বর্ষবরণের আনন্দ উদযাপনে পটকা ও আতশবাজি পোড়ানোর সময় দগ্ধ হয়েছে পাঁচ জন; তাদের মধ্যে তিনজন শিশু। মঙ্গলবার মধ্যরাতের পর বিভিন্ন সময়ে তারা ঢাকার জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসা নিতে যায়। একটি শিশুর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
রাজধানীতে খ্রিস্টীয় নব বর্ষবরণের সময় আতশবাজি পোড়াতে গিয়ে পৃথক ঘটনায় শিশুসহ পাঁচজন দগ্ধ হয়েছেন। মঙ্গলবার দিবাগত রাতে দগ্ধ হন তাঁরা। পরে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নেওয়া হয় তাঁদের।
আজ বুধবার সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেন ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারির জরুরি বিভাগের আবাসিক সার্জন ডা. শাওন বিন রহমান। দগ্ধরা হলেন– ফারহান (৮), সিফান মল্লিক (১২), সুমাত(২০), সেন্টু (৪৫) ও তফসির (৩)।
ডা. শাওন বিন রহমান জানান, নববর্ষে আতশবাজি পোড়াতে গিয়ে শিশুসহ পাঁচজন দগ্ধ হলে তাদের বার্ন ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়। এদের মধ্যে ফারহান ১৫ শতাংশ,সিফান মল্লিকের ১ শতাংশ,সুমাতের ১ শতাংশ, সেন্টুর ২ শতাংশ ও তফসিরের ২ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে।
তিনি আরও জানান, দগ্ধের পরিমাণ বেশি থাকায় ফারহানকে ভর্তি দেওয়া হয়েছে। অন্যদের দগ্ধের পরিমান কম থাকায় প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত কয়েক বছরের মতো এবারও থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপন ও খ্রিস্টীয় নববর্ষ উপলক্ষে ২০২৫ বরণ উপলক্ষে আতশবাজি পোড়ানো, পটকা ফোটানো ও ফানুস ওড়ানো নিষিদ্ধ করে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) পক্ষ থেকে গণবিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। তবে নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করেই রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় রাত ১২ টার আগে থেকেই শুরু হয় আতশবাজি এবং পটকা ফোটানো। কিছু কিছু এলাকায় নিচু ভবনের ছাদ থেকেও আতশবাজি পোড়াতে দেখা গেছে। মঙ্গলবার রাতে ঢাকার পাড়া-মহল্লায় শোনা যায় পটকার শব্দ, আকাশে আতশবাজির ঝলকানি, ছাই-ধোয়ায় আচ্ছাদিত হয় এসব এলাকা, বারুদের গন্ধ পাওয়া গেছে বাসার ভেতরে থেকেও।