আগে দুবার মেয়েদের ওয়ানডে বিশ্বকাপের ফাইনালে খেলা হয়েছিল ভারতের। শিরোপা কাছাকাছি পৌঁছেও কখনও তা স্পর্শ করে দেখা হয়নি তাদের। এবারের আসরে তৃতীয়বারের মত ফাইনালের টিকিট কাটে ভারত। ঘরের মাঠে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হওয়ার সুযোগ হাতছাড়া করেনি হারমানপ্রীত কৌরের দল। দিপ্তী শর্মা ও শেফালি ভার্মার অলরাউন্ড পারফর্মে সাউথ আফ্রিকাকে ৫২ রানে হারিয়ে মেয়েদের বিশ্বকাপের নতুন চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে স্বাগতিক দলটি।
প্রথমবার ফাইনালে উঠা প্রোটিয়াদের শিরোপা জিততে রেকর্ড গড়তে হত। ভারতের দেয়া ২৯৯ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে হত তাদের। ফাইনালে ১৬৬ রানের বেশি তাড়া করার রেকর্ড নাই। ২০০৯ আসরের ফাইনালে নিউজিল্যান্ডের এই সংগ্রহ তাড়া করেছিল ইংল্যান্ডের মেয়েরা। নতুন রেকর্ড গড়তে ব্যর্থ হয়েছে প্রোটিয়া মেয়েরা।

নাভি মুম্বাইয়ের ডিওয়াই পাতিল স্টেডিয়ামে টসে জিতে ভারতকে আগে ব্যাটের আমন্ত্রণ জানান প্রোটিয়া অধিনায়ক লরা উলভার্ট। ব্যাটে নেমে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৯৮ রান তোলে ভারতের মেয়েরা। জবাবে নেমে ৪৫.৩ ওভারে ২৪৬ রানে গুটিয়ে যায় প্রোটিয়া বাহিনী।
রানতাড়ায় নেমে উদ্বোধনীতে ৫১ রান তোলেন লরা উলভার্টস ও তাজমিন ব্রিটস। ৩৫ বলে ২৩ রান করে ব্রিটস ফিরে গেলে জুটি ভাঙে। উলভার্ট একপ্রান্ত আগলে রাখলেও দলীয় ১৪৮ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে প্রোটিয়া মেয়েরা।
ষষ্ঠ উইকেটে অ্যানিরিয়ে ডের্কসেনকে নিয়ে ৬১ রানের জুটি গড়েন উলভার্ট। ২০৯ রানে জুটি ভাঙে ডের্কসেন ফিরে গেলে। ৩৭ বলে ৩৫ রান করেন তিনি। এরপর ক্যারিয়ারের ১১তম ওয়ানডে শতক করে ফিরে যান উলভার্ট। ১১ চার ও ১ ছক্কায় ৯৮ বলে ১০১ রান করেন প্রোটিয়া অধিনায়ক।
২২০ রানে ৭ উইকেট হারানোর পর আর লড়াই জমাতে পারেনি সাউথ আফ্রিকা। ২৪৬ রানে থামে তাদের ইনিংস। প্রথমবার শিরোপার কাছাকাছি গিয়েও বিশ্বসেরা হওয়া হয়নি প্রোটিয়া মেয়েদের।
ভারতের হয়ে দিপ্তী শর্মা ৫ উইকেট নেন। শেফালি ভার্মা নেন ২ উইকেট।
এর আগে ব্যাটে নেমে প্রোটিয়া বোলারদের বিপক্ষে ঝড় তোলেন দুই ওপেনার স্মৃতি মান্দানা ও শেফালি ভার্মা। উদ্বোধনীতে দুই ব্যাটার তোলেন ১০৪ রান। মান্দানা ৪৫ করে আউট হন। এরপর শেফালি ও জেমিমা রদ্রিগেজ মিলে ৬২ রানের জুটি গড়েন। পরে শেফালি ৮৭ করে আউট হন।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৫৭ রানের ইনিংস আসে দীপ্তি শর্মার ব্যাট থেকে। এছাড়া ২৪ বলে ঝড়ো ৩৪ রান করে আউট হন রিচা ঘোষ।
প্রোটিয়া বোলারদের মধ্যে আয়াবোঙ্গা খাকা নেন ৩ উইকেট। এছাড়া এনকুলুলেকো ম্লাবা, নাদিন ডি ক্লার্ক এবং কোল ট্রায়ন একটি করে উইকেট নেন।
ডেস্ক রিপোর্ট 



















