চিকিৎসাশাস্ত্রে বিজয়ীদের নাম ঘোষণার মধ্য দিয়ে শুরু হলো নোবেল পুরস্কার ২০২৫-এর আনুষ্ঠানিক যাত্রা। এ বছর চিকিৎসাবিজ্ঞানে যুগান্তকারী অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের গবেষক মেরি ই ব্রাঙ্কো, ফ্রেড র্যামসডেল ও জাপানের শিমন সাকাগুচি পাচ্ছেন এই পুরস্কার।
বাংলাদেশ সময় আজ সোমবার বিকাল ৩টা ৩০ মিনিটে সুইডেনের স্টকহোম থেকে এ বছরের চিকিৎসাবিজ্ঞানে নোবেল বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করে ক্যারোলিনস্কা ইনস্টিটিউট।

পেরিফেরাল ইমিউন টলারেন্স হলো একটি প্রতিরোধমূলক প্রক্রিয়া, যা মানবদেহের ভেতরে থাকা নিজস্ব অ্যান্টিজেন (শরীরের উপাদান) এবং ক্ষতিকর অ্যান্টিজেনের প্রতি প্রতিক্রিয়াশীল হতে বাধা দেয়। নোবেল কমিটি বলছে, এই তিনজন রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থার নিরাপত্তা প্রহরী রেগুলেটরি টি কোষকে চিহ্নিত করেছেন। ফলে গবেষণার একটি নতুন ক্ষেত্রের ভিত্তি স্থাপন করেছেন।
এই আবিষ্কার সম্ভাব্য চিকিৎসা পদ্ধতির বিকাশেও সহায়তা করেছে, যা বর্তমানে ক্লিনিকাল ট্রায়ালে মূল্যায়ন করা হচ্ছে। আশা করা হচ্ছে, এর মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয় রোগের চিকিৎসা বা নিরাময় সম্ভব হবে। এ ছাড়া এর মাধ্যমে আরও কার্যকর ক্যানসার চিকিৎসা প্রদান করা যাবে এবং স্টেম সেল প্রতিস্থাপনের পরে গুরুতর জটিলতা প্রতিরোধ করা যাবে।
প্রতিবছরের মতো এবারও মোট ছয়টি বিভাগে এই পুরস্কার দেওয়া হবে।
আজ সোমবার চিকিৎসা বিজ্ঞানে অবদানের জন্য নোবেল বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। মঙ্গলবার পদার্থবিদ্যায়, বুধবার রসায়নে, বৃহস্পতিবার সাহিত্যে, শুক্রবার শান্তিতে এবং আগামী সোমবার অর্থনীতিতে নোবেল বিজয়ীর নাম ঘোষণা করা হবে। ১০ ডিসেম্বরের বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হবে।
প্রতিটি পুরস্কারের সঙ্গে থাকবে ১১ মিলিয়ন সুইডিশ ক্রোনারের চেক, একটি মানপত্র এবং একটি স্বর্ণপদক।
ডিনামাইট উদ্ভাবক আলফ্রেড নোবেলের রেখে যাওয়া অর্থ থেকে প্রতিবছর নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়।
প্রকৃতিবার্তা ডেস্ক 



















