সংবাদ শিরোনাম ::
Logo প্রকৃতির প্রতিশোধ: সংকটে জীববৈচিত্র্য Logo লঘুচাপ, ঘূর্ণিঝড়ের গুঞ্জন! কেমন যেতে পারে মাসের শেষ দিনগুলো, যা বলছে আবহাওয়ার পূর্বাভাস Logo প্রশাসনিক সমন্বয় ও সংস্কার ছাড়া পরিবেশ সংরক্ষণ সম্ভব নয় : পরিবেশ উপদেষ্টা Logo বেসরকারি শিক্ষক নিয়োগে নারী কোটা বাতিল Logo প্রকৃতির সঙ্গে সুর মিলিয়ে চলার বার্তা নিয়ে এবছরের আন্তর্জাতিক জীববৈচিত্র্য দিবস Logo জাতীয় নির্বাচন, ‘মানবিক করিডোর’, মব সহিংসতা নিয়ে যা বললেন সেনাপ্রধান Logo রিট খারিজ, মেয়র হিসেবে ইশরাককে শপথ পড়ানোর বাধা নেই Logo প্রাক বর্ষায় রাজধানীসহ নানাস্থানে মাঝারি-ভারী বৃষ্টি Logo শিল্পে বিনামূল্যে ভূগর্ভস্থ পানি উত্তোলন বন্ধে নীতিমালা চূড়ান্ত হচ্ছে : রিজওয়ানা হাসান Logo শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নতুন শপথবাক্য পাঠ করানোর নির্দেশ

বাটা-কেএফসিতে ভাঙচুর-লুটপাটে ১০ মামলা, ৭২ জন গ্রেপ্তার

বাটা-কেএফসিতে ভাঙচুর-লুটপাটে ১০ মামলা, ৭২ জন গ্রেপ্তার

সিলেট, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন শহরে বাটা, কেএফসিসহ বিভিন্ন দোকান, রেস্তোরাঁয় হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনায় ৭২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি বর্বরতার প্রতিবাদে বিক্ষোভ চলাকালে এসব ভাঙচুর-লুটপাটের ঘটনা ঘটে, যাতে দেশজুড়ে নিন্দার ঝড় ওঠে।

প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় বুধবার সকালে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, এসব ঘটনায় ১০টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

গ্রেপ্তার ৭২ জনের মধ্যে, খুলনায় ৩৩ জন, সিলেটে ১৯ জন, চট্টগ্রামে ৫ জন, গাজীপুরে ৪ জন, নারায়ণগঞ্জে ৪ জন, কুমিল্লায় ৩ জন এবং কক্সবাজারে ৪ জনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।

গাজায় নিরস্ত্র ফিলিস্তিনিদের উপর ইসরায়েলি বাহিনীর বর্বর হামলার প্রতিবাদে সোমবার বিশ্বব্যাপী ‘নো ওয়ার্ক, নো স্কুল’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে বাংলাদেশের জেলায় জেলায় বিক্ষোভ মিছিল, সমাবেশ ও ধর্মঘট পালন করা হয়। এসব বিক্ষোভের মধেই কিছু মানুষ ফাস্ট ফুড চেইন কেএফসি, পিৎজা হাট, বাটার মত আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডের বিক্রয় কেন্দ্রে হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও লুটপাট করেছে। পাশাপাশি কোমল পানীয় কোকাকোলা, সেভেন আপ রাখায় বিভিন্ন দোকান ও রেস্তোরাঁতেও হামলা করা হয়।

দেশের অন্তত ছয় জেলায় ‘ইসরায়েলি পণ্য রাখা ও বিক্রি’ করার অভিযোগ তুলে ধরে ১৬টি রেস্তোরাঁ ও বিক্রয় কেন্দ্রে হামলা-ভাঙচুরের খবর আসে।

কক্সবাজারে পাঁচটি, চট্টগ্রামে তিনটি, সিলেট পাঁচটি, গাজীপুরে চারটি, কুমিল্লায় একটি এবং বগুড়ায় একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। তবে হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি।

এর মধ্যে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, পুলিশ বিক্ষোভ চলাকালে ধারণকরা ভিডিও পর্যালোচনা করছে, যাতে জড়িত অন্যদেরও শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা যায়। অভিযানে এই কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।

এছাড়া তদন্তে সহায়তা করতে সাধারণ নাগরিকদের প্রতিও আহ্বান জানানো হয়েছে বিবৃতিতে। কারও কাছে যদি সংশ্লিষ্ট কোনো তথ্য থাকে, তা পুলিশকে জানাতে অনুরোধ করা হয়েছে।

আপলোডকারীর তথ্য

Shuvo

প্রকৃতির প্রতিশোধ: সংকটে জীববৈচিত্র্য

বাটা-কেএফসিতে ভাঙচুর-লুটপাটে ১০ মামলা, ৭২ জন গ্রেপ্তার

আপডেট সময় ১১:৫১:১৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৯ এপ্রিল ২০২৫

সিলেট, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন শহরে বাটা, কেএফসিসহ বিভিন্ন দোকান, রেস্তোরাঁয় হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনায় ৭২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি বর্বরতার প্রতিবাদে বিক্ষোভ চলাকালে এসব ভাঙচুর-লুটপাটের ঘটনা ঘটে, যাতে দেশজুড়ে নিন্দার ঝড় ওঠে।

প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় বুধবার সকালে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, এসব ঘটনায় ১০টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

গ্রেপ্তার ৭২ জনের মধ্যে, খুলনায় ৩৩ জন, সিলেটে ১৯ জন, চট্টগ্রামে ৫ জন, গাজীপুরে ৪ জন, নারায়ণগঞ্জে ৪ জন, কুমিল্লায় ৩ জন এবং কক্সবাজারে ৪ জনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।

গাজায় নিরস্ত্র ফিলিস্তিনিদের উপর ইসরায়েলি বাহিনীর বর্বর হামলার প্রতিবাদে সোমবার বিশ্বব্যাপী ‘নো ওয়ার্ক, নো স্কুল’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে বাংলাদেশের জেলায় জেলায় বিক্ষোভ মিছিল, সমাবেশ ও ধর্মঘট পালন করা হয়। এসব বিক্ষোভের মধেই কিছু মানুষ ফাস্ট ফুড চেইন কেএফসি, পিৎজা হাট, বাটার মত আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডের বিক্রয় কেন্দ্রে হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও লুটপাট করেছে। পাশাপাশি কোমল পানীয় কোকাকোলা, সেভেন আপ রাখায় বিভিন্ন দোকান ও রেস্তোরাঁতেও হামলা করা হয়।

দেশের অন্তত ছয় জেলায় ‘ইসরায়েলি পণ্য রাখা ও বিক্রি’ করার অভিযোগ তুলে ধরে ১৬টি রেস্তোরাঁ ও বিক্রয় কেন্দ্রে হামলা-ভাঙচুরের খবর আসে।

কক্সবাজারে পাঁচটি, চট্টগ্রামে তিনটি, সিলেট পাঁচটি, গাজীপুরে চারটি, কুমিল্লায় একটি এবং বগুড়ায় একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। তবে হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি।

এর মধ্যে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, পুলিশ বিক্ষোভ চলাকালে ধারণকরা ভিডিও পর্যালোচনা করছে, যাতে জড়িত অন্যদেরও শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা যায়। অভিযানে এই কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।

এছাড়া তদন্তে সহায়তা করতে সাধারণ নাগরিকদের প্রতিও আহ্বান জানানো হয়েছে বিবৃতিতে। কারও কাছে যদি সংশ্লিষ্ট কোনো তথ্য থাকে, তা পুলিশকে জানাতে অনুরোধ করা হয়েছে।