সংবাদ শিরোনাম ::
Logo পাকিস্তানের রাস্তায় নারী-শিশুর ওপর সিংহের আক্রমণ, কিন্তু কিভাবে? Logo মূল্যস্ফীতির হার কমে ৮.৪৮ শতাংশে, ২৭ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন Logo ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে তিনজনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৪৯২ Logo বাংলাদেশকে বিশ্বমঞ্চে নিয়ে যেতে চান ঋতুপর্ণা Logo যে কারণে চুম্বন দৃশ্যে অভিনয় করেন না সালমান খান Logo যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসে বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৮২, নিখোঁজ ৪১ Logo ক্লাইমেট চেইঞ্জ ট্রাস্টকে শক্তিশালী করতে ১০বছর মেয়াদি স্ট্রাটেজিক প্ল্যান প্রণয়ন করা হবে Logo সন্তান আছে প্রমাণ করতে পারলে ২০ হাজার ডলার পুরস্কার দেবেন তানজিন তিশা Logo এসএসসির ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশের তারিখ ঘোষণা Logo সাগরে লঘুচাপ, তিন বিভাগে ভারী বৃষ্টির আভাস, ভূমিধসের আশঙ্কা

পার্বত্য চট্টগ্রামের গহীন অরণ্যে চিতাবাঘের অস্তিত্বের প্রমাণ মিলল

পার্বত্য চট্টগ্রামের গহীন অরণ্যে আবারও চিতাবাঘের অস্তিত্বের প্রমাণ মিলল

পার্বত্য চট্টগ্রামের গহীন অরণ্যে চিতাবাঘের অস্তিত্বের প্রমাণ মিলেছে। ওয়াইল্ডলাইফ নিয়ে কাজ করা সংস্থা ক্রিয়েটিভ কনজারভেশন অ্যালায়েন্স (সিসিএ) বান্দরবানের একটি সংরক্ষিত গহীন বনে এশিয়াটিক প্রজাতির একটি চিতাবাঘের ছবি ক্যামেরায় ধারণ করেছে।

চলতি জুন মাসে স্থাপিত ক্যামেরা ট্র্যাপে এই দুর্লভ প্রাণীর ছবি ধরা পড়ে। এর মাধ্যমে দীর্ঘদিনের ধারণার বাস্তব ভিত্তি পাওয়া গেল।

এই দুর্লভ প্রাণীর ছবি প্রমাণ করে যে, পার্বত্য চট্টগ্রামের বনভূমিতে এখনও চিতাবাঘের অস্তিত্ব রয়েছে। ঐতিহাসিকভাবে ১৯০৬ সালের একটি রেকর্ডে সাঙ্গু ও মাতামুহুরী অববাহিকার বনে চিতাবাঘের উপস্থিতির তথ্য পাওয়া গিয়েছিল। তবে সাম্প্রতিক সময়েও এই বিরল প্রাণীকে ক্যামেরায় ধরা পড়তে দেখা গেছে।

সিসিএ-এর প্রধান নির্বাহী শাহরিয়ার সিজার জানান, চিতাবাঘটির সুরক্ষার স্বার্থে এর অবস্থান গোপন রাখা হয়েছে, যাতে শিকারিরা এর ক্ষতি করতে না পারে। তিনি জানান, ২০১৫ সালেও একটি চিতাবাঘের দেখা মিলেছিল, তবে বর্তমানে এর সংখ্যা আরো কমেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকেই সংশ্লিষ্ট বনের অবস্থান বান্দরবানের বলে ধারণা করছেন। বান্দরবানের চিম্বুক রেঞ্জ, মোদক রেঞ্জ ও রেং তলাং রেঞ্জের গভীর রাতের জঙ্গলে প্রায়শই অদ্ভুত পশুপাখির কণ্ঠস্বর শোনা যায় বলে দাবি করেন অনেকে।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক এবং বাঘ বিশেষজ্ঞ ড. মনিরুল এইচ খান এই আবিষ্কারকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে জানান, এই এলাকাটি চিতাবাঘের প্রজনন এবং বিচরণের জন্য সহায়ক হতে পারে, তবে শিকারিদের তৎপরতা একটি বড় হুমকি। তিনি এই এলাকায় চিতাবাঘ সংরক্ষণে জোর দেন। এ ছাড়া গবেষকরা বর্তমানে ধারণকৃত চিতাবাঘের লিঙ্গসহ অন্যান্য বৈশিষ্ট্য নির্ণয়ের জন্য কাজ করছেন।

জনপ্রিয় সংবাদ

পাকিস্তানের রাস্তায় নারী-শিশুর ওপর সিংহের আক্রমণ, কিন্তু কিভাবে?

পার্বত্য চট্টগ্রামের গহীন অরণ্যে চিতাবাঘের অস্তিত্বের প্রমাণ মিলল

আপডেট সময় ০২:৫৮:৫৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫
পার্বত্য চট্টগ্রামের গহীন অরণ্যে চিতাবাঘের অস্তিত্বের প্রমাণ মিলেছে। ওয়াইল্ডলাইফ নিয়ে কাজ করা সংস্থা ক্রিয়েটিভ কনজারভেশন অ্যালায়েন্স (সিসিএ) বান্দরবানের একটি সংরক্ষিত গহীন বনে এশিয়াটিক প্রজাতির একটি চিতাবাঘের ছবি ক্যামেরায় ধারণ করেছে।

চলতি জুন মাসে স্থাপিত ক্যামেরা ট্র্যাপে এই দুর্লভ প্রাণীর ছবি ধরা পড়ে। এর মাধ্যমে দীর্ঘদিনের ধারণার বাস্তব ভিত্তি পাওয়া গেল।

এই দুর্লভ প্রাণীর ছবি প্রমাণ করে যে, পার্বত্য চট্টগ্রামের বনভূমিতে এখনও চিতাবাঘের অস্তিত্ব রয়েছে। ঐতিহাসিকভাবে ১৯০৬ সালের একটি রেকর্ডে সাঙ্গু ও মাতামুহুরী অববাহিকার বনে চিতাবাঘের উপস্থিতির তথ্য পাওয়া গিয়েছিল। তবে সাম্প্রতিক সময়েও এই বিরল প্রাণীকে ক্যামেরায় ধরা পড়তে দেখা গেছে।

সিসিএ-এর প্রধান নির্বাহী শাহরিয়ার সিজার জানান, চিতাবাঘটির সুরক্ষার স্বার্থে এর অবস্থান গোপন রাখা হয়েছে, যাতে শিকারিরা এর ক্ষতি করতে না পারে। তিনি জানান, ২০১৫ সালেও একটি চিতাবাঘের দেখা মিলেছিল, তবে বর্তমানে এর সংখ্যা আরো কমেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকেই সংশ্লিষ্ট বনের অবস্থান বান্দরবানের বলে ধারণা করছেন। বান্দরবানের চিম্বুক রেঞ্জ, মোদক রেঞ্জ ও রেং তলাং রেঞ্জের গভীর রাতের জঙ্গলে প্রায়শই অদ্ভুত পশুপাখির কণ্ঠস্বর শোনা যায় বলে দাবি করেন অনেকে।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক এবং বাঘ বিশেষজ্ঞ ড. মনিরুল এইচ খান এই আবিষ্কারকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে জানান, এই এলাকাটি চিতাবাঘের প্রজনন এবং বিচরণের জন্য সহায়ক হতে পারে, তবে শিকারিদের তৎপরতা একটি বড় হুমকি। তিনি এই এলাকায় চিতাবাঘ সংরক্ষণে জোর দেন। এ ছাড়া গবেষকরা বর্তমানে ধারণকৃত চিতাবাঘের লিঙ্গসহ অন্যান্য বৈশিষ্ট্য নির্ণয়ের জন্য কাজ করছেন।