নারী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনাকে কেন্দ্র করে ভারতে চলছে উত্তেজনা, এই উত্তেজনার কেন্দ্রস্থল পশ্চিমবঙ্গের কলকাতা। চিকিৎসকের অমানবিক পরিণতিতে ক্ষোভে ফুঁসছে কলকাতাসহ ভারতের তরুণরা। কেউ কেউ অভিযোগের আঙুল তুলছে পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতাসীন দল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। নারী চিকিৎসকের হত্যাকাণ্ডের পর নানা বিতর্কিত ও সন্দেহজাগানো কর্মকাণ্ড ঘটায় পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ব্যাপক সমালোচিত হচ্ছেন। এরই মধ্যে মমতাকে হত্যা করার উস্কানি দেওয়ার অভিযোগে এক শিক্ষার্থীকে আটকের ঘটনা ঘটেছে।
ওই শিক্ষার্থী নিজের ইন্সটাগ্রামে আইডিতে মমতাকে হত্যা করার উস্কানি দিয়ে পোস্ট করেছিল বলে দাবি করেছে কলকাতা পুলিশ। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে তার ইন্সটাগ্রাম প্রোফাইলে ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী হত্যার কথা উল্লেখ করে মুখ্যমন্ত্রী মমতাকে হত্যার উস্কানি দেওয়ার অভিযোগ করা হয়েছে।
ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, নিজের পোস্টে ওই শিক্ষার্থী লিখেছেন, “আপনি যদি পারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ইন্দিরা গান্ধীর মতো গুলি করেন, আমি দুঃখ পাবো না।”
মমতার দল তৃণমূল কংগ্রেসের বেশ কয়েকজন কর্মী এই পোস্টের বিষয়ে কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করার পর এটি দ্রুত সবার নজরে পড়ে। এর পাশাপাশি গত ৯ অগাস্ট কলকাতার আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ধর্ষণের শিকার ৩১ বছরের শিক্ষানবিশ চিকিৎসকের পরিচয় ও ছবি প্রকাশ করায়ও তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে কলকাতা পুলিশ।
কলকাতা পুলিশের তরফে একটি বিবৃতি জারি করে বলা হয়েছে, “অভিযুক্ত তার ইনস্টাগ্রাম আইডি ‘কীর্তিসোশ্যাল’ একাউন্ট থেকে আরজি কর হাসপাতালের সাম্প্রতিক ঘটনা সম্পর্কিত তিনটি স্টোরি পোস্ট করেছেন। পোস্টগুলিতে ভুক্তভোগীর ছবি এবং পরিচয় প্রকাশ করা হয়েছে, যা আইন বিরোধী।
“পাশাপাশি অভিযুক্ত কীর্তি পশ্চিমবঙ্গের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে আপত্তিকর মন্তব্য এবং প্রাণনাশের হুমকি সম্বলিত দুটি স্টোরি শেয়ার করেছে। এ ধরনের মন্তব্য উস্কানিমূলক। এতে সামাজিক অস্থিরতা সৃষ্টি হতে পারে।”
উল্লেখ্য, ভারতীয় আইন মোতাবেক ধর্ষণের শিকার কারও নাম বা ছবি প্রকাশ্যে আনা শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
ডেস্ক রিপোর্ট 




















