মিয়ানমারে ৭ দশমিক ৭ মাত্রার ভয়াবহ ভূমিকম্পে এ পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ১৭০০ ছাড়িয়েছে।
মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর প্রধান জ্যেষ্ঠ জেনারেল মিন অঙ হ্লাইং মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমকে এক ফোন কলে জানিয়েছেন, ভূমিকম্পে প্রায় ১৭০০ জনের মৃত্যু হয়েছে।
রোববার ওই ফোন কলে তিনি আরও জানান, এ ভয়াবহ প্রাকৃতিক দুর্যোগে প্রায় ৩৪০০ জন আহত হয়েছেন আর ৩০০ জনের মতো মানুষ নিখোঁজ রয়েছেন।
মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন তিনি।
এ ছাড়া পার্শ্ববর্তী দেশ থাইল্যান্ডে ১০ জনের মৃত্যুর তথ্য পাওয়া গেছে। গত শুক্রবারের এই ভূমিকম্পে হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
মিয়ানমারের মধ্যাঞ্চলে শুক্রবার স্থানীয় সময় দুপুরে ৭ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্পে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। ইন্ডিয়ান ও ইউরেশিয়ান টেকটোনিক প্লেটের পার্শ্ব ঘর্ষণে উৎপত্তি হওয়া এ ভূমিকম্পে দেশটির প্রধান প্রধান সেতু ও মহাসড়কের মতো গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোগুলো মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
এ কারণে দুর্যোগপূণ এলাকাগুলোতে প্রয়োজনীয় মানবিক ত্রাণ পাঠানো যাচ্ছে না বলে শনিবার জাতিসংঘের মানবিক ত্রাণ বিষয়ক সংস্থা ওসিএইচএ জানিয়েছে।
শনিবার রাতে রাজধানী নেপিদোর উদ্বিগ্ন বহু বাসিন্দা টানা দ্বিতীয়বারের মতো বাড়ির বাইরে খোলা আকাশের নিচে ঘুমিয়েছেন। ভূমিকম্পের পরাঘাত হওয়ার শঙ্কায় ভুগছেন তারা।
বিবিসি জানিয়েছে, নেপিদোর বাসিন্দারা খোলা আকাশের নিচে অস্থায়ী আশ্রয় বানিয়ে সেগুলোতে ঘুমিয়েছেন।
দরিদ্র, গৃহযুদ্ধকবলিত মিয়ানমারে গত ২০ বছরের মধ্যে এত তীব্র ও প্রাণঘাতী ভূমিকম্প আর দেখা যায়নি বলে জানিয়েছেন ভূমিকম্প-বিশেষজ্ঞরা।