বেঙ্গালুরু নাকি পাঞ্জাব? কার হাতে উঠবে আইপিএল ট্রফি?

বেঙ্গালুরু নাকি পাঞ্জাব? কার হাতে উঠবে আইপিএল ট্রফি?

১৮ বছরের অপেক্ষার অবসান হবে কি? নাকি পাঞ্জাব কিংসের ট্রফিহীন যাত্রা অবশেষে সাফল্যে রূপ নেবে? এমন উত্তেজনার মধ্য দিয়েই আজ রাত ৮টায় নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে মাঠে নামছে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু ও পাঞ্জাব কিংস। আইপিএলের ইতিহাসে দ্বিতীয়বার এমন দুই দল মুখোমুখি হচ্ছে যারা একবারও ট্রফি জেতেনি, অর্থাৎ আজ নিশ্চিত হচ্ছে নতুন এক চ্যাম্পিয়নের জন্ম।

একদিকে আগ্রাসী শ্রেয়াস আইয়ার, অন্যদিকে ঠাণ্ডা মাথার রাজত পাটিদার—নেতৃত্বের ধরন ভিন্ন হলেও উভয়েই দলকে পৌঁছে দিয়েছেন ফাইনালে। আইয়ার যেখানে বলছেন, ‘যুদ্ধের ময়দানে নামছি, সব কিছু উজাড় করে দেবো’, পাটিদার সেখানে বলছেন, ‘ওদের পারফরম্যান্স দারুণ, কঠিন লড়াই হবে।’ কথার ধরন ভিন্ন হলেও দুজনের লক্ষ্য এক—ট্রফি!

শেষ সাক্ষাতে পাঞ্জাবকে ৮ উইকেটে উড়িয়ে দিয়েই ফাইনাল নিশ্চিত করেছে বেঙ্গালুরু। অন্যদিকে মুম্বাইকে হারিয়ে কোয়ালিফায়ার-২ পেরিয়ে এসেছে আইয়ার বাহিনী। বেঙ্গালুরুর বড় অস্ত্র কোহলি ও জশ হ্যাজেলউড; পাঞ্জাবের জয় নির্ভর করছে তরুণদের জ্বলে ওঠার ওপর।

আইপিএলের দীর্ঘ ইতিহাসে কোহলির ট্রফি না পাওয়াটা যেন একটা অসম্পূর্ণ অধ্যায়। এবার কি সেই অধ্যায়ের ইতি ঘটবে? তিনি নিজেও জানেন, এমন সুযোগ বারবার আসে না।

আহমেদাবাদের এই বিশাল স্টেডিয়ামের মূল উইকেটে শেষবার ৪৭০-রান উঠেছিল গুজরাট বনাম পাঞ্জাবের ম্যাচে। তাই বড় স্কোরের সম্ভাবনাই বেশি। আবহাওয়া ভালো থাকলে দর্শকরা পেতে পারেন আরেকটি রানবন্যা।

২০১৬ সালের পর আবার এমন ফাইনাল যেখানে কেউ কখনো ট্রফি ছুঁয়ে দেখেনি। ইতিহাস বলছে, এমন ম্যাচে জয়ের স্মৃতি গেঁথে থাকে হৃদয়ে। প্রশ্ন একটাই—এই রাতটা কার? কোহলির দীর্ঘ অপেক্ষার ইতি? নাকি আইয়ারের নেতৃত্বে নবীনদের স্বপ্নপূরণ?

আপলোডকারীর তথ্য

বেঙ্গালুরু নাকি পাঞ্জাব? কার হাতে উঠবে আইপিএল ট্রফি?

আপডেট সময় ০১:৩২:৫৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ জুন ২০২৫

১৮ বছরের অপেক্ষার অবসান হবে কি? নাকি পাঞ্জাব কিংসের ট্রফিহীন যাত্রা অবশেষে সাফল্যে রূপ নেবে? এমন উত্তেজনার মধ্য দিয়েই আজ রাত ৮টায় নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে মাঠে নামছে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু ও পাঞ্জাব কিংস। আইপিএলের ইতিহাসে দ্বিতীয়বার এমন দুই দল মুখোমুখি হচ্ছে যারা একবারও ট্রফি জেতেনি, অর্থাৎ আজ নিশ্চিত হচ্ছে নতুন এক চ্যাম্পিয়নের জন্ম।

একদিকে আগ্রাসী শ্রেয়াস আইয়ার, অন্যদিকে ঠাণ্ডা মাথার রাজত পাটিদার—নেতৃত্বের ধরন ভিন্ন হলেও উভয়েই দলকে পৌঁছে দিয়েছেন ফাইনালে। আইয়ার যেখানে বলছেন, ‘যুদ্ধের ময়দানে নামছি, সব কিছু উজাড় করে দেবো’, পাটিদার সেখানে বলছেন, ‘ওদের পারফরম্যান্স দারুণ, কঠিন লড়াই হবে।’ কথার ধরন ভিন্ন হলেও দুজনের লক্ষ্য এক—ট্রফি!

শেষ সাক্ষাতে পাঞ্জাবকে ৮ উইকেটে উড়িয়ে দিয়েই ফাইনাল নিশ্চিত করেছে বেঙ্গালুরু। অন্যদিকে মুম্বাইকে হারিয়ে কোয়ালিফায়ার-২ পেরিয়ে এসেছে আইয়ার বাহিনী। বেঙ্গালুরুর বড় অস্ত্র কোহলি ও জশ হ্যাজেলউড; পাঞ্জাবের জয় নির্ভর করছে তরুণদের জ্বলে ওঠার ওপর।

আইপিএলের দীর্ঘ ইতিহাসে কোহলির ট্রফি না পাওয়াটা যেন একটা অসম্পূর্ণ অধ্যায়। এবার কি সেই অধ্যায়ের ইতি ঘটবে? তিনি নিজেও জানেন, এমন সুযোগ বারবার আসে না।

আহমেদাবাদের এই বিশাল স্টেডিয়ামের মূল উইকেটে শেষবার ৪৭০-রান উঠেছিল গুজরাট বনাম পাঞ্জাবের ম্যাচে। তাই বড় স্কোরের সম্ভাবনাই বেশি। আবহাওয়া ভালো থাকলে দর্শকরা পেতে পারেন আরেকটি রানবন্যা।

২০১৬ সালের পর আবার এমন ফাইনাল যেখানে কেউ কখনো ট্রফি ছুঁয়ে দেখেনি। ইতিহাস বলছে, এমন ম্যাচে জয়ের স্মৃতি গেঁথে থাকে হৃদয়ে। প্রশ্ন একটাই—এই রাতটা কার? কোহলির দীর্ঘ অপেক্ষার ইতি? নাকি আইয়ারের নেতৃত্বে নবীনদের স্বপ্নপূরণ?