চলতি মে মাসের শেষ দিকে সাগরে একটি লঘুচাপ সৃষ্টির সম্ভাবনা দেখছে আবহাওয়া অধিদপ্তর, যেটি পরে রূপ নিতে পারে নিম্নচাপে। আবহাওয়াবিদ বজলুর রশীদ বলেন, “২২ বা ২৩ মে একটি লঘুচাপ তৈরি হওয়ার আশঙ্কা আছে, যেটা পরে নিম্নচাপে রূপ নিতে পারে।”
অথচ এরই মধ্যে আসন্ন ঘূর্ণিঝড় ‘শক্তি’ নিয়ে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে আতঙ্ক ছড়ানো চলছে। যে ঘূর্ণিঝড় এখনো কোনো রূপই পায়নি সেটা দেশের কোথায় কোথায় আঘাত হানবে তা আগেভাগেই বলে দেয়ার চেষ্টা দেখা যাচ্ছে অনলাইন সংবাদমাধ্যগুলোতে। নানা আকর্ষণীয় শিরোনাম দিয়ে ঘূর্ণিঝড়কেও যে ক্লিক পাওয়ার উৎস বানানো যায় সেটাই যেন দেখা যাচ্ছে কিছু সংবাদমাধ্যমে।

তবে আবহাওয়াবিদ বজলুর রশীদ বলেছেন, “সাধারণত এপ্রিল-মে মাসে ঘূর্ণিঝড় হয়। অক্টোবর-নভেম্বরের দিকেও হয়। এই দুইটা সময়ে বেশি ঘূর্ণিঝড় হয়। তবে এটা নিয়ে এখনও আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। আগে থেকে ব্যবস্থা নিলে ক্ষয়ক্ষতি এড়ানো যায়।”
তাপপ্রবাহ চলমান
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, দেশের আট জেলার ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এ তালিকায় রয়েছে রাজশাহী, পাবনা, সিরাজগঞ্জ, রাজবাড়ী, খুলনা, চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর ও যশোর।
গেল ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল চুয়াডাঙ্গায়; ৪১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
জেলাটিতে গত কয়েক দিন ধরেই তীব্র গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন। শনিবার এ জেলাতেই মৌসুমের সর্বোচ্চ ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা নথিবদ্ধ করে আবহাওয়া অধিদপ্তর।