গাজা যুদ্ধে কেবল ৬৭ হাজার মানুষ নিহত এবং পুরো জনপদ কেবল ধ্বংসই হয়নি, ফিলিস্তিনের এই অংশে বোমা-বারুদ এবং কেমিকেলে ধ্বংস হয়েছে প্রাণ-প্রকৃতি, হারিয়েছে জীববৈচিত্র্য। যা জেনোসাইড বা জাতিগত নিধনের মতোই, যাকে বলা যায় ইকোসাইড বা পরিবেশ নিধন। এই বাস্তবতায় সভ্যতা রক্ষা ও ভবিষ্যতের নিরাপদ ধরিত্রী বিনির্মাণে প্রাণ-প্রকৃতি ধ্বংসের বিরূদ্ধে সোচ্চার ও প্রতিরোধের পাশাপাশি কার্যকর আইনি পদক্ষেপ জরুরি বলেছেন, প্রকৃতিবন্ধু বীর মুক্তিযোদ্ধা মুকিত মজুমদার বাবু। আবুধাবিতে আইইউসিএন বিশ্ব সংরক্ষণ কংগ্রেসের পঞ্চম দিনে, ঐক্যবদ্ধ উদ্যোগের আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
মানবসভ্যতা রক্ষার স্বার্থে জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ যখন অপরিহার্য, তখন পরিবেশ সন্ত্রাস বন্ধে সচেতনতা ও কার্যকর বৈশ্বিক আইনি পদক্ষেপের তাগিদ পরিবেশবিদদের।
কংগ্রেসে সক্রিয়ভাবে অংশ নেয়া প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মুকিত মজুমদার বাবু বলেন, ‘যুদ্ধ-সংঘাতে জেনোসাইডের পাশাপাশি যে ইকোসাইড বা পরিবেশ নিধন হয় তা আমরা জোরালোভাবে তুলে ধরেছি। যুদ্ধের সময় জেনোসাইডের মাধ্যমে মানুষ নিধন হয় আবার বোমা-ধ্বংসযজ্ঞের মাধ্যমে ঘটে ইকোসাইড বা পরিবেশ নিধন, এতে বিশ্বের জীববৈচিত্র্য ব্যাপক মাত্রায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। অথচ এমন ভয়াবহ দিকটি নিয়ে খুব কমই আলোচনা হয়।’

প্রকৃতিবন্ধু আরও বলেন, ‘এবারের কংগ্রেসে তাই ইকোসাইডের বিষয়টিকে যেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালে উপস্থাপন করা হয় সেটা নিয়ে সদস্য দেশগুলো দাবি তুলেছে। বড় গোষ্ঠীর স্বার্থে বায়ু-পানি-মাটি দূষণকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করে কঠোর আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছি আমরা।’
আবুধাবিতে আইইউসিএন বিশ্ব সংরক্ষণ কংগ্রেস-২০২৫ এর পঞ্চম দিনে প্রতিনিধি রাষ্ট্রগুলোর ভোটাভুটি ও নিয়মিত কর্মসূচিতে পরিবেশ ধ্বংস বন্ধে কার্যকর উদ্যোগের দাবীতে আগামী ২০ বছরের করণীয় নির্ধারণ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আর এই আলোচনায় অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ছিল ইকোসাইডের যথোপযুক্ত বিচারের দাবি তোলা।
এছাড়া এই দিনে সদস্য অধিবেশন, সেশন, প্রদর্শনী ও বহুমুখি কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি ঘোষণা এসেছে, পরবর্তী বিশ্ব সংরক্ষণ কংগ্রেস আয়োজিত হবে দ্বীপ রাষ্ট্র পানামাতে।
প্রতিবেদক: মোশাহিদ রনি
তথ্য ও চিত্র: মেহেদী হাসান
প্রকৃতিবার্তা ডেস্ক 




















