিষেক করেন প্রবীর মিত্র। সিনেমাটি মুক্তি পায় ১৯৭১ সালে। ক্যারিয়ারের শুরুতে কয়েকটি সিনেমায় নায়ক হিসেবে কাজ করলেও পরে চরিত্রাভিনেতা হিসেবে দর্শকপ্রিয়তা অর্জন করেন তিনি।

১৯৮২ সালে ‘বড় ভালো লোক ছিল’ সিনেমায় অভিনয়ের জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান প্রবীর মিত্র। ২০১৮ সালে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের ‘আজীবন সম্মাননা’তেও ভূষিত হন এই অভিনেতা। সবশেষ এ অভিনেতাকে ২০২৩ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘বৃদ্ধাশ্রম’ নামে একটি সিনেমায় দেখা গেছে।

দীর্ঘ ৫ দশকের ক্যারিয়ারে ‘তিতাস একটি নদীর নাম’, ‘জীবন তৃষ্ণা’, ‘সেয়ানা’, ‘জালিয়াত’, ‘ফরিয়াদ’, ‘রক্ত শপথ’, ‘চরিত্রহীন’, ‘জয় পরাজয়’, ‘অঙ্গার’, ‘মিন্টু আমার নাম’, ‘ফকির মজনু শাহ’, ‘মধুমিতা’, ‘অশান্ত ঢেউ’, ‘অলংকার’, ‘অনুরাগ’, ‘প্রতিজ্ঞা’, ‘তরুলতা’, ‘গাঁয়ের ছেলে’, ‘পুত্রবধূ’সহ  চারশ সিনেমায় অভিনয় করেছেন তিনি।

আপলোডকারীর তথ্য

ইকোসিস্টেমকে রক্ষা করে প্রাকৃতিক সম্পদকে সুরক্ষার বার্তা দিলেন পরিবেশ সচিব

প্রবীর মিত্রের মৃত্যুতে চলচ্চিত্র অঙ্গনে শোক, জানাজা ও দাফন সম্পর্কে যা জানা গেল!

আপডেট সময় ০১:০৬:৪৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ৬ জানুয়ারী ২০২৫

চিরবিদায় নিয়েছেন বাংলা সিনেমার কিংবদন্তী অভিনেতা প্রবীর মিত্র। রোববার (৫ জানুয়ারি) রাতে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার জয়ী এই অভিনেতা। তার মৃত্যুতে শোকে স্তব্ধ দেশের চলচ্চিত্র অঙ্গনসহ তার ভক্ত-অনুরাগীরা।

বর্ষীয়ান অভিনেতা প্রবীর মিত্রের মরদেহ নেওয়া হবে চলচ্চিত্রের আঁতুড়ঘর এফডিসিতে। আজ দুপুর ১২টার দিকে সেখানে শ্রদ্ধা জানানো শেষে বাদ জোহর তাঁর জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।

সোমবার বাদ যোহর এফডিসিতে প্রথম জানাজা হবে। এরপর মরদেহ নিয়ে যাওয়া হবে চ্যানেল আইতে। সেখানে দ্বিতীয় জানাজা শেষে আজিমপুর কবরস্থানে দাফন করা হবে।

প্রসঙ্গত, রোববার (৫ জানুয়ারি) দিবাগত রাত ১০টা ১০ মিনিটে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন প্রবীর মিত্র। তাঁর বয়স হয়েছিল ৮১ বছর।

এর আগে, গত ২২ ডিসেম্বর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল প্রবীর মিত্রকে। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে আইসিইউতে নেওয়া হয়।

১৯৪৩ সালের ১৮ আগস্ট কুমিল্লার চান্দিনায় জন্মগ্রহণ করেন প্রবীর মিত্র। তাঁর পুরো নাম প্রবীর কুমার মিত্র। পুরান ঢাকায় বড় হওয়া প্রবীর স্কুলজীবন থেকেই নাট্যচর্চার সঙ্গে যুক্ত হন। সেসময়ে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘ডাকঘর’ নাটকে অভিনয় করেছিলেন তিনি।

১৯৬৯ সালে ‘জলছবি’ সিনেমায় অভিনয়ের মধ্য দিয়ে চলচ্চিত্রাঙ্গনে অভিষেক করেন প্রবীর মিত্র। সিনেমাটি মুক্তি পায় ১৯৭১ সালে। ক্যারিয়ারের শুরুতে কয়েকটি সিনেমায় নায়ক হিসেবে কাজ করলেও পরে চরিত্রাভিনেতা হিসেবে দর্শকপ্রিয়তা অর্জন করেন তিনি।

১৯৮২ সালে ‘বড় ভালো লোক ছিল’ সিনেমায় অভিনয়ের জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান প্রবীর মিত্র। ২০১৮ সালে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের ‘আজীবন সম্মাননা’তেও ভূষিত হন এই অভিনেতা। সবশেষ এ অভিনেতাকে ২০২৩ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘বৃদ্ধাশ্রম’ নামে একটি সিনেমায় দেখা গেছে।

দীর্ঘ ৫ দশকের ক্যারিয়ারে ‘তিতাস একটি নদীর নাম’, ‘জীবন তৃষ্ণা’, ‘সেয়ানা’, ‘জালিয়াত’, ‘ফরিয়াদ’, ‘রক্ত শপথ’, ‘চরিত্রহীন’, ‘জয় পরাজয়’, ‘অঙ্গার’, ‘মিন্টু আমার নাম’, ‘ফকির মজনু শাহ’, ‘মধুমিতা’, ‘অশান্ত ঢেউ’, ‘অলংকার’, ‘অনুরাগ’, ‘প্রতিজ্ঞা’, ‘তরুলতা’, ‘গাঁয়ের ছেলে’, ‘পুত্রবধূ’সহ  চারশ সিনেমায় অভিনয় করেছেন তিনি।