বালি ও ভূমিদস্যুতা চরম পর্যায়ে পৌঁছে গেছে: পরিবেশ উপদেষ্টা

বালি ও ভূমিদস্যুতা চরম পর্যায়ে পৌঁছে গেছে: পরিবেশ উপদেষ্টা

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন  মন্ত্রণালয় এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, ‘দেশে বালি ও ভূমিদস্যুতা চরম পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। এটা নিয়ন্ত্রণে ডিসিদের ১০ দফা নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। দিনে বা রাতে যখনই অবৈধভাবে মাটি বা বালি উত্তোলন করা হবে, সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

 

সোমবার বড়াল নদীর উৎসমুখ পরিদর্শন শেষে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় জেলা প্রশাসককে পুকুর-জলাশয় সংস্কারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা দেন উপদেষ্টা। এক্ষেত্রে তার মন্ত্রণালয় প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদান করবে বলে আশ্বস্ত করেন। এ সময় স্থানীয় পরিবেশ কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

 

উপদেষ্টা বলেন, ‘চারঘাটের বড়াল নদীতে স্লুইস গেট আর দরকার নেই, সমন্বিত উদ্যোগে নদী খননসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। শুধু প্রকল্পের স্বার্থে নদীর প্রবাহে আর বাধা রাখা যাবে না।’

 

ফারাক্কা পানি চুক্তির প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ফারাক্কা পানি চুক্তি নিয়ে কথা বলার মতো সময় এখনো আসেনি। যথাসময়ে চুক্তি নবায়ন হবে।’ ফসলি জমিতে পুকুর খনন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে উপদেষ্টা বলেন, ‘এ অঞ্চলে ফসলি জমিতে পুকুর খনন পরিবেশ হুমকিতে ফেলছে। ফসলি জমি নষ্ট করা যাবে না।’

 

রাজশাহী সফরে পরিবেশ উপদেষ্টা স্থানীয় প্রশাসন, পরিবেশকর্মী এবং তরুণদের সঙ্গে টেকসই পরিবেশ বিষয়ে মতবিনিময় করেন।

আপলোডকারীর তথ্য

Shuvo

জনপ্রিয় সংবাদ

বালি ও ভূমিদস্যুতা চরম পর্যায়ে পৌঁছে গেছে: পরিবেশ উপদেষ্টা

আপডেট সময় ১২:৫০:১৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন  মন্ত্রণালয় এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, ‘দেশে বালি ও ভূমিদস্যুতা চরম পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। এটা নিয়ন্ত্রণে ডিসিদের ১০ দফা নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। দিনে বা রাতে যখনই অবৈধভাবে মাটি বা বালি উত্তোলন করা হবে, সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

 

সোমবার বড়াল নদীর উৎসমুখ পরিদর্শন শেষে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় জেলা প্রশাসককে পুকুর-জলাশয় সংস্কারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা দেন উপদেষ্টা। এক্ষেত্রে তার মন্ত্রণালয় প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদান করবে বলে আশ্বস্ত করেন। এ সময় স্থানীয় পরিবেশ কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

 

উপদেষ্টা বলেন, ‘চারঘাটের বড়াল নদীতে স্লুইস গেট আর দরকার নেই, সমন্বিত উদ্যোগে নদী খননসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। শুধু প্রকল্পের স্বার্থে নদীর প্রবাহে আর বাধা রাখা যাবে না।’

 

ফারাক্কা পানি চুক্তির প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ফারাক্কা পানি চুক্তি নিয়ে কথা বলার মতো সময় এখনো আসেনি। যথাসময়ে চুক্তি নবায়ন হবে।’ ফসলি জমিতে পুকুর খনন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে উপদেষ্টা বলেন, ‘এ অঞ্চলে ফসলি জমিতে পুকুর খনন পরিবেশ হুমকিতে ফেলছে। ফসলি জমি নষ্ট করা যাবে না।’

 

রাজশাহী সফরে পরিবেশ উপদেষ্টা স্থানীয় প্রশাসন, পরিবেশকর্মী এবং তরুণদের সঙ্গে টেকসই পরিবেশ বিষয়ে মতবিনিময় করেন।