সংবাদ শিরোনাম ::
Logo কপ ৩০: তৃতীয় দিন শেষ হয়েছে ঘোষণা, বিতর্ক, গুরুত্বপূর্ণ ঘটনায় Logo কপ ৩০: জলবায়ু সংকট নিয়ে সম্মেলন করে ৩০ বছর পার, এখন সমাধানের সময়   Logo জাতীয় নির্বাচনের দিনই হবে গণভোট: প্রধান উপদেষ্টা Logo শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির মামলার রায় ১৭ নভেম্বর Logo জলবায়ু সংকটই এখন স্বাস্থ্য সংকট: ডব্লিউএইচও প্রধান    Logo আজ দুপুরে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধান উপদেষ্টা Logo সাভারে ডিগ্রেডেড এয়ারশেড বাস্তবায়নে অভিযান: চিমনি ভেঙে অবৈধ ইটভাটা বন্ধ, ১৮ লাখ টাকা জরিমানা Logo প্রকৃতি ও জীবনের এবারের পর্ব- ‘রক্ষিত অঞ্চল ব্যবস্থাপনা’    Logo জ্ঞান হারিয়ে হাসপাতালে ভর্তি নায়ক গোবিন্দ Logo বোটানিক্যাল গার্ডেনে প্রবেশে চালু হলো ই-টিকেটিং

বোবায় ধরার কারণ ও প্রতিকার

বোবায় ধরার কারণ ও প্রতিকার । ছবি : সংগৃহীত

বাংলাদেশে বোবায় ধরার ঘটনা খুবই পরিচিত। বোবায় ধরা বলতে সাধারণত ঘুমের মধ্যে শরীর আড়ষ্ট হয়ে যাওয়া, হাত-পা নাড়াতে না পারা ও দম আটকে আসার অনুভূতিকে বোঝানো হয়। আমাদের দেশে অনেক সময় এই ঘটনা অতিলৌকিক বা ভয়ানক কিছু বলে মনে করা হয়। তবে বিজ্ঞান এই ঘটনাটিকে স্নায়বিক একটি অবস্থার ফলাফল হিসেবে চিহ্নিত করেছে, যা ‘স্লিপ প্যারালাইসিস’ নামে পরিচিত।

স্লিপ প্যারালাইসিস কীভাবে ঘটে?

স্লিপ প্যারালাইসিস ঘটে তখন, যখন ঘুম ও জেগে থাকার মাঝামাঝি পর্যায়ে মস্তিষ্ক সচেতন থাকে, কিন্তু শরীর ঘুমের অবস্থায় আটকে যায়। ঘুমের গভীরতায় না পৌঁছানো অবস্থায় মস্তিষ্ক পেশিতে সঙ্কেত পাঠাতে পারে না, ফলে পেশিগুলো অচল হয়ে যায়। এই অবস্থায় অনেকের দৃষ্টিবিভ্রমও হয়, যেখানে মনে হয় চারপাশে অদ্ভুত কিছু উপস্থিত আছে।

বোবায় ধরার কারণ ও প্রতিকার prokritibarta

কারণ ও প্রতিকার

বাংলাদেশের মানুষ, বিশেষ করে যারা শহুরে জীবনের চাপের মধ্যে আছে, তাদের মধ্যে স্লিপ প্যারালাইসিসের ঘটনা ঘটতে পারে। নিম্নোক্ত কারণগুলো উল্লেখযোগ্য:

মানসিক চাপ ও উদ্বেগ: চাকরির চাপ, শিক্ষার প্রতিযোগিতা, আর্থিক অনিশ্চয়তা ইত্যাদি কারণে মানসিক চাপ বৃদ্ধি পায়। এই চাপের ফলে স্নায়বিক অসাড়তা দেখা দিতে পারে। মন শান্ত রাখতে রাতে শোয়ার আগে ধ্যান বা মেডিটেশন করা যেতে পারে। ১৫ মিনিট মেডিটেশন করলে মন শান্ত হবে ও স্লিপ প্যারালাইসিসের সম্ভাবনা কমবে।

খাদ্যাভ্যাস: রাতে অতিরিক্ত চা বা কফি পান করা বা ঘুমের আগে ভারী খাবার খাওয়ার অভ্যাসও ঘুমের ব্যাঘাত ঘটাতে পারে। তাই রাতে ঘুমের আগে চা-কফি বা ক্যাফিনযুক্ত পানীয় পরিহার করা উচিত। হালকা ও সহজপাচ্য খাবার খেলে ঘুম ভালো হবে।

ইলেকট্রনিক ডিভাইসের ব্যবহার: তরুণ প্রজন্মের মধ্যে স্মার্টফোন, ট্যাবলেট বা কম্পিউটার ব্যবহারের প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে। রাতের বেলা দীর্ঘ সময় ধরে ডিভাইস ব্যবহার করলে ঘুমের স্বাভাবিক ছন্দ নষ্ট হয়। ঘুমানোর অন্তত দুই ঘণ্টা আগে সমস্ত ইলেকট্রনিক ডিভাইস বন্ধ করে রাখা উচিত। নিয়মিত ৬-৮ ঘণ্টার গভীর ঘুমের জন্য এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিদিন একই সময়ে ঘুমাতে যাওয়া ও সকালে নির্দিষ্ট সময়ে ঘুম থেকে ওঠার অভ্যাস করতে হবে।

বোবায় ধরা বা স্লিপ প্যারালাইসিসের ঘটনা বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে তেমন অজানা নয়। তবে, এটি কোনো অতিলৌকিক ঘটনা নয়, বরং সঠিক জীবনযাপন ও স্বাস্থ্যকর অভ্যাসের মাধ্যমে এ থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।

জনপ্রিয় সংবাদ

কপ ৩০: তৃতীয় দিন শেষ হয়েছে ঘোষণা, বিতর্ক, গুরুত্বপূর্ণ ঘটনায়

বোবায় ধরার কারণ ও প্রতিকার

আপডেট সময় ০৫:১৮:১৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ অগাস্ট ২০২৪

বাংলাদেশে বোবায় ধরার ঘটনা খুবই পরিচিত। বোবায় ধরা বলতে সাধারণত ঘুমের মধ্যে শরীর আড়ষ্ট হয়ে যাওয়া, হাত-পা নাড়াতে না পারা ও দম আটকে আসার অনুভূতিকে বোঝানো হয়। আমাদের দেশে অনেক সময় এই ঘটনা অতিলৌকিক বা ভয়ানক কিছু বলে মনে করা হয়। তবে বিজ্ঞান এই ঘটনাটিকে স্নায়বিক একটি অবস্থার ফলাফল হিসেবে চিহ্নিত করেছে, যা ‘স্লিপ প্যারালাইসিস’ নামে পরিচিত।

স্লিপ প্যারালাইসিস কীভাবে ঘটে?

স্লিপ প্যারালাইসিস ঘটে তখন, যখন ঘুম ও জেগে থাকার মাঝামাঝি পর্যায়ে মস্তিষ্ক সচেতন থাকে, কিন্তু শরীর ঘুমের অবস্থায় আটকে যায়। ঘুমের গভীরতায় না পৌঁছানো অবস্থায় মস্তিষ্ক পেশিতে সঙ্কেত পাঠাতে পারে না, ফলে পেশিগুলো অচল হয়ে যায়। এই অবস্থায় অনেকের দৃষ্টিবিভ্রমও হয়, যেখানে মনে হয় চারপাশে অদ্ভুত কিছু উপস্থিত আছে।

বোবায় ধরার কারণ ও প্রতিকার prokritibarta

কারণ ও প্রতিকার

বাংলাদেশের মানুষ, বিশেষ করে যারা শহুরে জীবনের চাপের মধ্যে আছে, তাদের মধ্যে স্লিপ প্যারালাইসিসের ঘটনা ঘটতে পারে। নিম্নোক্ত কারণগুলো উল্লেখযোগ্য:

মানসিক চাপ ও উদ্বেগ: চাকরির চাপ, শিক্ষার প্রতিযোগিতা, আর্থিক অনিশ্চয়তা ইত্যাদি কারণে মানসিক চাপ বৃদ্ধি পায়। এই চাপের ফলে স্নায়বিক অসাড়তা দেখা দিতে পারে। মন শান্ত রাখতে রাতে শোয়ার আগে ধ্যান বা মেডিটেশন করা যেতে পারে। ১৫ মিনিট মেডিটেশন করলে মন শান্ত হবে ও স্লিপ প্যারালাইসিসের সম্ভাবনা কমবে।

খাদ্যাভ্যাস: রাতে অতিরিক্ত চা বা কফি পান করা বা ঘুমের আগে ভারী খাবার খাওয়ার অভ্যাসও ঘুমের ব্যাঘাত ঘটাতে পারে। তাই রাতে ঘুমের আগে চা-কফি বা ক্যাফিনযুক্ত পানীয় পরিহার করা উচিত। হালকা ও সহজপাচ্য খাবার খেলে ঘুম ভালো হবে।

ইলেকট্রনিক ডিভাইসের ব্যবহার: তরুণ প্রজন্মের মধ্যে স্মার্টফোন, ট্যাবলেট বা কম্পিউটার ব্যবহারের প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে। রাতের বেলা দীর্ঘ সময় ধরে ডিভাইস ব্যবহার করলে ঘুমের স্বাভাবিক ছন্দ নষ্ট হয়। ঘুমানোর অন্তত দুই ঘণ্টা আগে সমস্ত ইলেকট্রনিক ডিভাইস বন্ধ করে রাখা উচিত। নিয়মিত ৬-৮ ঘণ্টার গভীর ঘুমের জন্য এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিদিন একই সময়ে ঘুমাতে যাওয়া ও সকালে নির্দিষ্ট সময়ে ঘুম থেকে ওঠার অভ্যাস করতে হবে।

বোবায় ধরা বা স্লিপ প্যারালাইসিসের ঘটনা বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে তেমন অজানা নয়। তবে, এটি কোনো অতিলৌকিক ঘটনা নয়, বরং সঠিক জীবনযাপন ও স্বাস্থ্যকর অভ্যাসের মাধ্যমে এ থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।