মানিকগঞ্জে স্থানীয়দের আন্তরিকতায় উদ্ধার হিমালয়ান শকুনটির দায়িত্ব নিয়েছে বন অধিদপ্তর। অধিদপ্তরের বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের ফেসবুক পেইজে শকুনটির সর্বশেষ অবস্থা জানিয়ে একটি পোস্ট করা হয়েছে।
পোস্টে জানানো হয়েছে: “বন বিভাগের বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিট, ঢাকা কর্তৃক গত ১৩ ফেব্রুয়ারি হরিরামপুর, মানিকগঞ্জ হতে স্থানীয় বন বিভাগ, উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবং স্থানীয় স্বচ্ছাসেবী সংগঠনের সহায়তায় একটি হিমালয়ান শকুন উদ্ধার করা হয়। শকুনটি বর্তমানে পরিচর্যারত অবস্থায় আছে, খুব শীঘ্রই প্রকৃতিতে অবমুক্ত করা হবে।
শকুনটি উদ্ধারে সংশ্লিষ্ট স্থানীয় সকলের আন্তরিকতা ছিলো সত্যিই প্রশংসনীয়।
সকলের আন্তরিক প্রচেষ্টা, সহযোগিতা আর একটু সচেতনতাই পারে এই মহাবিপন্ন প্রজাতিটিকে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য টিকিয়ে রাখতে।”
উল্লেখ্য, এর আগে গত বুধবার মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলায় পদ্মার পাড়ে জেগে ওঠা নতুন চর থেকে এক হিমালয়ান শকুন উদ্ধার করে স্থানীয়রা। এরপর স্থানীয়রা বিষয়টি উপজেলা প্রেসক্লাবে জানান। হরিরামপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আবিদ হাসান জানান, স্থানীয়রা শকুনটি দেখে তাকে জানায়। এরপর তিনি উপজেলা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের নাম্বারে ফোন করে জানালে তারা অবহেলা করে অনীহা প্রকাশ করেন। কোনো উপায়ন্তর না পেয়ে ভিডিও আর ছবি তুলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আপলোড করেন। এরপরে জেলা প্রশাসককে জানানো হয়। জেলা প্রশাসক ড. মনোয়ার হোসেন মোল্লা শকুনটি রক্ষায় সার্বিক সহায়তা দেন। তার নির্দেশনায় এগিয়ে আসে জেলা প্রাণীসম্পদ বিভাগ, তারা শকুনটিকে প্রাথমিক চিকিৎসা এবং খাবার দেয়।
মানিকগঞ্জে উদ্ধার শকুনটি হিমালয়ান গ্রিফন শকুন। এটির বৈজ্ঞানিক নাম জিপস হিমালয়েনসিস (Gyps himalayensis)। আন্তর্জাতিক প্রকৃতি ও প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ সংঘ বা আইইউসিএনের লাল তালিকায় হিমালয়ান গ্রিফন শকুনকে রাখা হয়েছে ‘প্রায়-বিপদগ্রস্ত’ ক্যাটাগরিতে। এর মানে হল, এই প্রাণীর প্রজাতি নিকট ভবিষ্যতে বিপদগ্রস্ত হয়ে পড়ার ঝুঁকিতে রয়েছে।