মহাকাশে ৯ মাস ধরে আটকা দুই নভোচারী অবশেষে ফিরছেন ট্রাম্পের নির্দেশে, মাস্কের রকেটে  

মহাকাশে ৯ মাস ধরে আটকা দুই নভোচারী অবশেষে ফিরছেন ট্রাম্পের নির্দেশে, মাস্কের রকেটে  

মাত্র আট দিনের জন্য বিশেষ মিশনে গিয়ে ন’মাসের জন্য আটকে পড়েছিলেন সুনিতা উইলিয়ামস এবং বুচ উইলমোর। যান্ত্রিক গোলযোগ হওয়ায় পৃথিবীতে ফেরা কার্যত অনিশ্চিত হয়ে পড়েছিল এই দুই মার্কিন মহাকাশচারীর। এবার ইলন মাস্কের স্পেসএক্সের ড্রাগন ক্যাপসুলে চেপে অবশেষে ফিরতে চলেছেন সুনিতা ও বুচ। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মাস্ককে দুই নভোচারীকে ফিরিয়ে আনতে বলার পর পরই এই নিয়ে শুরু হয় নতুন তৎপরতা, যা সুনিতা ও বুচের পৃথিবীতে ফেরার আশা বাড়িয়েছে।

 

বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, রবিবার ভোরে একটি স্পেসএক্স ক্যাপসুল নাসার ক্রু-সোয়াপ মিশনে চারজন নভোচারীকে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে পৌঁছে দিয়েছে, যা আটকে থাকা নভোচারী বুচ উইলমোর এবং সুনিতা উইলিয়ামসকে নয় মাস পর ফিরে আসতে সাহায্য করবে। সব ঠিকঠাক থাকলে মঙ্গলবারই পৃথিবীতে ফিরতে পারবেন সুনীতা ও বুচ।

রবিবার (১৬ মার্চ) এক বিবৃতির মাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে নাসা। আগের পরিকল্পনা অনুযায়ী, বুধবার (১৯ মার্চ)  সুনিতা উইলিয়ামস ও বুচ উইলমোরের ফেরার কথা থাকলেও আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় স্থানীয় সময় মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৫টা ৫৭ মিনিট নাগাদই তারা পৃথিবীতে অবতরণ করবেন বলে জানায় নাসা।

 

সুনিতা ও বুচের পাশাপাশি নাসার মহাকাশচারী নিক হেগ এবং রাশিয়ান মহাকাশচারী আলেকজান্ডার গরবুনভও ড্রাগন ক্যাপসুলে করে ফিরবেন বলে বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।

হেগ ও গরবুনভ গত সেপ্টেম্বরে স্পেসএক্সের একটি ক্রু ড্রাগন ক্যাপসুলে আইএসএসে যান। ক্যাপসুলটিতে সুনিতা ও উলমোরের জন্য দুটি সিট ফাঁকা রাখা হয়েছিল। ওই মহাকাশ যানটিও আইএসএসের সঙ্গে সংযুক্ত রয়েছে।

 

এদিকে, গত বছরের জুন মাসে বোয়িং স্টারলাইনারের তৈরি একটি ক্যাপসুলে মহাকাশে গিয়েছিলেন সুনিতা ও বুচ। ওই বছরের ২২ জুন তাদের পৃথিবীতে ফিরে আসার কথা থাকলেও মহাকাশযানটির হিলিয়াম গ্যাস লিক হওয়ার কারণে তাদের ফিরতি যাত্রা স্থগিত হয়ে যায়।

নাসা সেই সময় জানায়, তাদের ফিরতে আট মাস সময় লাগতে পারে। এ নিয়ে বিশ্বজুড়ে ব্যাপক আগ্রহ তৈরি হয়। মহাকাশ স্টেশনে তাদের জীবন কেমন কাটছে তা নিয়ে জানতে আগ্রহী ছিল সারা বিশ্বের মানুষ।

 

তবে চলতি বছরের মার্চের শেষ কিংবা এপ্রিলের শুরুতে তাদের ফিরে আসার কথা থাকলেও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও স্পেসএক্স প্রধান ইলন মাস্কের তৎপরতায় মার্চের মাঝামাঝিতেই তাদের ফিরিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নেয় নাসা ও স্পেসএক্স।

 

ক্ষমতা গ্রহণের পরই প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং স্পেসএক্সের ইলন মাস্ক নভোচারীদের ফিরিয়ে আনার গতি বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে তাদের পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনার সময় এগিয়ে নিয়ে আসে নাসা।

আপলোডকারীর তথ্য

Shuvo

চবি’র কলোনি থেকে ৯ ফুট লম্বা অজগর উদ্ধার  

মহাকাশে ৯ মাস ধরে আটকা দুই নভোচারী অবশেষে ফিরছেন ট্রাম্পের নির্দেশে, মাস্কের রকেটে  

আপডেট সময় ০৪:১৯:৩৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫

মাত্র আট দিনের জন্য বিশেষ মিশনে গিয়ে ন’মাসের জন্য আটকে পড়েছিলেন সুনিতা উইলিয়ামস এবং বুচ উইলমোর। যান্ত্রিক গোলযোগ হওয়ায় পৃথিবীতে ফেরা কার্যত অনিশ্চিত হয়ে পড়েছিল এই দুই মার্কিন মহাকাশচারীর। এবার ইলন মাস্কের স্পেসএক্সের ড্রাগন ক্যাপসুলে চেপে অবশেষে ফিরতে চলেছেন সুনিতা ও বুচ। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মাস্ককে দুই নভোচারীকে ফিরিয়ে আনতে বলার পর পরই এই নিয়ে শুরু হয় নতুন তৎপরতা, যা সুনিতা ও বুচের পৃথিবীতে ফেরার আশা বাড়িয়েছে।

 

বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, রবিবার ভোরে একটি স্পেসএক্স ক্যাপসুল নাসার ক্রু-সোয়াপ মিশনে চারজন নভোচারীকে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে পৌঁছে দিয়েছে, যা আটকে থাকা নভোচারী বুচ উইলমোর এবং সুনিতা উইলিয়ামসকে নয় মাস পর ফিরে আসতে সাহায্য করবে। সব ঠিকঠাক থাকলে মঙ্গলবারই পৃথিবীতে ফিরতে পারবেন সুনীতা ও বুচ।

রবিবার (১৬ মার্চ) এক বিবৃতির মাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে নাসা। আগের পরিকল্পনা অনুযায়ী, বুধবার (১৯ মার্চ)  সুনিতা উইলিয়ামস ও বুচ উইলমোরের ফেরার কথা থাকলেও আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় স্থানীয় সময় মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৫টা ৫৭ মিনিট নাগাদই তারা পৃথিবীতে অবতরণ করবেন বলে জানায় নাসা।

 

সুনিতা ও বুচের পাশাপাশি নাসার মহাকাশচারী নিক হেগ এবং রাশিয়ান মহাকাশচারী আলেকজান্ডার গরবুনভও ড্রাগন ক্যাপসুলে করে ফিরবেন বলে বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।

হেগ ও গরবুনভ গত সেপ্টেম্বরে স্পেসএক্সের একটি ক্রু ড্রাগন ক্যাপসুলে আইএসএসে যান। ক্যাপসুলটিতে সুনিতা ও উলমোরের জন্য দুটি সিট ফাঁকা রাখা হয়েছিল। ওই মহাকাশ যানটিও আইএসএসের সঙ্গে সংযুক্ত রয়েছে।

 

এদিকে, গত বছরের জুন মাসে বোয়িং স্টারলাইনারের তৈরি একটি ক্যাপসুলে মহাকাশে গিয়েছিলেন সুনিতা ও বুচ। ওই বছরের ২২ জুন তাদের পৃথিবীতে ফিরে আসার কথা থাকলেও মহাকাশযানটির হিলিয়াম গ্যাস লিক হওয়ার কারণে তাদের ফিরতি যাত্রা স্থগিত হয়ে যায়।

নাসা সেই সময় জানায়, তাদের ফিরতে আট মাস সময় লাগতে পারে। এ নিয়ে বিশ্বজুড়ে ব্যাপক আগ্রহ তৈরি হয়। মহাকাশ স্টেশনে তাদের জীবন কেমন কাটছে তা নিয়ে জানতে আগ্রহী ছিল সারা বিশ্বের মানুষ।

 

তবে চলতি বছরের মার্চের শেষ কিংবা এপ্রিলের শুরুতে তাদের ফিরে আসার কথা থাকলেও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও স্পেসএক্স প্রধান ইলন মাস্কের তৎপরতায় মার্চের মাঝামাঝিতেই তাদের ফিরিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নেয় নাসা ও স্পেসএক্স।

 

ক্ষমতা গ্রহণের পরই প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং স্পেসএক্সের ইলন মাস্ক নভোচারীদের ফিরিয়ে আনার গতি বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে তাদের পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনার সময় এগিয়ে নিয়ে আসে নাসা।