মৌলভীবাজারের বাইক্কা বিলে জলজ পাখি শুমারি-২০২৫ শেষ হয়েছে। এ শুমারিতে প্রথমবারের মতো বাইক্কা বিলে পৃথিবীর দ্রুততম পাখি পেরিগ্রিন ফ্যালকনের দেখা মিলেছে ।
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলের হাইল হাওরের মাছের অভয়াশ্রম বাইক্কা বিলে বাংলাদেশ বার্ড ক্লাবের আয়োজনে এই পাখি শুমারি শেষ হয় শনিবার বিকালে। বাইনোকুলার, টেলিস্কোপের সাহায্যে ও তাদের পাখি গণনার সূত্র এবং থিওরির মাধ্যমে বাইক্কা বিলের এ পাখি গণনা করেন তারা।
পরে বাংলাদেশ বার্ড ক্লাবের সদস্য ও পাখি বিশেষজ্ঞ ড. পল থমসন জানান, এ বছর বাইক্কা বিলে শীতকালীন জলচর পাখি গণনা করে তারা ৩৮ প্রজাতির ৭ হাজার ৮৭০টি পাখির দেখা পেয়েছেন। এ সংখ্যা বিগত দুই বছরের চেয়ে বেশি।
২০২৪ সালে ৩৩ প্রজাতির ৪ হাজার ৬১৫ জলচর পাখি দেখা গিয়েছেল এবং ২০২৩ সালে দেখা মিলেছিল ৪০ প্রজাতির ৬ হাজার ১৪১ জলচর পাখির।
পাখি বিশেষজ্ঞ থমসন আরও জানান, সংখ্যা পরিবর্তিত হয়, কোনো কোনো বছর ডিসেম্বর বা ফেব্রুয়ারিতে বেশি দেখা যায়। তবে পরিযায়ী পাখির সংখ্যা নির্ভর করে জলস্তর, আগের মৌসুমের পরিস্থিতি এবং পরিযায়ন পথের উপর।
এই বছর পাখি গণনায় উল্লেখযোগ্য ৭৫০ মেটে মাথা টিটি (গ্রে-হেডেড ল্যাপউইং) এবং সর্বোচ্চ সংখ্যক কাস্তেচরা- ৬৩৯ এবং ১০০ কালা মাথা কাস্তেচরা (ব্ল্যাক-হেডেড আইবিস) দেখা গিয়েছে।
২০২৩, ২০২৪ সালের চেয়ে এবছর পাখি গণনায় আশা জাগলেও তা আগের অবস্থার চেয়ে খারাপই বলা যায়। বার্ড ক্লাব সদস্যরা জানায়, বাইক্কা বিলের পাখির সংখ্যা অতীতের গড় গণনার সংখ্যার চেয়ে কম। ২০০৮-১০ এবং ২০১৪-১৯ সালে শীতকালে গড়ে ৯ হাজার জলচর পাখি দেখা মিলত।
বাইক্কা বিলের এরিয়া ১৭০ হেক্টর। এখানে মাছের অভয়াশ্রম করা হয়েছে তাই সারা বছরই এখানে পানি ধরে রাখা হয়। হাইল হাওরের মধ্যে আরও ৬০-৭০টা বিল থাকলেও এ বিলেই বেশি পাখির দেখা মেলে।