সংবাদ শিরোনাম ::
Logo কপ ৩০: তৃতীয় দিন শেষ হয়েছে ঘোষণা, বিতর্ক, গুরুত্বপূর্ণ ঘটনায় Logo কপ ৩০: জলবায়ু সংকট নিয়ে সম্মেলন করে ৩০ বছর পার, এখন সমাধানের সময়   Logo জাতীয় নির্বাচনের দিনই হবে গণভোট: প্রধান উপদেষ্টা Logo শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির মামলার রায় ১৭ নভেম্বর Logo জলবায়ু সংকটই এখন স্বাস্থ্য সংকট: ডব্লিউএইচও প্রধান    Logo আজ দুপুরে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধান উপদেষ্টা Logo সাভারে ডিগ্রেডেড এয়ারশেড বাস্তবায়নে অভিযান: চিমনি ভেঙে অবৈধ ইটভাটা বন্ধ, ১৮ লাখ টাকা জরিমানা Logo প্রকৃতি ও জীবনের এবারের পর্ব- ‘রক্ষিত অঞ্চল ব্যবস্থাপনা’    Logo জ্ঞান হারিয়ে হাসপাতালে ভর্তি নায়ক গোবিন্দ Logo বোটানিক্যাল গার্ডেনে প্রবেশে চালু হলো ই-টিকেটিং

বাঁধ খোলা ও বাংলাদেশের বন্যা নিয়ে ভারতের ব্যাখ্যা

বাঁধ খোলা ও বাংলাদেশের বন্যা নিয়ে ভারতের ব্যাখ্যা

ফেনী-কুমিল্লাসহ দেশের পূর্বাঞ্চলের জেলাগুলোতে বন্যার কারণ হিসেবে ভারতের বাঁধ খুলে দেওয়াকে দায়ী করার বিরুদ্ধে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে দেশটির সরকার। এ বিষয়ে ভারতের অবস্থান ও বক্তব্য স্পষ্ট করে বৃহস্পতিবার একটি বিবৃতি দিয়েছে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়।

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, “ত্রিপুরায় গোমতী নদীর উজানে ডম্বুর বাঁধ খুলে দেওয়াকে বাংলাদেশের পূর্বাঞ্চলের জেলাগুলোতে বন্যা পরিস্থিতির কারণ হিসাবে বর্ণনা করে বাংলাদেশে যে উদ্বেগ প্রকাশ করা হচ্ছে, তা আমরা দেখেছি। এটা তথ্যগতভাবে সঠিক নয়।”

বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশ ও ভারতে গোমতী নদীর সংলগ্ন এলাকায় গত কয়েকদিনে চলতি বছরের সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে। প্রাথমিকভাবে বাঁধের ভাটি এলাকার পানির কারণে বাংলাদেশের বন্যা হয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, ডাম্বুর বাঁধ সীমান্ত থেকে অনেক দূরে, বাংলাদেশের ১২০ কিলোমিটার উজানে। প্রায় ৩০ মিটার উচ্চতার এই বাঁধের মাধ্যমে একটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র চলে। সেখান থেকে ত্রিপুরা হয়ে ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পায় বাংলাদেশ।

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, “২১ অগাস্ট থেকে পুরো ত্রিপুরা এবং বাংলাদেশের পার্শ্ববর্তী জেলাগুলোতে ব্যাপক বৃষ্টিপাত হচ্ছে। ব্যাপক অন্তঃপ্রবাহের কারণে পানি নিজে থেকে বের হওয়ার ঘটনা দেখা গেছে।”

বাংলাদেশ থেকে উজানে ১২০ কিলোমিটার নদীপথে তিনটি পানির পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র থাকার কথা বলা হয়েছে বিবৃতিতে। যার মধ্যে অমরপুর স্টেশন থেকে দ্বিপক্ষীয় প্রটোকলের আওতায় বাংলাদেশকে বন্যার হালনাগাদ তথ্য দেওয়া হয়।

“পানি বৃদ্ধি পাওয়ার উর্ধ্বমুখী প্রবণতার তথ্য ২১ অগাস্ট বিকাল ৩টা পর্যন্ত বাংলাদেশকে দেওয়া হয়েছে। সন্ধ্যা ৬টায় বন্যার কারণে বিদ্যুৎ চলে যাওয়ায় যোগাযোগে সমস্যা তৈরি হয়।”

এ পরিস্থিতিতে জরুরি তথ্য আদানপ্রদানের জন্য অন্যান্য উপায় ব্যবহার করে যোগাযোগ চালু রাখার চেষ্টা করার কথা বলেছে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে অভিন্ন নদীতে বন্যা একটি যৌথ সমস্যা যা উভয় পক্ষের জনগণের জন্য দুর্ভোগ সৃষ্টি করে এবং এর সমাধানের জন্য ঘনিষ্ঠ পারস্পরিক সহযোগিতা প্রয়োজন।

“যেহেতু দুটি দেশের ৫৪টি অভিন্ন আন্তঃসীমান্ত নদী রয়েছে, তাই নদীর পানি-বিষয়ক সহযোগিতা আমাদের দ্বিপক্ষীয় সম্পৃক্ততার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। আমরা দ্বিপক্ষীয় পরামর্শ ও প্রযুক্তিগত আলোচনার মাধ্যমে পানি সম্পদ ও নদীর পানি ব্যবস্থাপনার সমস্যা ও পারস্পরিক উদ্বেগসমূহের সমাধানে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”

আপলোডকারীর তথ্য

Shuvo

জনপ্রিয় সংবাদ

কপ ৩০: তৃতীয় দিন শেষ হয়েছে ঘোষণা, বিতর্ক, গুরুত্বপূর্ণ ঘটনায়

বাঁধ খোলা ও বাংলাদেশের বন্যা নিয়ে ভারতের ব্যাখ্যা

আপডেট সময় ০৭:৩০:১১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ অগাস্ট ২০২৪

ফেনী-কুমিল্লাসহ দেশের পূর্বাঞ্চলের জেলাগুলোতে বন্যার কারণ হিসেবে ভারতের বাঁধ খুলে দেওয়াকে দায়ী করার বিরুদ্ধে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে দেশটির সরকার। এ বিষয়ে ভারতের অবস্থান ও বক্তব্য স্পষ্ট করে বৃহস্পতিবার একটি বিবৃতি দিয়েছে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়।

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, “ত্রিপুরায় গোমতী নদীর উজানে ডম্বুর বাঁধ খুলে দেওয়াকে বাংলাদেশের পূর্বাঞ্চলের জেলাগুলোতে বন্যা পরিস্থিতির কারণ হিসাবে বর্ণনা করে বাংলাদেশে যে উদ্বেগ প্রকাশ করা হচ্ছে, তা আমরা দেখেছি। এটা তথ্যগতভাবে সঠিক নয়।”

বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশ ও ভারতে গোমতী নদীর সংলগ্ন এলাকায় গত কয়েকদিনে চলতি বছরের সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে। প্রাথমিকভাবে বাঁধের ভাটি এলাকার পানির কারণে বাংলাদেশের বন্যা হয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, ডাম্বুর বাঁধ সীমান্ত থেকে অনেক দূরে, বাংলাদেশের ১২০ কিলোমিটার উজানে। প্রায় ৩০ মিটার উচ্চতার এই বাঁধের মাধ্যমে একটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র চলে। সেখান থেকে ত্রিপুরা হয়ে ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পায় বাংলাদেশ।

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, “২১ অগাস্ট থেকে পুরো ত্রিপুরা এবং বাংলাদেশের পার্শ্ববর্তী জেলাগুলোতে ব্যাপক বৃষ্টিপাত হচ্ছে। ব্যাপক অন্তঃপ্রবাহের কারণে পানি নিজে থেকে বের হওয়ার ঘটনা দেখা গেছে।”

বাংলাদেশ থেকে উজানে ১২০ কিলোমিটার নদীপথে তিনটি পানির পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র থাকার কথা বলা হয়েছে বিবৃতিতে। যার মধ্যে অমরপুর স্টেশন থেকে দ্বিপক্ষীয় প্রটোকলের আওতায় বাংলাদেশকে বন্যার হালনাগাদ তথ্য দেওয়া হয়।

“পানি বৃদ্ধি পাওয়ার উর্ধ্বমুখী প্রবণতার তথ্য ২১ অগাস্ট বিকাল ৩টা পর্যন্ত বাংলাদেশকে দেওয়া হয়েছে। সন্ধ্যা ৬টায় বন্যার কারণে বিদ্যুৎ চলে যাওয়ায় যোগাযোগে সমস্যা তৈরি হয়।”

এ পরিস্থিতিতে জরুরি তথ্য আদানপ্রদানের জন্য অন্যান্য উপায় ব্যবহার করে যোগাযোগ চালু রাখার চেষ্টা করার কথা বলেছে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে অভিন্ন নদীতে বন্যা একটি যৌথ সমস্যা যা উভয় পক্ষের জনগণের জন্য দুর্ভোগ সৃষ্টি করে এবং এর সমাধানের জন্য ঘনিষ্ঠ পারস্পরিক সহযোগিতা প্রয়োজন।

“যেহেতু দুটি দেশের ৫৪টি অভিন্ন আন্তঃসীমান্ত নদী রয়েছে, তাই নদীর পানি-বিষয়ক সহযোগিতা আমাদের দ্বিপক্ষীয় সম্পৃক্ততার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। আমরা দ্বিপক্ষীয় পরামর্শ ও প্রযুক্তিগত আলোচনার মাধ্যমে পানি সম্পদ ও নদীর পানি ব্যবস্থাপনার সমস্যা ও পারস্পরিক উদ্বেগসমূহের সমাধানে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”