পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগের দাবিতে ‘পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজ’ এর ডাকা নবান্ন ঘেরাওকে কেন্দ্র করে চরম উত্তপ্ত কলকাতার পরিস্থিতি। ছাত্র সমাজের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে মাঠে নেমেছে পশ্চিমবঙ্গের মূল বিরোধী দল বিজেপি। কর্মসূচি বাস্তবায়নে রাস্তায় রাস্তায় চলছে বিক্ষোভ, ধাওয়া, বিক্ষোভ দমাতে জলকামান ব্যবহার।
পশ্চিমবঙ্গের আনন্দবাজার পত্রিকার অনলাইনের এক প্রতিবেদনে লেখা হয়েছে, ‘ব্যারিকেডের উপরে উঠে স্লোগান দিচ্ছেন বিক্ষোভকারীরা। মিছিল এবং জমায়েত থেকেও স্লোগান উঠছে, “দাবি এক, দফা এক, মমতার পদত্যাগ।” বিক্ষোভকারীদের অনেকের হাতে থাকা কালো পোস্টারেও রয়েছে এই স্লোগান। কারও কারও হাতে রয়েছে জাতীয় পতাকা। বিক্ষোভকারীদের বক্তব্য, আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদে তারা নবান্নে যেতে চান। কিন্তু পুলিশ তাদের বাধা দিচ্ছে।’

‘নবান্ন’ পশ্চিমবঙ্গের হাওড়া শহরের একটি সরকারি ভবন। পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সচিবালয় ও প্রধান প্রশাসনিক দপ্তর মহাকরণ ভবনের সংস্কারের জন্য বর্তমানে এই ভবনটি অস্থায়ীভাবে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সচিবালয় হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। ২০১৩ সালের ৫ অক্টোবর এখানে সচিবালয় চালু করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সম্প্রতি কলকাতার আর জি কর হাসপাতালের এক নারী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও নির্মম হত্যা এবং সেই ঘটনা ঘিরে সৃষ্ট রহস্যের কারণ চরম ক্ষোভ পশ্চিমবঙ্গবাসীর মধ্যে। টানা কয়েকদিন বিচারের দাবিতে সরব পশ্চিমবঙ্গের সচেতন ও রাজনৈতিক মহল। এরই মধ্যে মমতার পদত্যাগের দাবি তোলা হয় পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজের ব্যানারে। আজ মঙ্গলবার মমতার পদত্যাগের দাবিতে নবান্ন ঘেরাও কর্মসূচি দেয় তারা।

পরিস্থিতি মোকাবিলায় ৬ হাজারের বেশি পুলিশ নামানো হয়েছে। ঘেরাওকারীদের রুখতে রাস্তায় রাস্তায় ব্যারিকেড এমনকি ক্রেন দিয়ে কন্টেইনার এনে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার সকাল থেকেই কলকাতার সাঁতরাগাছি, হাওড়া সেতুতে চলছে বিক্ষোভকারী-পুলিশের মাঝে প্রবল উত্তেজনা। এদিকে এই পরিস্থিতিতেও নবান্নে অফিস করতে গেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
নিজস্ব সংবাদ : 



















