সংবাদ শিরোনাম ::
Logo ভারত-পাকিস্তানে একরাতের ব্যবধানে বোমা হামলা: দিল্লিতে নিহত ৯, ইসলামাবাদে নিহত ১২ Logo রাতের তাপমাত্রা ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে Logo সশস্ত্র বাহিনীর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতার মেয়াদ বাড়ল সাড়ে তিন মাস Logo দুরারোগ্য রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের হজ পালনের অনুমতি দিবে না সৌদি সরকার Logo নদী গিলে নিচ্ছে জমি: ভাঙনের সঙ্গে বাংলাদেশের অন্তহীন লড়াই Logo ময়মনসিংহে বাসে আগুন, দগ্ধ হয়ে চালকের মৃত্যু Logo টাঙ্গুয়ার, হাকালুকি হাওরে সুরক্ষা আদেশ জারি: উচ্চস্বরে গান-বাজনা, পার্টি করা যাবে না Logo জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় ১৮টি প্রকল্প অনুমোদন: উপকূল, পাহাড়ে বাড়লো নিরাপদ পানির আশা     Logo কপ ৩০: জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় এবারের সম্মেলন খুঁজবে দুটি জরুরি প্রশ্নের উত্তর Logo বয়স চল্লিশের পর সকালের নাস্তা কেমন হবে

‘প্রাণী বাঁচান, গ্রহ বাঁচান’ প্রতিপাদ্যে পালিত বিশ্ব প্রাণী দিবস

‘প্রাণী বাঁচান, গ্রহ বাঁচান’ প্রতিপাদ্যে পালিত বিশ্ব প্রাণী দিবস

১৯৭০ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত নিবিড় পর্যবেক্ষণে থাকা প্রাণীদের ৭৩ শতাংশই প্রায় বিলুপ্তির দ্বারপ্রান্তে। এমন মহাশঙ্কা জাগানো বাস্তবতায় এবছর পালিত হচ্ছে বিশ্ব প্রাণী দিবস। অথচ প্রকৃতির ছন্দ রক্ষায় প্রতিটি প্রাণীর টিকে থাকা জরুরী। তাই এবছর প্রাণী বাঁচান, গ্রহ বাঁচান (সেভ এনিম্যালস, সেভ দ্য প্ল্যানেট) প্রতিপাদ্যে বিশ্ব প্রাণী দিবসের ১০০তম বার্ষিকী পালিত হচ্ছে।

 

ওয়ার্ল্ড এনিম্যাল ডে ওয়েবসাইট বলেছে, এবারের প্রতিপাদ্য মূলত প্রাণীকল্যাণ ও পৃথিবী নামক গ্রহের স্বাস্থ্যের সম্পর্কের কথা মনে করিয়ে দেয়।

 

হেনরিক জিম্মারম্যান নামের একজন জার্মান লেখক ও প্রকাশক সর্বপ্রথম ১৯২৫ সালে জার্মানির বার্লিন স্পোর্ট প্যালেসে এই দিবসের সূচনা করেন। তিনি ‘মেন্স উন্ড হুন্দ’ (মানুষ ও কুকুর) নামক একটি ম্যাগাজিনে এই বিষয়ে লিখেছিলেন। ১৯২৯ সালের ৪ অক্টোবর প্রথমবারের মতো দিবসটি পালন করা হয়। প্রথমদিকে জার্মানি, অস্ট্রিয়া, সুইজারল্যান্ড ও চেকোস্লোভাকিয়ার অধিবাসীরা দিবসটি পালন করলেও পরে ১৯৩১ সালে ইতালির ফ্লোরেন্সে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক প্রাণী সুরক্ষা কংগ্রেসে উত্থাপন করা প্রস্তাব মতে, ৪ অক্টোবরকে বিশ্ব প্রাণী দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। বর্তমানে এটি বৈশ্বিকভাবে নানা আয়োজনে পালিত হচ্ছে।

 

পৃথিবীজুড়ে প্রাণীদের অধিকার নিশ্চিত করার জন্য প্রতিবছর ৪ অক্টোবর দিবসটি পালিত হয়। মানবসৃষ্ট কারণের পাশাপাশি নানারকম প্রাকৃতিক দূর্যোগে বিলুপ্ত হচ্ছে নানা প্রজাতির প্রাণী। এদের রক্ষা করে পৃথিবীর স্বাস্থ্য ঠিক রাখা এখন সময়ের দাবি।

 

ওয়ার্ল্ড ওয়াইল্ডলাইফ ফান্ড এক প্রতিবেদনে জানায়, ১৯৭০ সাল থেকে এ পর্যন্ত বিশ্বে দুই-তৃতীয়াংশ বন্যপ্রাণী কমেছে। ১০০ বছরে বাংলাদেশের ভূখণ্ড থেকে হারিয়ে গেছে ৩১ প্রজাতির প্রাণী। যার মধ্যে রয়েছে ১১টি স্তন্যপায়ী, ১৯টি পাখি ও ১টি সরীসৃপ।

 

আন্তর্জাতিক প্রকৃতি ও প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ সংঘ- আইইউসিএন এর সর্বশেষ ২০১৫ সালের হিসেব অনুযায়ী, বাংলাদেশে ১৬০০-এর বেশি প্রজাতির প্রাণী রয়েছে। যাদের মধ্যে ৩৯০টি প্রজাতিই বিপন্নের পথে। এই প্রজাতিগুলোকে আইইউসিএন লাল তালিকাভুক্ত করেছে। এছাড়া ৫০টিরও বেশি প্রজাতি অতি বিপন্ন ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে বলে চিহ্নিত করেছে আইইউসিএন।

 

বাংলাদেশে প্রাণী বিলুপ্তের হার আশঙ্কাজনকভাবে বেশি। বন উজাড় ও অপরিকল্পিত নগরায়নের ফলে প্রাণীর আবাসস্থল ও চলাফেরার পথ ভেঙে যাচ্ছে, একইসাথে খাদ্য সংকটে পড়ছে। নদী, লেক ও জলাশয়গুলোতে দূষণের মাত্রা বেড়ে যাচ্ছে। ব্যক্তি বা রাষ্ট্রীয় স্বার্থে প্রাকৃতিক সম্পদের অতিরিক্ত ব্যবহার এবং অপরাধীরা বিভিন্ন প্রজাতির প্রাণীকে অবৈধ শিকার ও পাচার করছে। এছাড়া জলবায়ু পরিবর্তন ও প্রকৃতিক দূযোগের কারণে বাংলাদেশে প্রানীদের সংখ্যা কমছে ও প্রজাতি হারাচ্ছে।  এমন নানা কারণে প্রতি বছরই পৃথিবী থেকে এক বা একাধিক প্রাণী বিলুপ্ত হচ্ছে।

আপলোডকারীর তথ্য

Shuvo

জনপ্রিয় সংবাদ

ভারত-পাকিস্তানে একরাতের ব্যবধানে বোমা হামলা: দিল্লিতে নিহত ৯, ইসলামাবাদে নিহত ১২

‘প্রাণী বাঁচান, গ্রহ বাঁচান’ প্রতিপাদ্যে পালিত বিশ্ব প্রাণী দিবস

আপডেট সময় ০৬:০২:৩৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ অক্টোবর ২০২৫

১৯৭০ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত নিবিড় পর্যবেক্ষণে থাকা প্রাণীদের ৭৩ শতাংশই প্রায় বিলুপ্তির দ্বারপ্রান্তে। এমন মহাশঙ্কা জাগানো বাস্তবতায় এবছর পালিত হচ্ছে বিশ্ব প্রাণী দিবস। অথচ প্রকৃতির ছন্দ রক্ষায় প্রতিটি প্রাণীর টিকে থাকা জরুরী। তাই এবছর প্রাণী বাঁচান, গ্রহ বাঁচান (সেভ এনিম্যালস, সেভ দ্য প্ল্যানেট) প্রতিপাদ্যে বিশ্ব প্রাণী দিবসের ১০০তম বার্ষিকী পালিত হচ্ছে।

 

ওয়ার্ল্ড এনিম্যাল ডে ওয়েবসাইট বলেছে, এবারের প্রতিপাদ্য মূলত প্রাণীকল্যাণ ও পৃথিবী নামক গ্রহের স্বাস্থ্যের সম্পর্কের কথা মনে করিয়ে দেয়।

 

হেনরিক জিম্মারম্যান নামের একজন জার্মান লেখক ও প্রকাশক সর্বপ্রথম ১৯২৫ সালে জার্মানির বার্লিন স্পোর্ট প্যালেসে এই দিবসের সূচনা করেন। তিনি ‘মেন্স উন্ড হুন্দ’ (মানুষ ও কুকুর) নামক একটি ম্যাগাজিনে এই বিষয়ে লিখেছিলেন। ১৯২৯ সালের ৪ অক্টোবর প্রথমবারের মতো দিবসটি পালন করা হয়। প্রথমদিকে জার্মানি, অস্ট্রিয়া, সুইজারল্যান্ড ও চেকোস্লোভাকিয়ার অধিবাসীরা দিবসটি পালন করলেও পরে ১৯৩১ সালে ইতালির ফ্লোরেন্সে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক প্রাণী সুরক্ষা কংগ্রেসে উত্থাপন করা প্রস্তাব মতে, ৪ অক্টোবরকে বিশ্ব প্রাণী দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। বর্তমানে এটি বৈশ্বিকভাবে নানা আয়োজনে পালিত হচ্ছে।

 

পৃথিবীজুড়ে প্রাণীদের অধিকার নিশ্চিত করার জন্য প্রতিবছর ৪ অক্টোবর দিবসটি পালিত হয়। মানবসৃষ্ট কারণের পাশাপাশি নানারকম প্রাকৃতিক দূর্যোগে বিলুপ্ত হচ্ছে নানা প্রজাতির প্রাণী। এদের রক্ষা করে পৃথিবীর স্বাস্থ্য ঠিক রাখা এখন সময়ের দাবি।

 

ওয়ার্ল্ড ওয়াইল্ডলাইফ ফান্ড এক প্রতিবেদনে জানায়, ১৯৭০ সাল থেকে এ পর্যন্ত বিশ্বে দুই-তৃতীয়াংশ বন্যপ্রাণী কমেছে। ১০০ বছরে বাংলাদেশের ভূখণ্ড থেকে হারিয়ে গেছে ৩১ প্রজাতির প্রাণী। যার মধ্যে রয়েছে ১১টি স্তন্যপায়ী, ১৯টি পাখি ও ১টি সরীসৃপ।

 

আন্তর্জাতিক প্রকৃতি ও প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ সংঘ- আইইউসিএন এর সর্বশেষ ২০১৫ সালের হিসেব অনুযায়ী, বাংলাদেশে ১৬০০-এর বেশি প্রজাতির প্রাণী রয়েছে। যাদের মধ্যে ৩৯০টি প্রজাতিই বিপন্নের পথে। এই প্রজাতিগুলোকে আইইউসিএন লাল তালিকাভুক্ত করেছে। এছাড়া ৫০টিরও বেশি প্রজাতি অতি বিপন্ন ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে বলে চিহ্নিত করেছে আইইউসিএন।

 

বাংলাদেশে প্রাণী বিলুপ্তের হার আশঙ্কাজনকভাবে বেশি। বন উজাড় ও অপরিকল্পিত নগরায়নের ফলে প্রাণীর আবাসস্থল ও চলাফেরার পথ ভেঙে যাচ্ছে, একইসাথে খাদ্য সংকটে পড়ছে। নদী, লেক ও জলাশয়গুলোতে দূষণের মাত্রা বেড়ে যাচ্ছে। ব্যক্তি বা রাষ্ট্রীয় স্বার্থে প্রাকৃতিক সম্পদের অতিরিক্ত ব্যবহার এবং অপরাধীরা বিভিন্ন প্রজাতির প্রাণীকে অবৈধ শিকার ও পাচার করছে। এছাড়া জলবায়ু পরিবর্তন ও প্রকৃতিক দূযোগের কারণে বাংলাদেশে প্রানীদের সংখ্যা কমছে ও প্রজাতি হারাচ্ছে।  এমন নানা কারণে প্রতি বছরই পৃথিবী থেকে এক বা একাধিক প্রাণী বিলুপ্ত হচ্ছে।