ফিলিস্তিনের গাজা ও রাফায় ইসরাইলি আগ্রাসনের বিশ্বব্যাপী ‘নো ওয়ার্ক, নো ক্লাস’ কর্মসূচি চলছে। তাদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এই কর্মসূচি পালন করছে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মচারীরা।
পূর্বঘোষিত কর্মসূচি পালনের লক্ষ্যে আজ সকাল থেকে রাজধানীর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর সামনে জড়ো হয়েছে শিক্ষার্থীরা।
কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়সহ রাজধানীর জায়গায় কর্মসূচি পালন করছে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মচারীরা। সায়েন্স ল্যাবরেটরি, এলিফ্যান্ট রোডেও বিক্ষোভ করছেন শিক্ষার্থীরা।
কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে সামনে কর্মসূচি পালন করছে ঢাকা মেডিকেল কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। বাড্ডায় নো ওয়ার্ক-নো ক্লাস কর্মসূচি পালন করছে ব্রাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এসময় তারা বিভিন্ন স্লোগান দেন।
বক্তারা বলেন, দ্রুত ফিলিস্তিন ও ইসরায়েলের এই রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ বন্ধ করা হোক। আর যুদ্ধ বন্ধে বিশ্ববাসীকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তারা।
ফিলিস্তিনে ইসরাইলি হামলা বন্ধের দাবিতে একই কর্মসূচিতে সংহতি জানিয়ে বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে ছাত্রদল, গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ, ছাত্রশিবিরসহ বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন।
রোববার রাতেই ক্লাস পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দেয় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। বেশিরভাগ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও নোটিশ গাজার পক্ষে দিয়ে সংহতি জানিয়েছে।
দ্য ওয়ার্ল্ড স্টপস ফর গাজা’র সমর্থনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থীরাও। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করে মানববন্ধনে অংশ নেন বুয়েটের বেশ কয়েকজন শিক্ষকও।
ইসরায়েলি আগ্রাসনের প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছেন মোহাম্মদপুর এলাকার শিক্ষার্থীরাও। মোহাম্মদপুর বাসস্ট্যান্ডে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন শেষে বিক্ষোভ মিছিল করেন তারা। মোহাম্মদপুর থেকে শুরু করে আসাদগেট হয়ে মানিক মিয়া এভিনিউতে গিয়ে শেষ হয় মিছিলটি।
এদিকে এই পরিস্থিতিতে জাতীয় জাদুঘর ও শাহবাগ এলাকায় পুলিশ ও বিজিবি মোতায়েন রয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশের জলকামানের গাড়ি ও প্রিজন ভ্যানও দেখা গেছে।
বেলা ১১টা ৪৫ মিনিটের দিকে গুলশানে মার্কিন দূতাবাস এলাকায় মিছিল বের করে একদল তরুণ। মার্কিন দূতাবাসের সামনে মহাসড়কে অবস্থান নেন তারা। এ সময় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।