ভারতের হামলার জবাবে সশস্ত্র বাহিনীকে পাল্টা ব্যবস্থা নেওয়ার অনুমোদন দিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছে, সেনাবাহিনীকে ‘উপযুক্ত জবাব’ দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা যায়।
গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাতে ভারতীয় বাহিনীর হামলার পর এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়। পাকিস্তান থেকে এই ঘোষণা আসার পর এবার দুই দেশের মধ্যকার সংঘাত যুদ্ধে পরিণত হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
এর আগে ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলার প্রতিক্রিয়া জানানোর অধিকার পাকিস্তানের আছে বলে বুধবার জানিয়েছে দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা কমিটি (এনএসসি)। এই কমিটি বলেছে, ভারতের হামলার জবাবে সময় অনুযায়ী যথাযথ স্থানে প্রতিক্রিয়া জানাবে পাকিস্তান। সামরিক বাহিনীকে ‘সংশ্লিষ্ট পদক্ষেপ’ গ্রহণের জন্য অনুমোদন দিয়েছে পাকিস্তানের নিরাপত্তাবিষয়ক এই সর্বোচ্চ কমিটি।
বুধবার ভারতের হামলার পর পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত এনএসসির বৈঠকে ভারতের হামলার নিন্দা জানানো হয়। দেশটির সংবাদমাধ্যম ডনের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, আত্মরক্ষায় ভারতের বিমান হামলার জবাব দেওয়ার অধিকার পাকিস্তানের রয়েছে বলে জানিয়েছে এনএসসি।
জাতিসংঘ সনদের ৫১ অনুচ্ছেদের বরাত দিয়ে এনএসসি বলেছে, নিরীহ পাকিস্তানিদের প্রাণহানি ও পাকিস্তানের সার্বভৌমত্বের স্পষ্ট লঙ্ঘনের প্রতিশোধ নেওয়ার অধিকার পাকিস্তানের রয়েছে। এনএসসির বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনীকে এই বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য অনুমতি দেওয়া হয়েছে।’
বিবৃতিতে পাকিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা কমিটি বলেছে, ‘ভারতের নগ্ন আগ্রাসনে সমগ্র জাতি সশস্ত্র বাহিনীর সাহসিকতা, ত্যাগ ও মাতৃভূমির প্রতিরক্ষায় তাদের সময়োচিত কাজের প্রশংসা করছে।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, পাকিস্তান আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি ভারতের অবৈধ কর্মকাণ্ডের গুরুত্ব স্বীকার এবং আন্তর্জাতিক নিয়ম ও আইনের স্পষ্ট লঙ্ঘনের জন্য দেশটিকে জবাবদিহি করার আহ্বান জানায়। পাকিস্তান শান্তির প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং তারা কখনও সার্বভৌমত্ব, আঞ্চলিক অখণ্ডতার লঙ্ঘন বা জনগণের কোনও ক্ষতি হতে না দেওয়ার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করছে।