মা হারা ৩ দিন বয়সের হাতি শাবকটি এখন ডুলাহাজারা সাফারি পার্কে। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, পার্কের বন্যপ্রাণী হাসপাতালে মাতৃস্নেহে লালিতপালিত হচ্ছে হাতি শাবকটি। মায়ের দুধ না মিললেও আপাতত হাতি শাবকটিকে খাওয়ানো হচ্ছে ল্যাকটোজেন-১। শীত নিবারণের জন্য গায়ে কম্বল জড়িয়ে রাখা হয়েছে।
রোববার (৫ জানুয়ারি) কক্সবাজারের টেকনাফের হোয়াইখং রেঞ্জের হোয়াইখং বনবিটের হরিণখোলা বুড়াবনিয়া নামক বনাঞ্চলে একটি গর্ভবতী হাতি শাবকটি প্রসব করে। এরপর প্রসবকালীন জটিলতায় মা হাতিটি মারা যায়। তবে প্রসবকৃত হাতি শাবকটি সুস্থ ছিল। পরে স্থানীয় লোকজন মাতৃহীন হাতি শাবকটি দেখে সংশ্লিষ্ট বনকর্মীদের খবর দেয়। বনকর্মীরা খবর পেয়ে দ্রুত নবজাতক হাতি শাবকটি উদ্ধার করে বনবিট অফিসে নিয়ে আসে এবং মৃত হাতিটি মাটিতে পুতে ফেলেন।
পরে মাত্র ১ দিন বয়সী হাতি শাবকটি লালন পালন নিয়ে বেকায়দায় পড়েন বনকর্মীরা। বিষয়টি বনবিভাগের উর্ধতন বনকর্মকর্তার নজরে আনা হলে তাদের নির্দেশনা মোতাবেক হাতি শাবকটি লালন-পালন ও চিকিৎসার জন্য ডুলাহাজারা সাফারি পার্কে পাঠানো হয়। রোববার রাত সাড়ে ১১ টার দিকে শাবকটিকে বন্যপ্রাণী হাসপাতালে পরিচর্যার জন্য নেয়া হয়।
পার্কের হাতি মাহুত সুশীল চাকমা নিয়মিত হাতিশাবকটির পরিচর্যায় নিয়োজিত রয়েছেন। শাবকটির সার্বিক অবস্থা দেখভাল করছেন পার্কের বন্য প্রাণী চিকিৎসক (ভেটেরিনারি সার্জন) হাতেম সাজ্জাদ মো. জুলকার নাইন।
ডুলাহাজারা সাফারি পার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফরেস্ট রেঞ্জার মাজহারুল ইসলাম জানিয়েছেন, হাতি শাবকটি পুরুষ লিঙ্গের। শাবকটিকে নিয়মিত লেকটোজেন-১ পানির সঙ্গে মিশিয়ে খাওয়ানো হচ্ছে। এছাড়া শীত নিবারণের জন্য সার্বক্ষণিক গায়ে কম্বল জড়িয়ে রাখা হয়েছে। শাবকটি সুস্থ রয়েছে।
এর আগে বাঁশখালী থেকে তিন মাস বয়সী একটি স্ত্রী লিঙ্গের দুগ্ধপোষ্য হাতির শাবক মরণাপন্ন অবস্থায় উদ্ধার করে সাফারি পার্ক হাসপাতালে এনে চিকিৎসা ও দুধ খাইয়ে লালন-পালন করা হয়। বর্তমানে শাবকটির বয়স প্রায় ৩ বছর এবং সুস্থ সবল রয়েছে।