বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের (বীর উত্তম) ৮৯তম জন্মবার্ষিকী আজ। ১৯৩৬ সালের ১৯ জানুয়ারি বগুড়ার গাবতলীর বাগবাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। জিয়াউর রহমানের ডাকনাম ‘কমল’। ১৯৭৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর তিনি বিএনপি প্রতিষ্ঠা করেন।
জিয়াউর রহমানের পিতার নাম মনসুর রহমান। তিনি পেশায় ছিলেন একজন রসায়নবিদ। বগুড়া এবং কলকাতায় শৈশব ও কৈশোর অতিবাহিত করার পর জিয়াউর রহমান পিতার কর্মস্থল করাচিতে চলে যান। শিক্ষাজীবন শেষে ১৯৫৫ সালে তিনি পাকিস্তান মিলিটারি একাডেমিতে অফিসার হিসেবে কমিশন লাভ করেন। বর্ণাঢ্য কর্মজীবনের অধিকারী শহীদ জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের গণমানুষের কাছে বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের প্রবক্তা ও বহুদলীয় গণতন্ত্রের পুনঃপ্রতিষ্ঠাতা হিসেবে স্বীকৃত হয়েছেন।
দিবসটি উপলক্ষে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর পৃথক বিবৃতি দিয়েছেন।
কর্মসূচির মধ্যেপ্রথম প্রহরে (রাত ১২টা) ঢাকা মহানগর দক্ষিণ স্বেচ্ছাসেবক দলের উদ্যোগে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে শীতার্তদের মাঝে শীত বস্ত্র বিতরণ করা হয়। সকাল সাড়ে ৯টায় নেতারা শেরে বাংলা নগরের শহীদ জিয়ার কবরে দোয়া ও ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন।
এছাড়া বিকেল ৪টায় কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের জন্মস্থান বাগবাড়িতে শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ। এই কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি থাকবেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
পরদিন ২০ জানুয়ারি কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে মৌলভীবাজারের সদর থানার একাটুনা ইউনিয়নে শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হবে। এছাড়াও দিবসটি উপলক্ষ্যে দেশব্যাপী সব জেলা, মহানগর, উপজেলা, থানা, পৌর ও ইউনিয়ন পর্যায়ে আলোচনা সভা, দোয়া মাহফিল, শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র ও দুস্থদের মাঝে খাদ্য বিতরণের কর্মসূচি পালন করবে বিএনপি।
দিনটি উপলক্ষে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বাণীতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ দর্শনের প্রবক্তা ক্ষণজন্মা রাষ্ট্রনায়ক শহীদ জিয়াউর রহমান বীর উত্তমের ৮৯তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে তার প্রতি জানাই গভীর শ্রদ্ধা। তার আত্মার মাগফিরাত কামনা করি।
জীবদ্দশায় দেশের সব ক্রান্তিকাল উত্তরণে শহীদ জিয়া জাতির দিশারি ছিলেন উল্লেখ করে ফখরুল বলেন, ‘১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পাকিস্তান সামরিক বাহিনী বাংলাদেশের জনগণের ওপর আক্রমণ করার পর তিনি সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। জিয়াউর রহমান ২৬ মার্চ চট্টগ্রাম কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন মুক্তিযদ্ধে। সেদিন থেকেই দেশবাসী তার অসাধারণ নেতৃত্বের পরিচয় পায়।’