সংবাদ শিরোনাম ::
Logo প্রকৃতির প্রতিশোধ: সংকটে জীববৈচিত্র্য Logo লঘুচাপ, ঘূর্ণিঝড়ের গুঞ্জন! কেমন যেতে পারে মাসের শেষ দিনগুলো, যা বলছে আবহাওয়ার পূর্বাভাস Logo প্রশাসনিক সমন্বয় ও সংস্কার ছাড়া পরিবেশ সংরক্ষণ সম্ভব নয় : পরিবেশ উপদেষ্টা Logo বেসরকারি শিক্ষক নিয়োগে নারী কোটা বাতিল Logo প্রকৃতির সঙ্গে সুর মিলিয়ে চলার বার্তা নিয়ে এবছরের আন্তর্জাতিক জীববৈচিত্র্য দিবস Logo জাতীয় নির্বাচন, ‘মানবিক করিডোর’, মব সহিংসতা নিয়ে যা বললেন সেনাপ্রধান Logo রিট খারিজ, মেয়র হিসেবে ইশরাককে শপথ পড়ানোর বাধা নেই Logo প্রাক বর্ষায় রাজধানীসহ নানাস্থানে মাঝারি-ভারী বৃষ্টি Logo শিল্পে বিনামূল্যে ভূগর্ভস্থ পানি উত্তোলন বন্ধে নীতিমালা চূড়ান্ত হচ্ছে : রিজওয়ানা হাসান Logo শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নতুন শপথবাক্য পাঠ করানোর নির্দেশ

ব্রহ্মপুত্রের উজানে বিশাল বাঁধ দিচ্ছে চীন, বাংলাদেশ-ভারতের শঙ্কা  

ব্রহ্মপুত্রের উজানে বিশাল বাঁধ দিচ্ছে চীন, বাংলাদেশ-ভারতের শঙ্কা  

ব্রহ্মপুত্র নদের উজানে অবস্থিত তিব্বতে বিশ্বের সবচেয়ে বড় জলবিদ্যুৎ প্রকল্প গড়তে বাঁধ নির্মাণ পরিকল্পনায়  অনুমোদন দিয়েছে চীন। এই প্রকল্পের জেরে তিব্বতে ভাটির দেশ ভারত ও বাংলাদেশের লাখ লাখ মানুষের পানি পাওয়া নিয়ে শঙ্কা তৈরি হবে। এক প্রতিবেদনে এমনটাই জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই বাঁধটি ইয়ারলুং জাংবো নদীর নিম্নপ্রবাহে নির্মাণ করা হবে। সেখান থেকে প্রতি বছর ৩০০ বিলিয়ন কিলোওয়াট-ঘণ্টা বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে। ২০২০ সালে চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত জলবিদ্যুৎ কোম্পানি পাওয়ার কনস্ট্রাকশন কর্পোরেশন অব চায়নার দেয়া একটি অনুমান থেকে এই তথ্য জানা যায়।

বর্তমানে বিশ্বের বৃহত্তম বাঁধটি হলো চীনের মধ্য অঞ্চলে অবস্থিত থ্রি গর্জেস ড্যাম। এখান থেকে বছরে ৮৮.২ বিলিয়ন কিলোওয়াট-ঘণ্টা বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়। নতুন এই বাঁধের উৎপাদন ক্ষমতা থ্রি গর্জেস ড্যামের চেয়ে তিনগুণের বেশি।

ইয়ারলুং জাংবো নদীটি গলিত হিমবাহ এবং পাহাড়ের ঝর্ণা থেকে উৎপত্তি। হিমালয়ের পানিরেখা দিয়ে প্রবাহিত নদীটি ভারতের অরুণাচল প্রদেশ ও আসাম রাজ্যের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। বাংলাদেশ ও ভারতে এই নদীটি ব্রহ্মপুত্র নামে পরিচিত।

এই কারণে ভারত ও বাংলাদেশ এই বাঁধ নির্মাণ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। প্রকল্পটি স্থানীয় বাস্তুতন্ত্র ও নদীর নিম্নধারে পানির প্রবাহ ও পথ পরিবর্তন করতে পারে বলে নিজেদের শঙ্কার কথা জানিয়েছে দেশ দুটি।

তবে চীনা কর্মকর্তাদের দাবি, তিব্বতে জলবিদ্যুৎ প্রকল্পগুলো পরিবেশ বা নদীর নিম্ন প্রবাহে পানি সরবরাহের ওপর বড় কোনো প্রভাব ফেলবে না। এ ছাড়া ইয়ারলুং জাংবো নদীর (ব্রহ্মপুত্র) উজানে চীন ইতিমধ্যে জলবিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু করেছে এবং আরও প্রকল্পের পরিকল্পনা করছে।

বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) চীনের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সিনহুয়া জানিয়েছে, বাঁধটি চীনের কার্বন নিঃসরণ শীর্ষে পৌঁছানোর এবং কার্বন নিরপেক্ষতার লক্ষ্য পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। এটি প্রকৌশলসহ সংশ্লিষ্ট শিল্পগুলোকে উৎসাহিত করবে এবং তিব্বতে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে।

আপলোডকারীর তথ্য

Shuvo

প্রকৃতির প্রতিশোধ: সংকটে জীববৈচিত্র্য

ব্রহ্মপুত্রের উজানে বিশাল বাঁধ দিচ্ছে চীন, বাংলাদেশ-ভারতের শঙ্কা  

আপডেট সময় ০৩:৪৭:১৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪

ব্রহ্মপুত্র নদের উজানে অবস্থিত তিব্বতে বিশ্বের সবচেয়ে বড় জলবিদ্যুৎ প্রকল্প গড়তে বাঁধ নির্মাণ পরিকল্পনায়  অনুমোদন দিয়েছে চীন। এই প্রকল্পের জেরে তিব্বতে ভাটির দেশ ভারত ও বাংলাদেশের লাখ লাখ মানুষের পানি পাওয়া নিয়ে শঙ্কা তৈরি হবে। এক প্রতিবেদনে এমনটাই জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই বাঁধটি ইয়ারলুং জাংবো নদীর নিম্নপ্রবাহে নির্মাণ করা হবে। সেখান থেকে প্রতি বছর ৩০০ বিলিয়ন কিলোওয়াট-ঘণ্টা বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে। ২০২০ সালে চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত জলবিদ্যুৎ কোম্পানি পাওয়ার কনস্ট্রাকশন কর্পোরেশন অব চায়নার দেয়া একটি অনুমান থেকে এই তথ্য জানা যায়।

বর্তমানে বিশ্বের বৃহত্তম বাঁধটি হলো চীনের মধ্য অঞ্চলে অবস্থিত থ্রি গর্জেস ড্যাম। এখান থেকে বছরে ৮৮.২ বিলিয়ন কিলোওয়াট-ঘণ্টা বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়। নতুন এই বাঁধের উৎপাদন ক্ষমতা থ্রি গর্জেস ড্যামের চেয়ে তিনগুণের বেশি।

ইয়ারলুং জাংবো নদীটি গলিত হিমবাহ এবং পাহাড়ের ঝর্ণা থেকে উৎপত্তি। হিমালয়ের পানিরেখা দিয়ে প্রবাহিত নদীটি ভারতের অরুণাচল প্রদেশ ও আসাম রাজ্যের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। বাংলাদেশ ও ভারতে এই নদীটি ব্রহ্মপুত্র নামে পরিচিত।

এই কারণে ভারত ও বাংলাদেশ এই বাঁধ নির্মাণ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। প্রকল্পটি স্থানীয় বাস্তুতন্ত্র ও নদীর নিম্নধারে পানির প্রবাহ ও পথ পরিবর্তন করতে পারে বলে নিজেদের শঙ্কার কথা জানিয়েছে দেশ দুটি।

তবে চীনা কর্মকর্তাদের দাবি, তিব্বতে জলবিদ্যুৎ প্রকল্পগুলো পরিবেশ বা নদীর নিম্ন প্রবাহে পানি সরবরাহের ওপর বড় কোনো প্রভাব ফেলবে না। এ ছাড়া ইয়ারলুং জাংবো নদীর (ব্রহ্মপুত্র) উজানে চীন ইতিমধ্যে জলবিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু করেছে এবং আরও প্রকল্পের পরিকল্পনা করছে।

বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) চীনের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সিনহুয়া জানিয়েছে, বাঁধটি চীনের কার্বন নিঃসরণ শীর্ষে পৌঁছানোর এবং কার্বন নিরপেক্ষতার লক্ষ্য পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। এটি প্রকৌশলসহ সংশ্লিষ্ট শিল্পগুলোকে উৎসাহিত করবে এবং তিব্বতে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে।