সংবাদ শিরোনাম ::
Logo ইকোসিস্টেমকে রক্ষা করে প্রাকৃতিক সম্পদকে সুরক্ষার বার্তা দিলেন পরিবেশ সচিব Logo নতুন প্রজন্মকে সাথে নিয়ে এবছরের ‘সবুজে সাজাই বাংলাদেশ’ শুরু  Logo গাজীপুরে কৃষি প্রযুক্তি ও পুষ্টি মেলার উদ্বোধন Logo দাবি না মানলে জবি শিক্ষার্থীদের লাগাতার কর্মসূচির ঘোষণা Logo সাম্য হত্যার ঘটনায় শোক পালন করছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন Logo অ্যান্টার্কটিকায় জলবায়ু পরিবর্তন স্পষ্ট, পূর্ব দিকের চেয়ে পশ্চিমে দ্রুত গলছে বরফ Logo প্রকৃতিকে ধ্বংস করে উন্নয়ন হলে সে উন্নয়ন টেকসই হবেনা: রিজওয়ানা হাসান Logo ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে সম্মানসূচক ডি. লিট ডিগ্রি দিলো চবি Logo চিরতরে চলে গেলেন ‘সবচেয়ে গরিব প্রেসিডেন্ট’   Logo চট্টগ্রাম বন্দর বাংলাদেশের অর্থনীতির হৃৎপিণ্ড: প্রধান উপদেষ্টা

যুক্তরাষ্ট্রে ফের ট্রাম্প বিরোধী বিক্ষোভ, রাজপথে হাজারো মানুষ (ছবিগল্প)

যুক্তরাষ্ট্রে ফের ট্রাম্প বিরোধী বিক্ষোভ, রাজপথে হাজারো মানুষ

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ফের রাস্তায় নেমেছেন হাজার হাজার মানুষ। স্থানীয় সময় শনিবার (১৯ এপ্রিল) দেশটির রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসি, নিউইয়র্ক এবং শিকাগোসহ প্রধান শহরগুলো বিক্ষোভ দেখান তারা।

 

এই বিক্ষোভকে “স্বাধীনতার জন্য নতুন লড়াই” বলছেন প্রতিবাদকারীরা। এদিকে জনমত জরিপে ট্রাম্পের জনপ্রিয়তা কমছে। রোববার (২০ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

সংবাদমাধ্যমটি বলছে, স্থানীয় সময় শনিবার যুক্তরাষ্ট্রের ৫০টি অঙ্গরাজ্যের হাজারো মানুষ একযোগে রাস্তায় নেমে এসেছিলেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাম্প্রতিক নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে। আন্দোলনটির নাম ছিল “৫০৫০১”— অর্থাৎ ৫০টি অঙ্গরাজ্যে ৫০টি প্রতিবাদ, একটাই আন্দোলন।

সাম্প্রতিক সময়ে রাজনৈতিক বিক্ষোভ যুক্তরাষ্ট্রে সাধারণ ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষ করে এপ্রিলের শুরুতে ‘হ্যান্ডস অফ’ নামের বিক্ষোভ কর্মসূচিতে বিপুল জনসমাগম হয়।

শনিবারের বিক্ষোভের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল অভিবাসন ও সরকারি ব্যয়ের কাটছাঁটের ইস্যুটি। হোয়াইট হাউসের সামনেসহ উত্তর আমেরিকার এই দেশটির বহু শহরের কেন্দ্রস্থলে, এমনকি কিছু টেসলা শোরুমের সামনেও বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়।

নানা দাবির ভিড়ে সবচেয়ে বেশি উঠে আসে কিলমার আবরেগো গার্সিয়া নামে এক ব্যক্তির ফেরত আনার দাবি। মূলত গার্সিয়া একজন মার্কিন অভিবাসী যাকে ভুলবশত এল সালভাদরে ফেরত পাঠানো হয়েছিল।

এ সময় বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভকারীদের অভিবাসীদের সমর্থনে এবং ট্রাম্প প্রশাসনের অভিবাসীদের বের করে দেয়ার বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে দেখা যায়। যেসব বিশ্ববিদ্যালয় ট্রাম্প প্রশাসনের তহবিল কমিয়ে বা বন্ধ করে দেয়ার হুমকিতে আছে, বিক্ষোভকারীরা তাদের প্রতিও সংহতি জানিয়েছেন।

হোয়াইট হাউসের কাছে লাফায়েট স্কয়ারে এক বিক্ষোভকারী বলেন, ‘ট্রাম্প ও তার প্রশাসন অভিবাসীদের বের করে দিতে যুক্তরাষ্ট্রের আইন ব্যবহার করতে শুরু করেছে। এই অবস্থায় প্রতিবেশীদের বাঁচাতে আমরাও নেটওয়ার্ক এবং প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তোলার চেষ্টা করছি।’

কোনো কোনো বিক্ষোভকারীকে ফিলিস্তিনি পতাকা ওড়াতে এবং ফিলিস্তিনি স্কার্ফ কেফিয়েহ গলায় জড়াতে দেখা গেছে। তারা ফিলিস্তিনিদের নির্বিচারে হত্যার প্রতিবাদ জানান। অনেকে ‘ফ্রি প্যালেস্টাইন বা ফিলিস্তিন মুক্ত’ বলে স্লোগান দেন।

প্রসঙ্গত, গত জানুয়ারিতে ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে গুরুত্বপূর্ণ কিছু নীতি গ্রহণ করেছে ডোনাল্ড ট্রাম্প। নতুন গঠন করা সরকারি দক্ষতা বিভাগের (ডিওজিই) দায়িত্ব দেন ইলন মাস্ককে। এরপর থেকে তার দল কেন্দ্রীয় সরকারের ২৩ লাখ কর্মচারীর মধ্যে ২ লাখের বেশি কর্মচারীকে ছাটাই করা হয়েছে।

আপলোডকারীর তথ্য

Shuvo

ইকোসিস্টেমকে রক্ষা করে প্রাকৃতিক সম্পদকে সুরক্ষার বার্তা দিলেন পরিবেশ সচিব

যুক্তরাষ্ট্রে ফের ট্রাম্প বিরোধী বিক্ষোভ, রাজপথে হাজারো মানুষ (ছবিগল্প)

আপডেট সময় ১১:৫৮:৫৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ফের রাস্তায় নেমেছেন হাজার হাজার মানুষ। স্থানীয় সময় শনিবার (১৯ এপ্রিল) দেশটির রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসি, নিউইয়র্ক এবং শিকাগোসহ প্রধান শহরগুলো বিক্ষোভ দেখান তারা।

 

এই বিক্ষোভকে “স্বাধীনতার জন্য নতুন লড়াই” বলছেন প্রতিবাদকারীরা। এদিকে জনমত জরিপে ট্রাম্পের জনপ্রিয়তা কমছে। রোববার (২০ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

সংবাদমাধ্যমটি বলছে, স্থানীয় সময় শনিবার যুক্তরাষ্ট্রের ৫০টি অঙ্গরাজ্যের হাজারো মানুষ একযোগে রাস্তায় নেমে এসেছিলেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাম্প্রতিক নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে। আন্দোলনটির নাম ছিল “৫০৫০১”— অর্থাৎ ৫০টি অঙ্গরাজ্যে ৫০টি প্রতিবাদ, একটাই আন্দোলন।

সাম্প্রতিক সময়ে রাজনৈতিক বিক্ষোভ যুক্তরাষ্ট্রে সাধারণ ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষ করে এপ্রিলের শুরুতে ‘হ্যান্ডস অফ’ নামের বিক্ষোভ কর্মসূচিতে বিপুল জনসমাগম হয়।

শনিবারের বিক্ষোভের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল অভিবাসন ও সরকারি ব্যয়ের কাটছাঁটের ইস্যুটি। হোয়াইট হাউসের সামনেসহ উত্তর আমেরিকার এই দেশটির বহু শহরের কেন্দ্রস্থলে, এমনকি কিছু টেসলা শোরুমের সামনেও বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়।

নানা দাবির ভিড়ে সবচেয়ে বেশি উঠে আসে কিলমার আবরেগো গার্সিয়া নামে এক ব্যক্তির ফেরত আনার দাবি। মূলত গার্সিয়া একজন মার্কিন অভিবাসী যাকে ভুলবশত এল সালভাদরে ফেরত পাঠানো হয়েছিল।

এ সময় বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভকারীদের অভিবাসীদের সমর্থনে এবং ট্রাম্প প্রশাসনের অভিবাসীদের বের করে দেয়ার বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে দেখা যায়। যেসব বিশ্ববিদ্যালয় ট্রাম্প প্রশাসনের তহবিল কমিয়ে বা বন্ধ করে দেয়ার হুমকিতে আছে, বিক্ষোভকারীরা তাদের প্রতিও সংহতি জানিয়েছেন।

হোয়াইট হাউসের কাছে লাফায়েট স্কয়ারে এক বিক্ষোভকারী বলেন, ‘ট্রাম্প ও তার প্রশাসন অভিবাসীদের বের করে দিতে যুক্তরাষ্ট্রের আইন ব্যবহার করতে শুরু করেছে। এই অবস্থায় প্রতিবেশীদের বাঁচাতে আমরাও নেটওয়ার্ক এবং প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তোলার চেষ্টা করছি।’

কোনো কোনো বিক্ষোভকারীকে ফিলিস্তিনি পতাকা ওড়াতে এবং ফিলিস্তিনি স্কার্ফ কেফিয়েহ গলায় জড়াতে দেখা গেছে। তারা ফিলিস্তিনিদের নির্বিচারে হত্যার প্রতিবাদ জানান। অনেকে ‘ফ্রি প্যালেস্টাইন বা ফিলিস্তিন মুক্ত’ বলে স্লোগান দেন।

প্রসঙ্গত, গত জানুয়ারিতে ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে গুরুত্বপূর্ণ কিছু নীতি গ্রহণ করেছে ডোনাল্ড ট্রাম্প। নতুন গঠন করা সরকারি দক্ষতা বিভাগের (ডিওজিই) দায়িত্ব দেন ইলন মাস্ককে। এরপর থেকে তার দল কেন্দ্রীয় সরকারের ২৩ লাখ কর্মচারীর মধ্যে ২ লাখের বেশি কর্মচারীকে ছাটাই করা হয়েছে।