সংবাদ শিরোনাম ::
Logo প্রকৃতির প্রতিশোধ: সংকটে জীববৈচিত্র্য Logo লঘুচাপ, ঘূর্ণিঝড়ের গুঞ্জন! কেমন যেতে পারে মাসের শেষ দিনগুলো, যা বলছে আবহাওয়ার পূর্বাভাস Logo প্রশাসনিক সমন্বয় ও সংস্কার ছাড়া পরিবেশ সংরক্ষণ সম্ভব নয় : পরিবেশ উপদেষ্টা Logo বেসরকারি শিক্ষক নিয়োগে নারী কোটা বাতিল Logo প্রকৃতির সঙ্গে সুর মিলিয়ে চলার বার্তা নিয়ে এবছরের আন্তর্জাতিক জীববৈচিত্র্য দিবস Logo জাতীয় নির্বাচন, ‘মানবিক করিডোর’, মব সহিংসতা নিয়ে যা বললেন সেনাপ্রধান Logo রিট খারিজ, মেয়র হিসেবে ইশরাককে শপথ পড়ানোর বাধা নেই Logo প্রাক বর্ষায় রাজধানীসহ নানাস্থানে মাঝারি-ভারী বৃষ্টি Logo শিল্পে বিনামূল্যে ভূগর্ভস্থ পানি উত্তোলন বন্ধে নীতিমালা চূড়ান্ত হচ্ছে : রিজওয়ানা হাসান Logo শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নতুন শপথবাক্য পাঠ করানোর নির্দেশ

বিডিআর বিদ্রোহে শহীদদের স্মরণ অনুষ্ঠানে সেনাপ্রধানের বক্তব্যে যা যা প্রাধান্য পেলো  

বিডিআর বিদ্রোহে শহীদদের স্মরণ অনুষ্ঠানে সেনাপ্রধানের বক্তব্যে যা যা প্রাধান্য পেলো  

আজ পিলখানায় বিডিআর বিদ্রোহে নিহতদের স্মরণে দেশে প্রথমবারের মতো ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ পালিত হয়েছে। দিনটি উপলক্ষ্যে মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর রাওয়া কনভেনশন হলে আয়োজিত বিশেষ অনুষ্ঠানে সেনাপ্রধান   জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বক্তব্য দিয়েছেন। সেনাপ্রধান তাঁর বক্তব্যে বিডিআর বিদ্রোহ, বিদ্রোহের বিচার এবং দেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলেছেন। একই সঙ্গে দেশের সার্বভৌমত্বের স্বার্থে তিনি সব পক্ষের উদ্দেশে সতর্কবাণীও দিয়েছেন।

 

প্রথম আলো অনলাইনের প্রতিবেদনে জানিয়েছে: বক্তব্যে পিলখানা হত্যাকাণ্ডের বিচারিক প্রক্রিয়াকে নষ্ট না করার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।

 

সেনাপ্রধান বলেন, ‘একটা জিনিস আমাদের সব সময় মনে রাখতে হবে, এই বর্বরতা কোনো সেনাসদস্য করেনি। সম্পূর্ণটাই তদানীন্তন বিডিআর সদস্য দ্বারা সংঘটিত। ফুলস্টপ। এখানে কোনো “ইফ” এবং “বাট” (যদি ও কিন্তু) নাই। এখানে যদি “ইফ” এবং “বাট” আনেন, এই যে বিচারিক কার্যক্রম এত দিন ধরে হয়েছে, ১৬ বছর ধরে, ১৭ বছর ধরে যারা জেলে আছে, যারা কনভিকটেড, সেই বিচারিক প্রক্রিয়া ব্যাহত হবে। এই জিনিসটা আমাদের খুব পরিষ্কার করে মনে রাখা প্রয়োজন। এই বিচারিক প্রক্রিয়াকে নষ্ট করবেন না। যে সমস্ত সদস্য শাস্তি পেয়েছে, তারা শাস্তি পাওয়ার যোগ্য।’

 

জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেন, ‘আজকে একটা বেদনাবিধুর দিবস। ২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি আমরা এই ৫৭ জন চৌকস সেনা অফিসার এবং শুধু তা–ই নয়, তাঁদের কিছু কিছু পরিবারের সদস্যদের আমরা হারিয়েছি। এখানে আসার সময় এই ছবিগুলো আমি দেখছিলাম। এই ছবিগুলো আপনারা অনেকে ছবিতে দেখেছেন। কিন্তু এগুলো আমার সব চাক্ষুষ দেখা। আমি একটা চাক্ষুষ সাক্ষী এই সমস্ত বর্বরতার।’

 

জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেন, ‘এখানে কোনো রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ এর মধ্যে উপস্থিত ছিল কি না, ইনভলব ছিল কি না, বাইরের কোনো শক্তি এর মধ্যে ইনভলব ছিল কি না, সেটার জন্য কমিশন করা হয়েছে। কমিশনের চেয়ারম্যান এখানে আছেন। উনি এটা বের করবেন এবং আপনাদের জানাবেন।’

 

সেনাপ্রধান বলেন, ‘বটমলাইন হচ্ছে যে এই সমস্ত, আমাদের এই চৌকস সেনাসদস্য, যাঁরা প্রাণ হারিয়েছেন, তাঁরা প্রাণ হারিয়েছেন তদানীন্তন বিডিআর সদস্যদের গুলিতে। আমরা নিজেরা এসব জিনিস নিয়ে অনেক ভিন্নমত পোষণ করছি কেউ কেউ। এই জিনিসটাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করছি। সেটা আমাদের জন্য মঙ্গলজনক হবে না।’

 

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে: আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের প্রত্যাশা জানিয়ে ‘মারামারি-কাটাকাটি আর কাদা ছোড়াছুড়ি’ বন্ধ করার জন্য সব পক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জেনারেল ওয়াকার। তা না হলে স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব ‘বিপন্ন হবে’ বলে হুঁশিয়ার করে তিনি বলেছেন, “আমি আজকে বলে দিলাম, নইলে বলবেন সতর্ক করিনি।”

 

তিনি বলেন, “আসেন আমরা নিজেদের মধ্যে মারামারি-কাটাকাটি না করে দেশ জাতি যেন একসাথে থাকতে পারি সেদিকে কাজ করি। আমাদের মধ্যে মতের বিরোধ থাকতে পারে, চিন্তা-চেতনার বিরোধ থাকতে পারে, কিন্তু দিনশেষে যেন আমরা সবাই দেশ ও জাতির দিকে খেয়াল করে সবাই যেন এক থাকতে পারি।”

 

কেবল এক থাকলেই এ দেশ উন্নত হবে, সঠিকপথে পরিচালিত হবে মন্তব্য করে সেনাপ্রধান বলেন, “না হলে আমরা আরও সমস্যার মধ্যে পড়তে যাব। আমরা ওইদিকে যেতে চাই না। আমি আপনাদের সতর্ক করে দিচ্ছি। পরে বলবেন সতর্ক করিনি। আপনারা যদি নিজেদের মধ্যে ভেদাভেদ ভুলে একসাথে কাজ করতে না পারেন, নিজেরা যদি কাদা ছোড়াছুড়ি করেন। মারামারি কাটাকাটি করেন, দেশ ও জাতির স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব বিপন্ন হবে।”

 

জেনারেল ওয়াকার আরও বলেন, “আমি আপনাদের সতর্ক করে দিচ্ছি। এই দেশ আমাদের সবার। আমরা সবাই সুখে শান্তিতে থাকতে চাই। সেই উদ্দেশ্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।”

 

সেনাপ্রধানের বক্তব্যের আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক অংশটিতে প্রাধান্য দিয়ে বণিকবার্তা অনলাইন লিখেছে: জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি খারাপের পেছনে কিছু কারণ আছে। প্রথম কারণ আমরা নিজেরা হানাহানিতে ব্যস্ত। আমরা একজন আরেকজনের বিরুদ্ধে বিষোদগারে ব্যস্ত। এটা অপরাধীদের জন্য চমৎকার সুযোগ। আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকলে, একত্রিত থাকলে এ পরিস্থিতি মোকাবেলা করা সম্ভব।

 

তিনি বলেন, পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি, ডিজিএফআই, এনএসআই অতীতে খারাপ কাজের সঙ্গে ভালো কাজও করেছে। দেশ যে এত বছর স্থিতিশীল ছিল এটার কারণ হচ্ছে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য ও সিভিলিয়ান সবাই মিলে প্রতিষ্ঠানগুলোকে ইফেক্টিভ রেখেছি। সে জন্য এতদিন সুন্দর পরিবেশ পেয়েছি।

 

ওয়াকার-উজ-জামান আরো বলেন, এর মধ্যে যারা অপরাধ করেছে, তাদের অবশ্যই শাস্তি হতে হবে। নাহলে এ জিনিস আবার ঘটবে। কিন্তু তার আগে মনে রাখতে হবে, আমরা এমনভাবে কাজ করব এসব সংস্থা যেন আন্ডারমাইন না হয়। আজ অনেক পুলিশ কাজ করছে না, এর বড় কারণ অনেকের বিরুদ্ধে মামলা, অনেকে জেলে। র‌্যাব, বিজিবি, ডিজিএফআই এনএসআই প্যানিকড। বিভিন্ন দোষারোপ, গুম, খুনের তদন্ত চলছে। অবশ্যই তদন্ত হবে দোষীদের তদন্তের আওতায় আনতে হবে। তবে তা এমন ভাবে করতে হবে যেন সংস্থাগুলো আন্ডারমাইন না হয়। সংস্থাগুলোকে এমনভাবে আন্ডারমাইন করে আপনারা যদি মনে করেন দেশে শান্তি ফিরবে, তাহলে এটা হবে না। সম্ভব নয়।

 

দেশের শান্তি শৃঙ্খলার দায়িত্ব শুধু সেনাবাহিনীর নয় উল্লেখ করে সেনাপ্রধান বলেন, দুই লাখ পুলিশ আছে, বিজিবি আছে, র‌্যাব আছে, আনসার ভিডিপি আছে। আমার আছে ৩০ হাজার সৈন্য। এ ৩০ হাজার সৈন্য নিয়ে এই ভয়েড আমি কীভাবে পূরণ করব। ৩০ হাজার থাকে, আবার ৩০ হাজার চলে যায় ক্যান্টনমেন্টে। আবার ৩০ হাজার আসে। এটা নিয়ে আমরা দিনরাত চেষ্টা করে যাচ্ছি। বিপরীতমুখী কাজ করলে দেশের কখনো শান্তি শৃঙ্খলা আসবে না। জিনিসটা আপনাদের মনে রাখতে হবে।

সেনাপ্রধান তার বক্তব্যে স্পষ্ট করে বলেন, ” দেশ এবং জাতিকে একটা সুন্দর জায়গায় রেখে আমরা সেনানিবাসে ফেরত আসবো।”

আপলোডকারীর তথ্য

Shuvo

প্রকৃতির প্রতিশোধ: সংকটে জীববৈচিত্র্য

বিডিআর বিদ্রোহে শহীদদের স্মরণ অনুষ্ঠানে সেনাপ্রধানের বক্তব্যে যা যা প্রাধান্য পেলো  

আপডেট সময় ০৬:৩৮:৪৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

আজ পিলখানায় বিডিআর বিদ্রোহে নিহতদের স্মরণে দেশে প্রথমবারের মতো ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ পালিত হয়েছে। দিনটি উপলক্ষ্যে মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর রাওয়া কনভেনশন হলে আয়োজিত বিশেষ অনুষ্ঠানে সেনাপ্রধান   জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বক্তব্য দিয়েছেন। সেনাপ্রধান তাঁর বক্তব্যে বিডিআর বিদ্রোহ, বিদ্রোহের বিচার এবং দেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলেছেন। একই সঙ্গে দেশের সার্বভৌমত্বের স্বার্থে তিনি সব পক্ষের উদ্দেশে সতর্কবাণীও দিয়েছেন।

 

প্রথম আলো অনলাইনের প্রতিবেদনে জানিয়েছে: বক্তব্যে পিলখানা হত্যাকাণ্ডের বিচারিক প্রক্রিয়াকে নষ্ট না করার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।

 

সেনাপ্রধান বলেন, ‘একটা জিনিস আমাদের সব সময় মনে রাখতে হবে, এই বর্বরতা কোনো সেনাসদস্য করেনি। সম্পূর্ণটাই তদানীন্তন বিডিআর সদস্য দ্বারা সংঘটিত। ফুলস্টপ। এখানে কোনো “ইফ” এবং “বাট” (যদি ও কিন্তু) নাই। এখানে যদি “ইফ” এবং “বাট” আনেন, এই যে বিচারিক কার্যক্রম এত দিন ধরে হয়েছে, ১৬ বছর ধরে, ১৭ বছর ধরে যারা জেলে আছে, যারা কনভিকটেড, সেই বিচারিক প্রক্রিয়া ব্যাহত হবে। এই জিনিসটা আমাদের খুব পরিষ্কার করে মনে রাখা প্রয়োজন। এই বিচারিক প্রক্রিয়াকে নষ্ট করবেন না। যে সমস্ত সদস্য শাস্তি পেয়েছে, তারা শাস্তি পাওয়ার যোগ্য।’

 

জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেন, ‘আজকে একটা বেদনাবিধুর দিবস। ২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি আমরা এই ৫৭ জন চৌকস সেনা অফিসার এবং শুধু তা–ই নয়, তাঁদের কিছু কিছু পরিবারের সদস্যদের আমরা হারিয়েছি। এখানে আসার সময় এই ছবিগুলো আমি দেখছিলাম। এই ছবিগুলো আপনারা অনেকে ছবিতে দেখেছেন। কিন্তু এগুলো আমার সব চাক্ষুষ দেখা। আমি একটা চাক্ষুষ সাক্ষী এই সমস্ত বর্বরতার।’

 

জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেন, ‘এখানে কোনো রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ এর মধ্যে উপস্থিত ছিল কি না, ইনভলব ছিল কি না, বাইরের কোনো শক্তি এর মধ্যে ইনভলব ছিল কি না, সেটার জন্য কমিশন করা হয়েছে। কমিশনের চেয়ারম্যান এখানে আছেন। উনি এটা বের করবেন এবং আপনাদের জানাবেন।’

 

সেনাপ্রধান বলেন, ‘বটমলাইন হচ্ছে যে এই সমস্ত, আমাদের এই চৌকস সেনাসদস্য, যাঁরা প্রাণ হারিয়েছেন, তাঁরা প্রাণ হারিয়েছেন তদানীন্তন বিডিআর সদস্যদের গুলিতে। আমরা নিজেরা এসব জিনিস নিয়ে অনেক ভিন্নমত পোষণ করছি কেউ কেউ। এই জিনিসটাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করছি। সেটা আমাদের জন্য মঙ্গলজনক হবে না।’

 

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে: আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের প্রত্যাশা জানিয়ে ‘মারামারি-কাটাকাটি আর কাদা ছোড়াছুড়ি’ বন্ধ করার জন্য সব পক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জেনারেল ওয়াকার। তা না হলে স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব ‘বিপন্ন হবে’ বলে হুঁশিয়ার করে তিনি বলেছেন, “আমি আজকে বলে দিলাম, নইলে বলবেন সতর্ক করিনি।”

 

তিনি বলেন, “আসেন আমরা নিজেদের মধ্যে মারামারি-কাটাকাটি না করে দেশ জাতি যেন একসাথে থাকতে পারি সেদিকে কাজ করি। আমাদের মধ্যে মতের বিরোধ থাকতে পারে, চিন্তা-চেতনার বিরোধ থাকতে পারে, কিন্তু দিনশেষে যেন আমরা সবাই দেশ ও জাতির দিকে খেয়াল করে সবাই যেন এক থাকতে পারি।”

 

কেবল এক থাকলেই এ দেশ উন্নত হবে, সঠিকপথে পরিচালিত হবে মন্তব্য করে সেনাপ্রধান বলেন, “না হলে আমরা আরও সমস্যার মধ্যে পড়তে যাব। আমরা ওইদিকে যেতে চাই না। আমি আপনাদের সতর্ক করে দিচ্ছি। পরে বলবেন সতর্ক করিনি। আপনারা যদি নিজেদের মধ্যে ভেদাভেদ ভুলে একসাথে কাজ করতে না পারেন, নিজেরা যদি কাদা ছোড়াছুড়ি করেন। মারামারি কাটাকাটি করেন, দেশ ও জাতির স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব বিপন্ন হবে।”

 

জেনারেল ওয়াকার আরও বলেন, “আমি আপনাদের সতর্ক করে দিচ্ছি। এই দেশ আমাদের সবার। আমরা সবাই সুখে শান্তিতে থাকতে চাই। সেই উদ্দেশ্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।”

 

সেনাপ্রধানের বক্তব্যের আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক অংশটিতে প্রাধান্য দিয়ে বণিকবার্তা অনলাইন লিখেছে: জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি খারাপের পেছনে কিছু কারণ আছে। প্রথম কারণ আমরা নিজেরা হানাহানিতে ব্যস্ত। আমরা একজন আরেকজনের বিরুদ্ধে বিষোদগারে ব্যস্ত। এটা অপরাধীদের জন্য চমৎকার সুযোগ। আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকলে, একত্রিত থাকলে এ পরিস্থিতি মোকাবেলা করা সম্ভব।

 

তিনি বলেন, পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি, ডিজিএফআই, এনএসআই অতীতে খারাপ কাজের সঙ্গে ভালো কাজও করেছে। দেশ যে এত বছর স্থিতিশীল ছিল এটার কারণ হচ্ছে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য ও সিভিলিয়ান সবাই মিলে প্রতিষ্ঠানগুলোকে ইফেক্টিভ রেখেছি। সে জন্য এতদিন সুন্দর পরিবেশ পেয়েছি।

 

ওয়াকার-উজ-জামান আরো বলেন, এর মধ্যে যারা অপরাধ করেছে, তাদের অবশ্যই শাস্তি হতে হবে। নাহলে এ জিনিস আবার ঘটবে। কিন্তু তার আগে মনে রাখতে হবে, আমরা এমনভাবে কাজ করব এসব সংস্থা যেন আন্ডারমাইন না হয়। আজ অনেক পুলিশ কাজ করছে না, এর বড় কারণ অনেকের বিরুদ্ধে মামলা, অনেকে জেলে। র‌্যাব, বিজিবি, ডিজিএফআই এনএসআই প্যানিকড। বিভিন্ন দোষারোপ, গুম, খুনের তদন্ত চলছে। অবশ্যই তদন্ত হবে দোষীদের তদন্তের আওতায় আনতে হবে। তবে তা এমন ভাবে করতে হবে যেন সংস্থাগুলো আন্ডারমাইন না হয়। সংস্থাগুলোকে এমনভাবে আন্ডারমাইন করে আপনারা যদি মনে করেন দেশে শান্তি ফিরবে, তাহলে এটা হবে না। সম্ভব নয়।

 

দেশের শান্তি শৃঙ্খলার দায়িত্ব শুধু সেনাবাহিনীর নয় উল্লেখ করে সেনাপ্রধান বলেন, দুই লাখ পুলিশ আছে, বিজিবি আছে, র‌্যাব আছে, আনসার ভিডিপি আছে। আমার আছে ৩০ হাজার সৈন্য। এ ৩০ হাজার সৈন্য নিয়ে এই ভয়েড আমি কীভাবে পূরণ করব। ৩০ হাজার থাকে, আবার ৩০ হাজার চলে যায় ক্যান্টনমেন্টে। আবার ৩০ হাজার আসে। এটা নিয়ে আমরা দিনরাত চেষ্টা করে যাচ্ছি। বিপরীতমুখী কাজ করলে দেশের কখনো শান্তি শৃঙ্খলা আসবে না। জিনিসটা আপনাদের মনে রাখতে হবে।

সেনাপ্রধান তার বক্তব্যে স্পষ্ট করে বলেন, ” দেশ এবং জাতিকে একটা সুন্দর জায়গায় রেখে আমরা সেনানিবাসে ফেরত আসবো।”