শৈশব-বাল্যকাল পেরিয়ে তিনি তখন সবেমাত্র কিশোর। আর পাঁচজন কিশোরের মতোই প্রাণপ্রাচুর্যে ভরপুর। খেলাধুলা, হৈ-হুল্লোড়, দুরন্তপনা আর পড়াশোনার মাধ্যমে সুখস্মৃতি রচনাই হওয়া উচিত যার প্রধানতম ব্রত। কিন্তু তিনি যে ভিন্ন ধাতুতে গড়া! আর দেশমাতৃকাও তখন ভয়াবহ সঙ্কটে। তাই তিনি চিন্তা করলেন বৃত্তের বাইরে যেয়ে। মানবতার শত্রু পাকিস্তানি সেনাদের বিষাক্ত থাবায় ক্ষত-বিক্ষত, রক্তাক্ত বাংলাদেশ রক্ষায় নবম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত অবস্থায় তিনি সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করলেন মহান মুক্তিযুদ্ধে। রণাঙ্গনে নয় মাসের প্রাণপণ সংগ্রাম শেষে দেশ হলো শত্রুমুক্ত, স্বাধীন; আর তিনি ফিরে গেলেন পড়ার টেবিলে। বলছি প্রকৃতিবন্ধু বীর মুক্তিযোদ্ধা মুকিত মজুমদারের আজীবন ব্যতিক্রমধর্মী চিন্তা-চেতনার কথা।
অথচ বিপরীতধর্মী পথ বেছে নেওয়ারও ছিল অবারিত সুযোগ। সদ্য স্বাধীন দেশে কিশোর মুক্তিযোদ্ধা মুকিত মজুমদার বাবু প্রভাব প্রতিপত্তির মাধ্যমে হতে পারতেন অগাধ বিত্ত-বৈভবের মালিক। পরিবর্তে মনোনিবেশ করলেন পড়াশোনায়। সেন্ট্রাল গভর্নমেন্ট হাইস্কুল থেকে এসএসসি এবং নটরডেম কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক সম্পন্ন করে ১৯৭৮ সালে পাড়ি জমালেন পশ্চিমা দেশে। উচ্চতরশিক্ষা গ্রহণ করলেন যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র থেকে। পাশ্চাত্যের উচ্চাভিলাসী জীবন তখন হাতের মুঠোয়। সমৃদ্ধ ভবিষ্যতের সেই নিশ্চিত সম্ভাবনা পায়ে মাড়িয়ে তিনি ১৯৮৪ সালে ফিরে এলেন স্বদেশের বুকে। শুরু করলেন ব্যবসা। দেশের অন্যতম বৃহৎ শিল্পগোষ্ঠী ইমপ্রেস গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক হিসেবে সক্রিয়ভাবে মনোনিবেশ করলেন দেশ বিনির্মাণে। যে গ্রুপের ৪৫টির বেশি প্রতিষ্ঠানে দুয়ার খুলে গেলো হাজারো মানুষের কর্মসংস্থানের, বেকারত্ব ঘুচে স্বচ্ছলতার মুখ দেখলো অসংখ্য মানুষ ও পরিবার। জাতীয় অর্থনীতিতে রাখতে শুরু করলেন গুরুত্বপূর্ণ এবং যুগান্তকারী অবদান।

এরই ধারাবাহিকতায় দেশমাতৃকার বৃহত্তর কল্যাণে অব্যাহত রাখলেন দৃষ্টান্তমূলক বিভিন্ন কর্মসূচি। জলবায়ু পরিবর্তনের ভয়াবহ অভিঘাতে যখন জর্জরিত সমগ্র বিশ্ব, তখন তিনি শুরু করলেন নতুন যুদ্ধ। এই যুদ্ধে চ্যালেঞ্জ অনেক বেশি কিন্তু সহযাত্রীর সংখ্যা নিতান্ত হাতেগোনা। তবুও প্রকৃতি, পরিবেশ, জীববৈচিত্র্য রক্ষার মতো মহাগুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে মনোনিবেশ করলেন তিনি। ‘সুন্দর প্রকৃতিতে গড়ি সুস্থ জীবন’ প্রতিপাদ্যে ২০০৯ সালে প্রতিষ্ঠিত করলেন ‘প্রকৃতি ও জীবন ফাউণ্ডেশন’। নিজের স্বপ্ন ও চেতনা ছড়িয়ে চলেছেন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে। প্রতিবছর বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলনে অংশগ্রহণ, দেশব্যাপী বৃক্ষরোপণ অভিযান ও আন্দোলন, বন্যপ্রাণী অবমুক্তকরণ, লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে প্রকৃতি বিষয়ক তথ্যকেন্দ্র স্থাপন, প্রজাপতি পার্ক স্থাপন, পরিবেশ বিষয়ক গোলটেবিল বৈঠক, পরিবেশ সংরক্ষণ বিষয়ক কর্মশালা, পাখিশুমারি ও পরিযায়ী পাখি সংরক্ষণের উদ্যোগ, বিপন্ন শকুন রক্ষায় কর্মসূচি, শিকারি পাখি গবেষণা ও সংরক্ষণ, জাতীয় উদ্ভিদ উদ্যান ও চিড়িয়াখানায় বিভিন্ন গাছের পরিচিতি ফলক তৈরি, পরিবেশ ও প্রকৃতি বিষয়ক বিভিন্ন গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা, পরিবেশ সচেতনতামূলক স্কুল প্রোগ্রাম, ‘বিল্ডিং এ সাসটেইনেবল লেদার সেক্টর ইন বাংলাদেশ কর্মসূচি’র আওতায় – চামড়া শিল্পের বর্জ্যে পরিবেশ দূষণের বিরুদ্ধে সার্বিক সচেতনতা সৃষ্টি, প্রকৃতি পল্লী প্রতিষ্ঠাসহ বহুমুখী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে পরিবেশ ও প্রকৃতি সংরক্ষণে নিরলস পরিশ্রম করে চলেছেন প্রকৃতিবন্ধুখ্যাত মুকিত মজুমদার বাবু।

মুকিত মজুমদার বাবু’র উদ্যোগে প্রাণ, প্রকৃতি, নদী, জলবায়ু এবং জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে দৃষ্টান্তমূলক অবদান রাখা ব্যক্তিত্ব ও প্রতিষ্ঠানকে সম্মানিত এবং উৎসাহিত করতে নিয়মিত প্রদান করা হচ্ছে ‘প্রকৃতি সংরক্ষণ পদক’, ‘মার্ক এঞ্জেলো রিভার অ্যাওয়ার্ড’। প্রতিবছর উপরোক্ত ক্ষেত্রসমূহে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখা ব্যক্তিত্ব এবং প্রতিষ্ঠানের হাতে এই পদকসমূহ তুলে দেওয়া হয়। যার মাধ্যমে অনুপ্রাণিত হয়ে অনেকে বর্তমানে প্রকৃতি ও পরিবেশ রক্ষায় উদ্যোগী হয়েছেন। পাশাপাশি দেশ ও মাটির সেবায় বহুমুখী কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ ইতোমধ্যে তিনি ভূষিত হয়েছেন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের বিভিন্ন পুরস্কারে। তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্যসমূহ হচ্ছে ‘জাতীয় পরিবেশ পদক-২০১৫, বঙ্গবন্ধু এ্যাওয়ার্ড ফর ওয়াইল্ডলাইফ কনজারভেশন-২০১৩, এইচএসবিসি-দি ডেইলি স্টার ক্লাইমেট এ্যাওয়ার্ড-২০১২, জুওলজিক্যাল সোসাইটি অব বাংলাদেশ সম্মাননা-২০১২, চাঁদ সুলতানা পুরস্কার-২০১৫, পল্লীমা গ্রিন স্বর্ণপদক-২০১৭, বিজনেস এক্সিলেন্সি এ্যাওয়ার্ড সিঙ্গাপুর-২০১৪, ট্রাব এ্যাওয়ার্ড- ২০২১, ফ্রেন্ড অফ নেচার এ্যাওয়ার্ড-২০২১, এলজিএফ এ্যাওয়ার্ড- ২০২২, মার্ক এঞ্জেলো রিভার এ্যাওয়ার্ড ২০২৪, চট্টগ্রাম সমিতি পদক ২০২৫, নটর ডেম কলেজ আজীবন সম্মাননা পুরস্কার ইত্যাদি।

শিক্ষা ও গবেষণামূলক কর্মকাণ্ড প্রসারেও মুকিত মজুমদারের ভূমিকা অনুকরণীয় হিসেবে বিবেচিত। গবেষণামূলক কর্মসূচির আওতায় ‘হৃদয়ে সবুজ বাংলা, সবুজে সাজাই আমার বাংলাদেশ, পেঁচার পাঁচালি- ২, বাংলাদেশের রক্ষিত অঞ্চল, পেঁচার পাঁচালি, আমার রূপসী বাংলা, বাংলাদেশের জলাভূমি, স্বপ্নের প্রকৃতি, প্রকৃতি ও জীবন, সবুজ আমার ভালোবাসা, বাংলাদেশের বন ও বন্যপ্রাণী, আমার দেশ আমার প্রকৃতি, আমার অনেক ঋণ আছে, বাংলার প্রকৃতিতে পাখি, বাংলাদেশের পরিবেশ ও প্রতিবেশ, প্রকৃতি কথা (সম্পাদিত), বাংলাদেশের বন্যপ্রাণী ও পরিবেশ, বাংলাদেশের জীববৈচিত্র্য ও পরিবেশ, Status of Environment of GAZIPUR, ছোট্ট পাখি চন্দনা, বর্ণিল প্রজাপতি’ইত্যাদি গ্রন্থসমূহ সবুজ বাংলাদেশ বিনির্মাণে অনুঘটক হিসেবে সহায়ক ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা যায়। পাশাপাশি বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক, সাপ্তাহিক, পাক্ষিক, মাসিক ও ত্রৈমাসিকে নিয়মিত সচেতনতামূলক লেখা প্রকাশ করে চলেছেন তিনি। একইভাবে শিক্ষা প্রসারেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছেন অবিরাম। ঢাকার নিকটবর্তী গাজীপুর জেলা সদরের প্রত্যন্ত গ্রামে অবস্থিত মাস্টারপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থীদের জন্য স্বাস্থ্যকর ও পুষ্টিগুণ সম্পন্ন মিড-ডে মিল চালু করেছেন। দরিদ্র মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য শিক্ষাবৃত্তি ও শিক্ষা ঋণ সহায়তা প্রদান করছেন নিয়মিত। ত্রৈমাসিক পত্রিকা ‘প্রকৃতি বার্তা’এবং অনলাইন পত্রিকা ‘প্রকৃতি বার্তা ডট কম’ – এর মাধ্যমে পাঠকদের সামনে তুলে ধরা হচ্ছে দেশ-বিদেশের প্রকৃতি ও পরিবেশ সম্পর্কিত সকল সংবাদ।

এই মহৎ ব্যক্তিত্ব দেশজুড়ে প্রতিষ্ঠা করেছেন প্রকৃতি ও জীবন ক্লাব। এটি স্কুল, কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের নিয়ে পরিবেশ সচেতনতামূলক কর্মসূচি পরিচালনা করছে। দেশের সীমানা পেরিয়ে বহির্বিশ্বেও ক্লাবের কার্যক্রম আলোড়ন তুলেছে। ‘সবুজে সাজাই বাংলাদেশ’ প্রতিপাদ্যে গত বছর প্রকৃতি ও জীবন ক্লাব সারাদেশে ১০ লক্ষাধিক গাছের চারা রোপণ ও বিতরণ করেছে। চলতি বছরও এই কর্মসূচি চলমান রয়েছে।
২০১২ সালের ২১ জুন মুকিত মজুমদার বাবু প্রতিষ্ঠা করেন প্রকৃতি ও জীবন স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র। অসহায় ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষেরা সেখানে চিকিৎসাসেবা গ্রহণ করতে পারছেন নিয়মিত। এছাড়া দেশের বিভিন্ন জেলাতে ক্যাম্প করে দরিদ্র মানুষদের বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা প্রদান করা হচ্ছে। শীত, বন্যাসহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগে অসহায় মানুষদের দেয়া হয় শীতবস্ত্র ও ত্রাণ। দেশের প্রান্তিক ও অবহেলিত মানুষের জন্য বহুমুখী জীবীকাকরণের মাধ্যমে দারিদ্র্য বিমোচন ও টেকসই জীবনমান উন্নয়নের লক্ষ্যে ২০২২ সাল থেকে পরিচালিত হচ্ছে ‘পরিবেশবান্ধব বিকল্প আয়’ কার্যক্রম। এ কর্মসূচির আওতায় গরু ও ছাগল পালন, টেইলারিং শপ, মুদি দোকান, ক্ষুদ্র ব্যবসায় উদ্যোগ, ইজিবাইক, মৎস্য চাষ ইত্যাদি বিভিন্ন আয়বর্ধনমূলক সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।

আপাদমস্তক সংস্কৃতিমনা মুকিত মজুমদার বাবুর উদ্যোগে সংগীতের মাধ্যমে পরিবেশ ও সংস্কৃতি সংরক্ষণের উদ্দেশ্যে ‘সবুজ সুরে রাঙাই জীবন’ স্লোগানে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ‘প্রকৃতি ও জীবন মিউজিক ক্লাব’। এ সংগঠনের লক্ষ্য হলো সংগীতানুষ্ঠান, প্রশিক্ষণ, কর্মশালা ও বিভিন্ন সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতিচর্চা ও পরিবেশবিষয়ক গণসচেতনতা সৃষ্টি করা। ইতোমধ্যে নতুন প্রতিভা অন্বেষণের লক্ষ্যে ‘সবুজ সুরের সন্ধানে’ শীর্ষক একটি প্রোগ্রাম চলমান রয়েছে। পাশাপাশি শিক্ষার্থী ও তরুণ প্রজন্মের মধ্যে প্রকৃতির প্রতি ভালোবাসা সৃষ্টির লক্ষ্যে প্রতিবছর চ্যানেল আই অঙ্গনে আয়োজিত হয় প্রকৃতি মেলা। যার মাধ্যমে শহরকেন্দ্রিক মানুষ প্রকৃতি সম্পর্কে সচেতন হতে পারেন, জানতে পারেন জীববৈচিত্র্য সম্পর্কে। ফলে সচেতনতা জাগ্রত হওয়ার পাশাপাশি মানুষের মধ্যে প্রকৃতি ও পরিবেশের প্রতি ভালোবাসা জন্মে।
কোভিড ১৯ মহামারীর সময়েও তিনি নিম্ন-আয়ের পরিবার, দিনমজুর, পরিবহন শ্রমিক এবং দেশব্যাপী প্রায় ২২ হাজারেরও বেশি দরিদ্র জনগোষ্ঠীর মাঝে জরুরি খাদ্য, প্রয়োজনীয় ঔষধ, স্যানিটাইজেশন উপকরণ, সাবান, মাস্ক ইত্যাদি প্রদান করেন। করোনা রোগীদের উন্নত চিকিৎসার লক্ষ্যে দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে হাইফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলা, ইসিজি মেশিন, অক্সিজেন ন্যাজাল ক্যানোলা, পাল্স অক্সিমিটার, অক্সিজেন মাস্ক, নন-রিব্রেদিং মাস্ক, ফেস শিল্ড, সার্জিক্যাল মাস্ক, অক্সিজেন সিলিন্ডারসহ বিভিন্ন মেডিক্যাল সরঞ্জামাদি সহায়তা হিসেবে প্রদান করেছেন। প্রতি বছর গোপালগঞ্জ জেলার কোটালীপাড়ার রাজাপুর গ্রামে আন্ধারমানিক নদের পাড়ে প্রায় ১৫০ বছরের ঐতিহ্যবাহী কাছিমমেলায় কাছিম হত্যা ও বাণিজ্য বন্ধ করায় রেখেছেন তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা, যা সর্বমহলেই প্রশংসিত হয়েছে।
বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো সেন্টমার্টিন দ্বীপে ও গভীর সমুদ্রের ‘আন্ডারওয়াটার’চিত্রধারণ করে তা দর্শকদের সামনে তুলে ধরেছেন তার পরিচালিত জনপ্রিয় টিভি অনুষ্ঠান ‘প্রকৃতি ও জীবন’- এর মাধ্যমে; যার ফলে সমুদ্রতলের ভয়াবহ দূষণ সম্পর্কেও সম্যক ধারণা লাভ করেছেন সকলস্তরের মানুষ। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় বিভিন্ন বিষয়ে আয়োজিত জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সেমিনার ও সম্মেলনে তিনি নিয়মিত অংশগ্রহণ করছেন। শব্দদূষণ ও বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণ করে একটি সুস্থ ও পরিবেশবান্ধব দেশ গঠনেও তিনি পরিশ্রম করে যাচ্ছেন নিরলস।
পথ পথিকের সৃষ্টি করে না। পথিকই পথের স্রষ্টা। এই চিরন্তন সত্যের সার্থক রূপদানকারী, মহৎ ব্যক্তিত্ব মুকিত মজুমদার বাবু’র আজ জন্মদিন। শুভ জন্মদিনে ‘প্রকৃতিবার্তা’র পক্ষ থেকে তাঁকে জানাই প্রাণঢালা অভিবাদন ও শুভেচ্ছা। আপনি ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন আমাদের মাঝে আলোর দিশারী হয়ে অনন্তকাল।
এ এম এম খায়রুল আনাম
সম্পাদক, প্রকৃতিবার্তা অনলাইন
এ. এম. এম. খায়রুল আনাম 



















