সংবাদ শিরোনাম ::
Logo ইকোসিস্টেমকে রক্ষা করে প্রাকৃতিক সম্পদকে সুরক্ষার বার্তা দিলেন পরিবেশ সচিব Logo নতুন প্রজন্মকে সাথে নিয়ে এবছরের ‘সবুজে সাজাই বাংলাদেশ’ শুরু  Logo গাজীপুরে কৃষি প্রযুক্তি ও পুষ্টি মেলার উদ্বোধন Logo দাবি না মানলে জবি শিক্ষার্থীদের লাগাতার কর্মসূচির ঘোষণা Logo সাম্য হত্যার ঘটনায় শোক পালন করছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন Logo অ্যান্টার্কটিকায় জলবায়ু পরিবর্তন স্পষ্ট, পূর্ব দিকের চেয়ে পশ্চিমে দ্রুত গলছে বরফ Logo প্রকৃতিকে ধ্বংস করে উন্নয়ন হলে সে উন্নয়ন টেকসই হবেনা: রিজওয়ানা হাসান Logo ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে সম্মানসূচক ডি. লিট ডিগ্রি দিলো চবি Logo চিরতরে চলে গেলেন ‘সবচেয়ে গরিব প্রেসিডেন্ট’   Logo চট্টগ্রাম বন্দর বাংলাদেশের অর্থনীতির হৃৎপিণ্ড: প্রধান উপদেষ্টা

বল্ড ঈগলকে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় পাখির স্বীকৃতি দিলেন বিদায়ী বাইডেন  

আমেরিকা শব্দটি শুনলে যেসব প্রতীক চোখে ভাসে সেসবের মধ্যে সাদাটে মাথা আর গাঢ় বাদামি শরীর, হলদে ঠোঁটের ঈগল অন্যতম। আমেরিকার ধাতব মুদ্রাতেও খচিত রয়েছে এই ঈগল। মার্কিন শক্তির জানান দেয় এই ঈগল, প্রায় আড়াইশ বছর ধরেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিপত্তির প্রতীক এই ঈগলের নাম বল্ড ঈগল। অবশেষে এই ঈগল পেল যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় পাখির স্বীকৃতি। ২৪ ডিসেম্বর এসংক্রান্ত একটি বিলে স্বাক্ষর করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের বিদায়ী প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

১৭৭৬ সালে ব্রিটেন থেকে স্বাধীনতা অর্জন করে যুক্তরাষ্ট্র। স্বাধীনতার ছয় বছর পর ১৭৮২ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি সিল হিসেবে বল্ড ঈগলের ছবি ব্যবহার হয়ে আসছে। অবশ্য তারও আগে থেকে এটাকে জাতীয় প্রতীক মনে করে আসছেন অধিকাংশ মার্কিনি। প্রেসিডেন্টের পতাকায়, সামরিক বাহিনীর পরিচায়ক হিসাবে, পাসপোর্টেও দেখা যায় এই ঈগলকে।

তবে একে এতদিন আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পাখির স্বীকৃতি দেয়া হয়নি। অবশেষে বিদায় নেয়ার আগে সেই স্বীকৃতি দিলেন বাইডেন।

সংক্ষেপে বল্ড ঈগল পরিচিতি  

বল্ড ঈগলের বৈজ্ঞানিক নাম হেলিয়াইটাস লিউকোসেফালাস। এটি উত্তর আমেরিকার শিকারী পাখি। বল্ড ঈগলেরা মূলত সামুদ্রিক। এর দুটি উপপ্রজাতি আছে। এদের বসবাসের সীমানা কানাডার বেশিরভাগ অংশ, আলাস্কা, যুক্তরাষ্ট্রের সম্পূর্ণ অংশ এবং মেক্সিকোর উত্তরাঞ্চল। এদেরকে বিশালাকার উন্মুক্ত জলাধারের পাশে দেখা যায় যেখানে পর্যাপ্ত খাবারের সরবরাহ আছে এবং বাসা বাঁধার জন্য পুরনো বড় গাছ আছে। এদের প্রধান খাদ্য মাছ। উড়ন্ত অবস্থায় এরা পানি থেকে নখের সাহায্যে মাছ শিকার করে।

প্রাপ্ত বয়স্ক পাখির পালকের রঙ গাঢ় বাদামী এবং মাথা ও লেজ সাদা। এদের লেজ দীর্ঘ। পুরুষ ও স্ত্রী ঈগলের পালকের বর্ণ একই রকম তবে স্ত্রী পাখি পুরুষের তুলনায় ২৫% বড়। এদের চঞ্চু, পা এবং আইরিশ উজ্জ্বল হলুদ।

উত্তর আমেরিকার পাখিদের মধ্যে সব থেকে বড় বাসা তৈরী করে এবং প্রাণীজগতের সকল প্রাণীদের মধ্যে এরাই সব থেকে বড় গাছের উপর পাখির বাসা (ট্রি নেস্ট) তৈরী করে।

পৃথিবীতে যত শিকারি পাখি আছে, ঈগল তাদের অন্যতম। সব ঈগল কিন্তু দেখতে এক রকম নয়। এশিয়া, আফ্রিকা ও ইউরোপ মহাদেশে প্রায় ৬০ প্রজাতির ঈগল দেখা যায়। অন্য মহাদেশগুলোতে আছে আরও প্রায় ১৪ প্রজাতির ঈগল।

আপলোডকারীর তথ্য

Shuvo

ইকোসিস্টেমকে রক্ষা করে প্রাকৃতিক সম্পদকে সুরক্ষার বার্তা দিলেন পরিবেশ সচিব

বল্ড ঈগলকে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় পাখির স্বীকৃতি দিলেন বিদায়ী বাইডেন  

আপডেট সময় ১২:৫০:৩৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪

আমেরিকা শব্দটি শুনলে যেসব প্রতীক চোখে ভাসে সেসবের মধ্যে সাদাটে মাথা আর গাঢ় বাদামি শরীর, হলদে ঠোঁটের ঈগল অন্যতম। আমেরিকার ধাতব মুদ্রাতেও খচিত রয়েছে এই ঈগল। মার্কিন শক্তির জানান দেয় এই ঈগল, প্রায় আড়াইশ বছর ধরেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিপত্তির প্রতীক এই ঈগলের নাম বল্ড ঈগল। অবশেষে এই ঈগল পেল যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় পাখির স্বীকৃতি। ২৪ ডিসেম্বর এসংক্রান্ত একটি বিলে স্বাক্ষর করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের বিদায়ী প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

১৭৭৬ সালে ব্রিটেন থেকে স্বাধীনতা অর্জন করে যুক্তরাষ্ট্র। স্বাধীনতার ছয় বছর পর ১৭৮২ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি সিল হিসেবে বল্ড ঈগলের ছবি ব্যবহার হয়ে আসছে। অবশ্য তারও আগে থেকে এটাকে জাতীয় প্রতীক মনে করে আসছেন অধিকাংশ মার্কিনি। প্রেসিডেন্টের পতাকায়, সামরিক বাহিনীর পরিচায়ক হিসাবে, পাসপোর্টেও দেখা যায় এই ঈগলকে।

তবে একে এতদিন আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পাখির স্বীকৃতি দেয়া হয়নি। অবশেষে বিদায় নেয়ার আগে সেই স্বীকৃতি দিলেন বাইডেন।

সংক্ষেপে বল্ড ঈগল পরিচিতি  

বল্ড ঈগলের বৈজ্ঞানিক নাম হেলিয়াইটাস লিউকোসেফালাস। এটি উত্তর আমেরিকার শিকারী পাখি। বল্ড ঈগলেরা মূলত সামুদ্রিক। এর দুটি উপপ্রজাতি আছে। এদের বসবাসের সীমানা কানাডার বেশিরভাগ অংশ, আলাস্কা, যুক্তরাষ্ট্রের সম্পূর্ণ অংশ এবং মেক্সিকোর উত্তরাঞ্চল। এদেরকে বিশালাকার উন্মুক্ত জলাধারের পাশে দেখা যায় যেখানে পর্যাপ্ত খাবারের সরবরাহ আছে এবং বাসা বাঁধার জন্য পুরনো বড় গাছ আছে। এদের প্রধান খাদ্য মাছ। উড়ন্ত অবস্থায় এরা পানি থেকে নখের সাহায্যে মাছ শিকার করে।

প্রাপ্ত বয়স্ক পাখির পালকের রঙ গাঢ় বাদামী এবং মাথা ও লেজ সাদা। এদের লেজ দীর্ঘ। পুরুষ ও স্ত্রী ঈগলের পালকের বর্ণ একই রকম তবে স্ত্রী পাখি পুরুষের তুলনায় ২৫% বড়। এদের চঞ্চু, পা এবং আইরিশ উজ্জ্বল হলুদ।

উত্তর আমেরিকার পাখিদের মধ্যে সব থেকে বড় বাসা তৈরী করে এবং প্রাণীজগতের সকল প্রাণীদের মধ্যে এরাই সব থেকে বড় গাছের উপর পাখির বাসা (ট্রি নেস্ট) তৈরী করে।

পৃথিবীতে যত শিকারি পাখি আছে, ঈগল তাদের অন্যতম। সব ঈগল কিন্তু দেখতে এক রকম নয়। এশিয়া, আফ্রিকা ও ইউরোপ মহাদেশে প্রায় ৬০ প্রজাতির ঈগল দেখা যায়। অন্য মহাদেশগুলোতে আছে আরও প্রায় ১৪ প্রজাতির ঈগল।