সংবাদ শিরোনাম ::
Logo ইকোসিস্টেমকে রক্ষা করে প্রাকৃতিক সম্পদকে সুরক্ষার বার্তা দিলেন পরিবেশ সচিব Logo নতুন প্রজন্মকে সাথে নিয়ে এবছরের ‘সবুজে সাজাই বাংলাদেশ’ শুরু  Logo গাজীপুরে কৃষি প্রযুক্তি ও পুষ্টি মেলার উদ্বোধন Logo দাবি না মানলে জবি শিক্ষার্থীদের লাগাতার কর্মসূচির ঘোষণা Logo সাম্য হত্যার ঘটনায় শোক পালন করছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন Logo অ্যান্টার্কটিকায় জলবায়ু পরিবর্তন স্পষ্ট, পূর্ব দিকের চেয়ে পশ্চিমে দ্রুত গলছে বরফ Logo প্রকৃতিকে ধ্বংস করে উন্নয়ন হলে সে উন্নয়ন টেকসই হবেনা: রিজওয়ানা হাসান Logo ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে সম্মানসূচক ডি. লিট ডিগ্রি দিলো চবি Logo চিরতরে চলে গেলেন ‘সবচেয়ে গরিব প্রেসিডেন্ট’   Logo চট্টগ্রাম বন্দর বাংলাদেশের অর্থনীতির হৃৎপিণ্ড: প্রধান উপদেষ্টা

বর্জ্য পৃথকীকরণ, মিথেন নিরসনে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের এখনই সময়: পরিবেশ উপদেষ্টা

বর্জ্য পৃথকীকরণ, মিথেন নিরসনে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের এখনই সময়: পরিবেশ উপদেষ্টা

পরিবেশগত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা ও মিথেন নির্গমন হ্রাসে বাংলাদেশকে জরুরি ভিত্তিতে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সংস্কার করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। তিনি বলেন, বর্জ্য পৃথকীকরণ ও মিথেন নিরসনে বাংলাদেশকে এখনই কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।

 

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, তিনি আজ সোমবার (২৪ মার্চ) চট্টগ্রাম থেকে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হয়ে “বাংলাদেশের এনডিসি ২০২১ পর্যালোচনা: বিকেন্দ্রীকৃত বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও মিথেন নিরসন কৌশল সংযোজন” শীর্ষক অনলাইন পরামর্শ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। কর্মশালাটি আয়োজন করে এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (ইএসডিও)।

 

পরিবেশ উপদেষ্টা তাঁর বক্তব্যে দেশের অপরিকল্পিত ও অদক্ষ বর্জ্য ব্যবস্থাপনার চিত্র তুলে ধরে বলেন, “আমরা এখনও জাতীয় পর্যায়ে কার্যকরভাবে বর্জ্য পৃথকীকরণ পদ্ধতি অনুসরণ করি না। কিছু পরীক্ষামূলক প্রকল্প থাকলেও সামগ্রিক ব্যবস্থাপনা কাঠামোবদ্ধ নয়।”

 

তিনি বিশ্ব পরিবেশ দিবসে সিটি করপোরেশন ও স্থানীয় সরকার সংস্থাগুলোর সঙ্গে যৌথভাবে নির্দিষ্ট কিছু এলাকায় বর্জ্য পৃথকীকরণ কর্মসূচি চালুর পরিকল্পনার কথা জানান।

“আমাদের শহরাঞ্চলের বড় ল্যান্ডফিলগুলো নির্দিষ্ট স্থানে স্থাপন করা হলেও সেগুলো পরিবেশগতভাবে সনদপ্রাপ্ত নয় এবং সঠিকভাবে পরিচালিত হচ্ছে না, যা গভীর উদ্বেগের বিষয়,” তিনি বলেন।

 

তিনি আরও উল্লেখ করেন যে, রাজধানীর বাইরে অপরিকল্পিত বর্জ্য ফেলার কারণে পরিবেশ দূষণ মারাত্মক আকার ধারণ করছে। এক স্থানীয় সরকার সংস্থাকে জাতীয় উদ্যানের সামনে বর্জ্য না ফেলতে অনুরোধ করার সাম্প্রতিক অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, “এটি আমাদের বর্জ্য ব্যবস্থাপনার নাজুক অবস্থা স্পষ্ট করে। এখনই সময় মূল কাঠামোগত সংস্কারের।”

 

ল্যান্ডফিল অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকি সম্পর্কে সতর্ক করে তিনি বর্জ্য থেকে জ্বালানি উৎপাদনে আগ্রহের কথা স্বীকার করলেও এর অতিরিক্ত নির্ভরতার বিষয়ে সতর্ক করেন। “বাংলাদেশের বর্জ্যে আর্দ্রতার পরিমাণ বেশি থাকায় ইনসিনারেশন কার্যকর সমাধান নয়। আমাদের আমিনবাজার ও মাতুয়াইলের মতো ল্যান্ডফিলের জন্য স্থানভিত্তিক টেকসই সমাধান প্রয়োজন,” তিনি উল্লেখ করেন।

 

তিনি বলেন, “বাংলাদেশ তাঁর জাতীয়ভাবে নির্ধারিত অবদান (NDC) পরিকল্পনায় বর্জ্য ব্যবস্থাপনাকে অন্তর্ভুক্ত করছে, যা নির্গমন কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। বর্জ্য পৃথকীকরণ নিশ্চিত করা জরুরি, যাতে তড়িঘড়ি করা অবাস্তব সমাধান গ্রহণের প্রবণতা প্রতিহত করা যায়।”

 

কর্মশালায় বিশেষজ্ঞদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জলবায়ু বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. আইনুন নিশাত, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. কামরুজ্জামান, ইএসডিও সভাপতি সৈয়দ মারগুব মুরশেদ, এবং ইএসডিওর প্রধান নির্বাহী ও নির্বাহী পরিচালক সিদ্দিকা সুলতানা।

 

এই পরামর্শ কর্মশালায় নীতিনির্ধারক, বিশেষজ্ঞ এবং স্টেকহোল্ডাররা একত্রিত হয়ে বিকেন্দ্রীকৃত বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও মিথেন নিরসনের বাস্তবসম্মত কৌশল নিয়ে আলোচনা করেন।

আপলোডকারীর তথ্য

Shuvo

ইকোসিস্টেমকে রক্ষা করে প্রাকৃতিক সম্পদকে সুরক্ষার বার্তা দিলেন পরিবেশ সচিব

বর্জ্য পৃথকীকরণ, মিথেন নিরসনে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের এখনই সময়: পরিবেশ উপদেষ্টা

আপডেট সময় ০৬:৫১:১০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ মার্চ ২০২৫

পরিবেশগত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা ও মিথেন নির্গমন হ্রাসে বাংলাদেশকে জরুরি ভিত্তিতে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সংস্কার করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। তিনি বলেন, বর্জ্য পৃথকীকরণ ও মিথেন নিরসনে বাংলাদেশকে এখনই কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।

 

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, তিনি আজ সোমবার (২৪ মার্চ) চট্টগ্রাম থেকে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হয়ে “বাংলাদেশের এনডিসি ২০২১ পর্যালোচনা: বিকেন্দ্রীকৃত বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও মিথেন নিরসন কৌশল সংযোজন” শীর্ষক অনলাইন পরামর্শ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। কর্মশালাটি আয়োজন করে এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (ইএসডিও)।

 

পরিবেশ উপদেষ্টা তাঁর বক্তব্যে দেশের অপরিকল্পিত ও অদক্ষ বর্জ্য ব্যবস্থাপনার চিত্র তুলে ধরে বলেন, “আমরা এখনও জাতীয় পর্যায়ে কার্যকরভাবে বর্জ্য পৃথকীকরণ পদ্ধতি অনুসরণ করি না। কিছু পরীক্ষামূলক প্রকল্প থাকলেও সামগ্রিক ব্যবস্থাপনা কাঠামোবদ্ধ নয়।”

 

তিনি বিশ্ব পরিবেশ দিবসে সিটি করপোরেশন ও স্থানীয় সরকার সংস্থাগুলোর সঙ্গে যৌথভাবে নির্দিষ্ট কিছু এলাকায় বর্জ্য পৃথকীকরণ কর্মসূচি চালুর পরিকল্পনার কথা জানান।

“আমাদের শহরাঞ্চলের বড় ল্যান্ডফিলগুলো নির্দিষ্ট স্থানে স্থাপন করা হলেও সেগুলো পরিবেশগতভাবে সনদপ্রাপ্ত নয় এবং সঠিকভাবে পরিচালিত হচ্ছে না, যা গভীর উদ্বেগের বিষয়,” তিনি বলেন।

 

তিনি আরও উল্লেখ করেন যে, রাজধানীর বাইরে অপরিকল্পিত বর্জ্য ফেলার কারণে পরিবেশ দূষণ মারাত্মক আকার ধারণ করছে। এক স্থানীয় সরকার সংস্থাকে জাতীয় উদ্যানের সামনে বর্জ্য না ফেলতে অনুরোধ করার সাম্প্রতিক অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, “এটি আমাদের বর্জ্য ব্যবস্থাপনার নাজুক অবস্থা স্পষ্ট করে। এখনই সময় মূল কাঠামোগত সংস্কারের।”

 

ল্যান্ডফিল অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকি সম্পর্কে সতর্ক করে তিনি বর্জ্য থেকে জ্বালানি উৎপাদনে আগ্রহের কথা স্বীকার করলেও এর অতিরিক্ত নির্ভরতার বিষয়ে সতর্ক করেন। “বাংলাদেশের বর্জ্যে আর্দ্রতার পরিমাণ বেশি থাকায় ইনসিনারেশন কার্যকর সমাধান নয়। আমাদের আমিনবাজার ও মাতুয়াইলের মতো ল্যান্ডফিলের জন্য স্থানভিত্তিক টেকসই সমাধান প্রয়োজন,” তিনি উল্লেখ করেন।

 

তিনি বলেন, “বাংলাদেশ তাঁর জাতীয়ভাবে নির্ধারিত অবদান (NDC) পরিকল্পনায় বর্জ্য ব্যবস্থাপনাকে অন্তর্ভুক্ত করছে, যা নির্গমন কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। বর্জ্য পৃথকীকরণ নিশ্চিত করা জরুরি, যাতে তড়িঘড়ি করা অবাস্তব সমাধান গ্রহণের প্রবণতা প্রতিহত করা যায়।”

 

কর্মশালায় বিশেষজ্ঞদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জলবায়ু বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. আইনুন নিশাত, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. কামরুজ্জামান, ইএসডিও সভাপতি সৈয়দ মারগুব মুরশেদ, এবং ইএসডিওর প্রধান নির্বাহী ও নির্বাহী পরিচালক সিদ্দিকা সুলতানা।

 

এই পরামর্শ কর্মশালায় নীতিনির্ধারক, বিশেষজ্ঞ এবং স্টেকহোল্ডাররা একত্রিত হয়ে বিকেন্দ্রীকৃত বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও মিথেন নিরসনের বাস্তবসম্মত কৌশল নিয়ে আলোচনা করেন।