সংবাদ শিরোনাম ::
Logo আশা জাগিয়ে শুরু কপ ৩০, মুকিত মজুমদার বাবুর প্রত্যাশা পূর্বের প্রতিশ্রুতিগুলোর বাস্তবায়ন    Logo ট্রাম্পকে ইঙ্গিত করে লুলার প্রত্যয়, “কপ ৩০ হবে সত্যের কপ” Logo এবার নিজেকে নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন আরিফিন শুভ Logo ১৩ নভেম্বরের কর্মসূচি ঘিরে কোনো শঙ্কা নেই: ডিএমপি কমিশনার Logo ভারত-পাকিস্তানে একরাতের ব্যবধানে বোমা হামলা: দিল্লিতে নিহত ৯, ইসলামাবাদে নিহত ১২ Logo রাতের তাপমাত্রা ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে Logo সশস্ত্র বাহিনীর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতার মেয়াদ বাড়ল সাড়ে তিন মাস Logo দুরারোগ্য রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের হজ পালনের অনুমতি দিবে না সৌদি সরকার Logo নদী গিলে নিচ্ছে জমি: ভাঙনের সঙ্গে বাংলাদেশের অন্তহীন লড়াই Logo ময়মনসিংহে বাসে আগুন, দগ্ধ হয়ে চালকের মৃত্যু

মাস্টারপ্ল্যান চূড়ান্ত, হাওর রক্ষা মানে দেশের সামগ্রিক পরিবেশ রক্ষা: উপদেষ্টা রিজওয়ানা

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে হাওরের উন্নয়ন করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। হাওর রক্ষা মানে দেশের সামগ্রিক পরিবেশ রক্ষা।  উপদেষ্টা জানান, জাতীয় হাওর মাস্টারপ্ল্যান চূড়ান্ত করা হয়েছে। সরকার ইতোমধ্যে হাওর ও জলাভূমি অধ্যাদেশের খসড়া প্রস্তুত করেছে এবং হাকালুকি ও টাঙ্গুয়ার হাওরকে অন্তর্ভুক্ত করে পানি আইনের আওতায় সুরক্ষা আদেশ প্রণয়ন করা হয়েছে। গেজেট প্রকাশের পর এসব এলাকা জলবায়ু ও কৃষিবান্ধব ইকোসিস্টেম হিসেবে ব্যবস্থাপিত হবে।

 

এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে: আজ সোমবার (২৭ অক্টোবর) রাজধানীর পানি ভবনে অনুষ্ঠিত “ইউকে-বাংলাদেশ কলাবরেশন অন ইকোলজিবেজড অ্যাডাপটেশন এন্ড হাইড্রো-মেট সার্ভিসেস” শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

 

উপদেষ্টা আরও বলেন, “হাওরবাসীরা এখনো স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত। আমরা এমন একটি নৌ-হাসপাতাল মডেল বিবেচনা করছি, যা বন্যা ও শুষ্ক মৌসুম—উভয় সময়েই চালু রাখা সম্ভব হবে।” তিনি যোগ করেন, এ উদ্যোগটি জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ডের আওতায় বাস্তবায়নের জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বিবেচনা করতে পারে।

 

রিজওয়ানা হাসান জানান, এনরিচ’ প্রকল্পের মাধ্যমে ২০২৫ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০২৬ সালের মার্চ পর্যন্ত সিলেট, সুনামগঞ্জ, কুমিল্লা ও ফেনীতে বন্যা পূর্বাভাস ও আগাম সতর্কতা ব্যবস্থা আরও উন্নত হবে। যুক্তরাজ্যের মেট অফিস, রাইমস (RIMES), বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড এবং বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর এর যৌথ উদ্যোগে প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হচ্ছে।

তিনি বলেন, “আগামী ছয় মাসে এই সহযোগিতা আমাদের বিশ্লেষণী সক্ষমতা বাড়াবে, যাতে বৃষ্টিপাত ও জলবিদ্যুৎ তথ্য আরও কার্যকরভাবে ব্যবহার করা যায়।”

 

অনুষ্ঠানে যুক্তরাজ্য সরকারের অর্থায়নে পরিচালিত ‘নবপল্লব’ প্রকল্পের সুন্দরবন ইকোলজিক্যালি ক্রিটিক্যাল এরিয়াতে অর্জিত সাফল্য তুলে ধরা হয় এবং তার সম্প্রসারণ হিসেবে হাকালুকি হাওরে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।

 

প্যানেল আলোচনায় এডিবি, সিএনআরএস, আরএসএফ এবং বন অধিদপ্তরের প্রতিনিধিরা বাংলাদেশের জাতীয় জলবায়ু নীতিতে প্রকৃতি-ভিত্তিক সমাধান ও স্থানীয়ভাবে নেতৃত্বাধীন অভিযোজন অন্তর্ভুক্তির ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এমেবেট মেনা, ডেপুটি কান্ট্রি ডিরেক্টর (প্রোগ্রাম), কেয়ার বাংলাদেশ; জেমস গোল্ডম্যান, ডেপুটি হাইকমিশনার ও ডেভেলপমেন্ট ডিরেক্টর, ব্রিটিশ হাইকমিশন, ঢাকা; প্রফেসর ড. আইনুন নিশাত, উপদেষ্টা, সিসিইআর, ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি; সেলিনা শেলি খান, চিফ অব পার্টি, নবপল্লব, কেয়ার বাংলাদেশ; এবং রওফা খানম, সহকারী পরিচালক, সিসিইআর, ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি।

আপলোডকারীর তথ্য

Shuvo

জনপ্রিয় সংবাদ

আশা জাগিয়ে শুরু কপ ৩০, মুকিত মজুমদার বাবুর প্রত্যাশা পূর্বের প্রতিশ্রুতিগুলোর বাস্তবায়ন   

মাস্টারপ্ল্যান চূড়ান্ত, হাওর রক্ষা মানে দেশের সামগ্রিক পরিবেশ রক্ষা: উপদেষ্টা রিজওয়ানা

আপডেট সময় ০৫:১৩:১১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৫

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে হাওরের উন্নয়ন করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। হাওর রক্ষা মানে দেশের সামগ্রিক পরিবেশ রক্ষা।  উপদেষ্টা জানান, জাতীয় হাওর মাস্টারপ্ল্যান চূড়ান্ত করা হয়েছে। সরকার ইতোমধ্যে হাওর ও জলাভূমি অধ্যাদেশের খসড়া প্রস্তুত করেছে এবং হাকালুকি ও টাঙ্গুয়ার হাওরকে অন্তর্ভুক্ত করে পানি আইনের আওতায় সুরক্ষা আদেশ প্রণয়ন করা হয়েছে। গেজেট প্রকাশের পর এসব এলাকা জলবায়ু ও কৃষিবান্ধব ইকোসিস্টেম হিসেবে ব্যবস্থাপিত হবে।

 

এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে: আজ সোমবার (২৭ অক্টোবর) রাজধানীর পানি ভবনে অনুষ্ঠিত “ইউকে-বাংলাদেশ কলাবরেশন অন ইকোলজিবেজড অ্যাডাপটেশন এন্ড হাইড্রো-মেট সার্ভিসেস” শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

 

উপদেষ্টা আরও বলেন, “হাওরবাসীরা এখনো স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত। আমরা এমন একটি নৌ-হাসপাতাল মডেল বিবেচনা করছি, যা বন্যা ও শুষ্ক মৌসুম—উভয় সময়েই চালু রাখা সম্ভব হবে।” তিনি যোগ করেন, এ উদ্যোগটি জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ডের আওতায় বাস্তবায়নের জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বিবেচনা করতে পারে।

 

রিজওয়ানা হাসান জানান, এনরিচ’ প্রকল্পের মাধ্যমে ২০২৫ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০২৬ সালের মার্চ পর্যন্ত সিলেট, সুনামগঞ্জ, কুমিল্লা ও ফেনীতে বন্যা পূর্বাভাস ও আগাম সতর্কতা ব্যবস্থা আরও উন্নত হবে। যুক্তরাজ্যের মেট অফিস, রাইমস (RIMES), বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড এবং বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর এর যৌথ উদ্যোগে প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হচ্ছে।

তিনি বলেন, “আগামী ছয় মাসে এই সহযোগিতা আমাদের বিশ্লেষণী সক্ষমতা বাড়াবে, যাতে বৃষ্টিপাত ও জলবিদ্যুৎ তথ্য আরও কার্যকরভাবে ব্যবহার করা যায়।”

 

অনুষ্ঠানে যুক্তরাজ্য সরকারের অর্থায়নে পরিচালিত ‘নবপল্লব’ প্রকল্পের সুন্দরবন ইকোলজিক্যালি ক্রিটিক্যাল এরিয়াতে অর্জিত সাফল্য তুলে ধরা হয় এবং তার সম্প্রসারণ হিসেবে হাকালুকি হাওরে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।

 

প্যানেল আলোচনায় এডিবি, সিএনআরএস, আরএসএফ এবং বন অধিদপ্তরের প্রতিনিধিরা বাংলাদেশের জাতীয় জলবায়ু নীতিতে প্রকৃতি-ভিত্তিক সমাধান ও স্থানীয়ভাবে নেতৃত্বাধীন অভিযোজন অন্তর্ভুক্তির ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এমেবেট মেনা, ডেপুটি কান্ট্রি ডিরেক্টর (প্রোগ্রাম), কেয়ার বাংলাদেশ; জেমস গোল্ডম্যান, ডেপুটি হাইকমিশনার ও ডেভেলপমেন্ট ডিরেক্টর, ব্রিটিশ হাইকমিশন, ঢাকা; প্রফেসর ড. আইনুন নিশাত, উপদেষ্টা, সিসিইআর, ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি; সেলিনা শেলি খান, চিফ অব পার্টি, নবপল্লব, কেয়ার বাংলাদেশ; এবং রওফা খানম, সহকারী পরিচালক, সিসিইআর, ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি।