আত্নসংযম ও ইবাদতের মাস রমজান। দীর্ঘ সময় রোজা রাখার কারণে শরীরে বেশ কিছু পরিবর্তন আসে। বিশেষ করে গরমের দিনে রোজা রাখলে দীর্ঘ সময় পানাহার থেকে বিরত থাকার কারণে ক্লান্তিভাব অনুভূত হওয়া স্বাভাবিক। বিকেলের সময়টা রোজাদারদের জন্য অত্যন্ত কষ্টকর হয়ে পড়ে। চলুন জেনে নেয়া যাক রমজানে বিকেল হলেই এই নিস্তেজতার কারণ ও প্রতিকার।
পর্যাপ্ত ঘুমের অভাবঃ
রমজানে সেহেরি ও ইফতারের কারণে আমাদের ঘুমের রুটিনের ব্যপক পরিবর্তন হয়। অনেকেই পর্যাপ্ত ঘুমাতে পারেন না, তাই ঘুমের অভাবে বিকেল হলেই শরীরে ঘুম ঘুম ভাব চলে আসে।
পুষ্টিকর খাবারের অভাবঃ
রোজা থাকার কারণে দীর্ঘ সময় খাবার ও পানীয় থেকে বিরত থাকতে হয়। ফলে শরীরে পুষ্টির অভাব দেখা দিতে পারে। বিশেষ করে ভিটামিন, খনিজ, মিনারেল অন্যান্য উপাদানের অভাবে শরীরে ক্লান্তি দেখা দেয়।
পানিশূন্যতাঃ
রোজার দিনের শেষের দিকে শরীর অবসাদ হয়ে পড়ার আরো একটি কারণ হলো পানিশূন্যতা। এই ডিহাইড্রেশনের কারণেও ক্লান্তি, দূর্বলতা, মাথা ঘোরানো ইত্যাদি সমস্যা দেখা দেয়।
শারিরিক পরিশ্রমঃ
রোজা রেখেও আমাদের কে স্বাভাবিক কাজকর্ম চালিয়ে যেতে হয়। তাই অতিরিক্ত পরিশ্রমেও অনেক সময় শরীরে ঝিমুনি চলে আসে।
মানসিক চাপঃ
রমজানে আমদের রুটিনের পরিবর্তন, অতিরিক্ত কাজ, ইত্যাদি কারণে মানসিক চাপ পড়ে। এই মানসিক চাপের কারণেও অনেক সময় ক্লান্তিভাব হতে পারে।
কিছু শারিরিক সমস্যাঃ
যাদের উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিকস, রক্তশূন্যতার মতো শারিরিক সমস্যা আছে তাদের ও রোজার দিনে ক্লান্তি বা অবসাদ অনুভূব হতে পারে।
ক্লান্তি দূর করার উপায়ঃ
কিছু ব্যপার মনে চললে রোজার দিনেও সতেজ ও প্রাণবন্ত থাকা সম্ভব। রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়ুন এবং সেহেরির সময়ের আগে পরে কিছুটা বেশি ঘুমানোর চেষ্টা করুন। একই সাথে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টিকর খাবার যেমন ফাইবার, প্রোটিন ও শর্করা জাতীয় খাবার খান। ইফতার থেকে সেহেরি পর্যন্ত মিনিমাম ২-২.৫ লিটার পানি পান করুন। কিছুক্ষণ পর পরই পানি খাওয়ার অভ্যাস করুন। অতিরিক্ত শারিরিক পরিশ্রম অর্থাৎ ঘাম ঝরানো থেকে যথাসম্ভব বিরত থাকার চেষ্টা করুন। টেনশন করবেন না। হালকা ব্যায়াম, যোগ ব্যায়াম করার মাধ্যমে মানসিক প্রশান্তি লাভ করা সম্ভব। যদি অতিরিক্ত খারাপ লাগে সে ক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।