সংবাদ শিরোনাম ::
Logo কপ ৩০: তৃতীয় দিন শেষ হয়েছে ঘোষণা, বিতর্ক, গুরুত্বপূর্ণ ঘটনায় Logo কপ ৩০: জলবায়ু সংকট নিয়ে সম্মেলন করে ৩০ বছর পার, এখন সমাধানের সময়   Logo জাতীয় নির্বাচনের দিনই হবে গণভোট: প্রধান উপদেষ্টা Logo শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির মামলার রায় ১৭ নভেম্বর Logo জলবায়ু সংকটই এখন স্বাস্থ্য সংকট: ডব্লিউএইচও প্রধান    Logo আজ দুপুরে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধান উপদেষ্টা Logo সাভারে ডিগ্রেডেড এয়ারশেড বাস্তবায়নে অভিযান: চিমনি ভেঙে অবৈধ ইটভাটা বন্ধ, ১৮ লাখ টাকা জরিমানা Logo প্রকৃতি ও জীবনের এবারের পর্ব- ‘রক্ষিত অঞ্চল ব্যবস্থাপনা’    Logo জ্ঞান হারিয়ে হাসপাতালে ভর্তি নায়ক গোবিন্দ Logo বোটানিক্যাল গার্ডেনে প্রবেশে চালু হলো ই-টিকেটিং

ফারাক্কা বাঁধ খুলে দেওয়ার খবরে ভারতের ব্যাখ্যা

ফারাক্কার ১০৯ গেট খুলে দিয়েছে ভারত!

ফারাক্কার ১০৯ টি গেট খুলে দেওয়া হয়েছে, ভারতীয় সংবাদমাধ্যম নিউজ-১৮ এর এমন প্রতিবেদনের সূত্র ধরে খবর প্রকাশ করে বাংলাদেশের বেশ কিছু সংবাদমাধ্যম। এসব খবরে পদ্মার পানি বেড়ে বন্যার আতঙ্ক ছড়ায়। তবে সেরকম কিছু এখনও দেখা যাচ্ছে না বলেই জানিয়েছে দেশের পানি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ। আর বাংলাদেশী সংবাদমাধ্যমে ছড়ানো খবরের পর ফারাক্কা ব্যারেজের গেট খোলা নিয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছে ভারত।

ফারাক্কা ব্যারেজ সম্পর্কে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে, দিল্লির সরকারি মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, ‘আমরা ফারাক্কা ব্যারেজের সবকটি জলকপাট (স্লুইচগেট) খোলার খবর গণমাধ্যমে দেখেছি যা গঙ্গা/পদ্মা নদীর প্রাকৃতিক গতিপথে ১১ লাখ কিউসেক পানি প্রবাহিত করবে। এই বর্ষা মৌসুমে এটি একটি স্বাভাবিক কার্যক্রম। উজানে (ভারতীয় অংশে) গঙ্গা নদীর অববাহিকায় ভারি বৃষ্টিপাতের ফলে পানির উচ্চতা বেড়ে যাওয়ার ঘটনা সামাল দিতে এটি খুলে দেয়া হয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘বুঝতে হবে ফারাক্কা হচ্ছে একটি ব্যারেজ, এটি শুধুমাত্র বাঁধ নয়। যখনই পানির স্তর বিপৎসীমার কাছে পৌঁছে যায় তখনই তা ছেড়ে দেয়া হয়। ফারাক্কা খালে ৪০ হাজার কিউসেক পানি সরিয়ে নেয়ার জন্য এটি একটি কাঠামো যা মূল গঙ্গা/পদ্মা নদীর উপর স্থাপিত। যখন অতিরিক্ত পানি বাংলাদেশের প্রধান নদীতে প্রবাহিত হয়। প্রোটোকল অনুযায়ী, এ সংক্রান্ত তথ্য নিয়মিত এবং সময়মত বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট যৌথ নদী কমিশনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আদান-প্রদান করা হয়। এবারও তাই করা হয়েছে।’

ভারতের মুখপাত্র জোর দিয়ে বলেন, ‘দুই দেশের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি সৃষ্টির জন্য ভুয়া ভিডিও, গুজব এবং ভয়ভীতি দেখাতে দেখেছি আমরা। এটিকে দৃঢ়ভাবে সত্যের মাধ্যমে মোকাবিলা করা উচিত।’

এর আগে সোমবার (২৬ অগাস্ট) ফারাক্কা বাঁধের ১০৯টি জলকপাটই (স্লুইচগেট) খুলে দেয় ভারত। একদিনেই এই বাঁধ থেকে (ডাউন স্ট্রিম) ছাড়া হয়েছে ১১ লাখ কিউসেক পানি। কর্তৃপক্ষের দাবি, বিপৎসীমার উপরে থাকা পানি না ছাড়লে বাঁধের মারাত্মক ক্ষতি হতো। এ কারণে বাধ্য হয়েই বাঁধের মুখ খুলে দিতে হয়েছে।

কলকাতার আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের দেয়া পূর্বাভাসকে সত্যি করে দুদিন ধরে এক নাগাড়ে ভারী বৃষ্টি হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গে। তাতে বেড়ে গেছে গঙ্গা নদীর পানি স্তর এবং চাপ বেড়েছে ফারাক্কা ব্যারেজে। এছাড়াও, পশ্চিমবঙ্গে পার্শ্ববর্তী রাজ্য ঝাড়খণ্ড ও বিহারে বন্যার কারণে ফারাক্কার পানি বিপৎসীমার ওপর উঠে গেছে। এ কারণে বাঁধের ১০৯টি গেটই খুলে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এসব গেট দিয়ে সোমবার ১১ লাখ কিউসেক পানি ছাড়া হয়েছে।

ফারাক্কা ব্যারেজের জেনারেল ম্যানেজার আর দেশ পাণ্ডেএর আগে বলেন, ‘ফারাক্কা ব্যারেজ কর্তৃপক্ষ সবসময় এলার্ট রয়েছে। প্রতিমুহূর্তে নজর রাখা হচ্ছে। খুব কম সময়ের মধ্যে যেভাবে পানির চাপ তৈরি হয়েছে তাতে ১০৯ গেটের সবকটি খুলে না দিলে ব্যারেজের ওপর বড় চাপ তৈরি হতো। এর ফলে বড় ক্ষতি হয়ে যেতে পারত। আপাতত ফিডার ক্যানেলে ৪০ হাজার কিউসেক ও ডাউন স্ট্রিমে ১১ লাখ কিউসেক পানি ছাড়া হয়েছে।’

আপলোডকারীর তথ্য

Shuvo

জনপ্রিয় সংবাদ

কপ ৩০: তৃতীয় দিন শেষ হয়েছে ঘোষণা, বিতর্ক, গুরুত্বপূর্ণ ঘটনায়

ফারাক্কা বাঁধ খুলে দেওয়ার খবরে ভারতের ব্যাখ্যা

আপডেট সময় ০২:১৬:৫২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ অগাস্ট ২০২৪

ফারাক্কার ১০৯ টি গেট খুলে দেওয়া হয়েছে, ভারতীয় সংবাদমাধ্যম নিউজ-১৮ এর এমন প্রতিবেদনের সূত্র ধরে খবর প্রকাশ করে বাংলাদেশের বেশ কিছু সংবাদমাধ্যম। এসব খবরে পদ্মার পানি বেড়ে বন্যার আতঙ্ক ছড়ায়। তবে সেরকম কিছু এখনও দেখা যাচ্ছে না বলেই জানিয়েছে দেশের পানি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ। আর বাংলাদেশী সংবাদমাধ্যমে ছড়ানো খবরের পর ফারাক্কা ব্যারেজের গেট খোলা নিয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছে ভারত।

ফারাক্কা ব্যারেজ সম্পর্কে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে, দিল্লির সরকারি মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, ‘আমরা ফারাক্কা ব্যারেজের সবকটি জলকপাট (স্লুইচগেট) খোলার খবর গণমাধ্যমে দেখেছি যা গঙ্গা/পদ্মা নদীর প্রাকৃতিক গতিপথে ১১ লাখ কিউসেক পানি প্রবাহিত করবে। এই বর্ষা মৌসুমে এটি একটি স্বাভাবিক কার্যক্রম। উজানে (ভারতীয় অংশে) গঙ্গা নদীর অববাহিকায় ভারি বৃষ্টিপাতের ফলে পানির উচ্চতা বেড়ে যাওয়ার ঘটনা সামাল দিতে এটি খুলে দেয়া হয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘বুঝতে হবে ফারাক্কা হচ্ছে একটি ব্যারেজ, এটি শুধুমাত্র বাঁধ নয়। যখনই পানির স্তর বিপৎসীমার কাছে পৌঁছে যায় তখনই তা ছেড়ে দেয়া হয়। ফারাক্কা খালে ৪০ হাজার কিউসেক পানি সরিয়ে নেয়ার জন্য এটি একটি কাঠামো যা মূল গঙ্গা/পদ্মা নদীর উপর স্থাপিত। যখন অতিরিক্ত পানি বাংলাদেশের প্রধান নদীতে প্রবাহিত হয়। প্রোটোকল অনুযায়ী, এ সংক্রান্ত তথ্য নিয়মিত এবং সময়মত বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট যৌথ নদী কমিশনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আদান-প্রদান করা হয়। এবারও তাই করা হয়েছে।’

ভারতের মুখপাত্র জোর দিয়ে বলেন, ‘দুই দেশের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি সৃষ্টির জন্য ভুয়া ভিডিও, গুজব এবং ভয়ভীতি দেখাতে দেখেছি আমরা। এটিকে দৃঢ়ভাবে সত্যের মাধ্যমে মোকাবিলা করা উচিত।’

এর আগে সোমবার (২৬ অগাস্ট) ফারাক্কা বাঁধের ১০৯টি জলকপাটই (স্লুইচগেট) খুলে দেয় ভারত। একদিনেই এই বাঁধ থেকে (ডাউন স্ট্রিম) ছাড়া হয়েছে ১১ লাখ কিউসেক পানি। কর্তৃপক্ষের দাবি, বিপৎসীমার উপরে থাকা পানি না ছাড়লে বাঁধের মারাত্মক ক্ষতি হতো। এ কারণে বাধ্য হয়েই বাঁধের মুখ খুলে দিতে হয়েছে।

কলকাতার আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের দেয়া পূর্বাভাসকে সত্যি করে দুদিন ধরে এক নাগাড়ে ভারী বৃষ্টি হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গে। তাতে বেড়ে গেছে গঙ্গা নদীর পানি স্তর এবং চাপ বেড়েছে ফারাক্কা ব্যারেজে। এছাড়াও, পশ্চিমবঙ্গে পার্শ্ববর্তী রাজ্য ঝাড়খণ্ড ও বিহারে বন্যার কারণে ফারাক্কার পানি বিপৎসীমার ওপর উঠে গেছে। এ কারণে বাঁধের ১০৯টি গেটই খুলে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এসব গেট দিয়ে সোমবার ১১ লাখ কিউসেক পানি ছাড়া হয়েছে।

ফারাক্কা ব্যারেজের জেনারেল ম্যানেজার আর দেশ পাণ্ডেএর আগে বলেন, ‘ফারাক্কা ব্যারেজ কর্তৃপক্ষ সবসময় এলার্ট রয়েছে। প্রতিমুহূর্তে নজর রাখা হচ্ছে। খুব কম সময়ের মধ্যে যেভাবে পানির চাপ তৈরি হয়েছে তাতে ১০৯ গেটের সবকটি খুলে না দিলে ব্যারেজের ওপর বড় চাপ তৈরি হতো। এর ফলে বড় ক্ষতি হয়ে যেতে পারত। আপাতত ফিডার ক্যানেলে ৪০ হাজার কিউসেক ও ডাউন স্ট্রিমে ১১ লাখ কিউসেক পানি ছাড়া হয়েছে।’