শান্তিতে নোবেল পুরস্কারের জন্য ট্রাম্পের নাম প্রস্তাব করবে পাকিস্তান   

শান্তিতে নোবেল পুরস্কারের জন্য ট্রাম্পের নাম প্রস্তাব করবে পাকিস্তান   

২০২৬ সালের নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নাম প্রস্তাব করবে বলে জানিয়েছে পাকিস্তান সরকার।

 

গত মাসে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধবিরতির মধ্যস্থতায় সহায়তার ক্ষেত্রে তার ভূমিকার জন্য এ পরিকল্পনার কথা জানিয়েছে ইসলামাবাদ।

 

সামাজিক মাধ্যম এক্স-এ দেওয়া এক পোস্টে পাকিস্তান সরকার বলেছে, “সাম্প্রতিক ভারত-পাকিস্তান সংকটের সময় গুরুত্বপূর্ণ নেতৃত্ব আর সিদ্ধান্তমূলক কূটনৈতিক হস্তক্ষেপের স্বীকৃতিস্বরুপ ট্রাম্পের এই পুরস্কার প্রাপ্য।”

 

ইসলামাবাদ থেকে সরকারের অফিসিয়াল এক্স (সাবেক টুইটার) অ্যাকাউন্টে প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ট্রাম্পের ‘দূরদর্শী কূটনৈতিক তৎপরতা ও গুরুত্বপূর্ণ নেতৃত্ব’ দুই পারমাণবিক শক্তিধর দেশের মধ্যে চরম উত্তেজনা প্রশমিত করতে সহায়তা করেছে। সম্ভাব্য যুদ্ধের আশঙ্কা দূর করে লাখো মানুষের জীবন রক্ষার পথ সুগম হয়েছে বলেও দাবি করা হয়েছে।

 

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘সংকটকালে ইসলামাবাদ ও নয়াদিল্লির সঙ্গে সরাসরি সংলাপে জড়িয়ে ট্রাম্প যে কৌশলগত দূরদৃষ্টি ও বিচক্ষণ রাষ্ট্রনায়কত্ব দেখিয়েছেন, তা সত্যিই বিরল। তার প্রচেষ্টায় যুদ্ধবিরতি সম্ভব হয়েছে, যা এক ভয়াবহ সংঘাতকে রুখে দিয়েছে।’

 

পাকিস্তান এই উত্তেজনার নাম দিয়েছে ‘২০২৫ ভারত-পাকিস্তান সংকট’। ইসলামাবাদের ভাষায়, ভারতের ‘উসকানিমূলক ও বেআইনি আগ্রাসন’ পাকিস্তানের সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন করে এবং এতে ব্যাপক বেসামরিক হতাহত হয়। এর প্রতিক্রিয়ায় পাকিস্তান ‘অপারেশন বুনিয়ান-উন-মারসুস’ চালায়, যা সরকারের ভাষায় ‘পরিমিত ও নিখুঁত সামরিক প্রতিরোধ’, যাতে বেসামরিক ক্ষয়ক্ষতি সীমিত রাখা হয়।

 

পরিস্থিতি যখন দ্রুত উত্তপ্ত হচ্ছিল, তখন ট্রাম্পের গোপন কূটনৈতিক যোগাযোগই জট খুলে দেয় বলে দাবি করেছে পাকিস্তান সরকার।

 

বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ‘এই হস্তক্ষেপ প্রমাণ করে, ট্রাম্প সত্যিকারের শান্তির দূত হিসেবে কাজ করেছেন এবং কথোপকথনের মাধ্যমে সমস্যার সমাধানে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’

 

কাশ্মীর ইস্যুতে ট্রাম্পের পূর্ব ও বর্তমান মধ্যস্থতার প্রস্তাবেরও প্রশংসা করেছে ইসলামাবাদ। তারা বলেছে, তার প্রচেষ্টা দক্ষিণ এশিয়ায় স্থায়ী শান্তির জন্য আন্তরিক অঙ্গীকারের প্রতিফলন। সরকার আবারও বলেছে, জাতিসংঘের প্রস্তাবনা অনুযায়ী কাশ্মীর সমস্যা সমাধান ছাড়া এই অঞ্চলে প্রকৃত শান্তি সম্ভব নয়।

 

বিবৃতিটি এমন এক সময় প্রকাশিত হলো, যখন ট্রাম্প সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপে দাবি করেছেন, ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ থামানোর জন্য তিনি নোবেল পাওয়ার যোগ্য। তবে নোবেল শুধু ‘লিবারেলদের’ দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি।

 

ট্রাম্প বলেন, ‘পাকিস্তান-ভারত যুদ্ধ থামানোর জন্য আমার নোবেল পুরস্কার পাওয়া উচিত ছিল। রুয়ান্ডা, কঙ্গো, সার্বিয়া, কসোভো—অনেক উদাহরণ আছে। সবচেয়ে বড় উদাহরণ ভারত-পাকিস্তান। অন্তত চার-পাঁচবার আমার নোবেল পাওয়া উচিত ছিল। কিন্তু ওরা লিবারেলদেরই দেয়, আমাকে কখনো দেবে না।’

আপলোডকারীর তথ্য

Shuvo

শান্তিতে নোবেল পুরস্কারের জন্য ট্রাম্পের নাম প্রস্তাব করবে পাকিস্তান   

আপডেট সময় ০১:৪৪:১৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ জুন ২০২৫

২০২৬ সালের নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নাম প্রস্তাব করবে বলে জানিয়েছে পাকিস্তান সরকার।

 

গত মাসে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধবিরতির মধ্যস্থতায় সহায়তার ক্ষেত্রে তার ভূমিকার জন্য এ পরিকল্পনার কথা জানিয়েছে ইসলামাবাদ।

 

সামাজিক মাধ্যম এক্স-এ দেওয়া এক পোস্টে পাকিস্তান সরকার বলেছে, “সাম্প্রতিক ভারত-পাকিস্তান সংকটের সময় গুরুত্বপূর্ণ নেতৃত্ব আর সিদ্ধান্তমূলক কূটনৈতিক হস্তক্ষেপের স্বীকৃতিস্বরুপ ট্রাম্পের এই পুরস্কার প্রাপ্য।”

 

ইসলামাবাদ থেকে সরকারের অফিসিয়াল এক্স (সাবেক টুইটার) অ্যাকাউন্টে প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ট্রাম্পের ‘দূরদর্শী কূটনৈতিক তৎপরতা ও গুরুত্বপূর্ণ নেতৃত্ব’ দুই পারমাণবিক শক্তিধর দেশের মধ্যে চরম উত্তেজনা প্রশমিত করতে সহায়তা করেছে। সম্ভাব্য যুদ্ধের আশঙ্কা দূর করে লাখো মানুষের জীবন রক্ষার পথ সুগম হয়েছে বলেও দাবি করা হয়েছে।

 

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘সংকটকালে ইসলামাবাদ ও নয়াদিল্লির সঙ্গে সরাসরি সংলাপে জড়িয়ে ট্রাম্প যে কৌশলগত দূরদৃষ্টি ও বিচক্ষণ রাষ্ট্রনায়কত্ব দেখিয়েছেন, তা সত্যিই বিরল। তার প্রচেষ্টায় যুদ্ধবিরতি সম্ভব হয়েছে, যা এক ভয়াবহ সংঘাতকে রুখে দিয়েছে।’

 

পাকিস্তান এই উত্তেজনার নাম দিয়েছে ‘২০২৫ ভারত-পাকিস্তান সংকট’। ইসলামাবাদের ভাষায়, ভারতের ‘উসকানিমূলক ও বেআইনি আগ্রাসন’ পাকিস্তানের সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন করে এবং এতে ব্যাপক বেসামরিক হতাহত হয়। এর প্রতিক্রিয়ায় পাকিস্তান ‘অপারেশন বুনিয়ান-উন-মারসুস’ চালায়, যা সরকারের ভাষায় ‘পরিমিত ও নিখুঁত সামরিক প্রতিরোধ’, যাতে বেসামরিক ক্ষয়ক্ষতি সীমিত রাখা হয়।

 

পরিস্থিতি যখন দ্রুত উত্তপ্ত হচ্ছিল, তখন ট্রাম্পের গোপন কূটনৈতিক যোগাযোগই জট খুলে দেয় বলে দাবি করেছে পাকিস্তান সরকার।

 

বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ‘এই হস্তক্ষেপ প্রমাণ করে, ট্রাম্প সত্যিকারের শান্তির দূত হিসেবে কাজ করেছেন এবং কথোপকথনের মাধ্যমে সমস্যার সমাধানে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’

 

কাশ্মীর ইস্যুতে ট্রাম্পের পূর্ব ও বর্তমান মধ্যস্থতার প্রস্তাবেরও প্রশংসা করেছে ইসলামাবাদ। তারা বলেছে, তার প্রচেষ্টা দক্ষিণ এশিয়ায় স্থায়ী শান্তির জন্য আন্তরিক অঙ্গীকারের প্রতিফলন। সরকার আবারও বলেছে, জাতিসংঘের প্রস্তাবনা অনুযায়ী কাশ্মীর সমস্যা সমাধান ছাড়া এই অঞ্চলে প্রকৃত শান্তি সম্ভব নয়।

 

বিবৃতিটি এমন এক সময় প্রকাশিত হলো, যখন ট্রাম্প সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপে দাবি করেছেন, ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ থামানোর জন্য তিনি নোবেল পাওয়ার যোগ্য। তবে নোবেল শুধু ‘লিবারেলদের’ দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি।

 

ট্রাম্প বলেন, ‘পাকিস্তান-ভারত যুদ্ধ থামানোর জন্য আমার নোবেল পুরস্কার পাওয়া উচিত ছিল। রুয়ান্ডা, কঙ্গো, সার্বিয়া, কসোভো—অনেক উদাহরণ আছে। সবচেয়ে বড় উদাহরণ ভারত-পাকিস্তান। অন্তত চার-পাঁচবার আমার নোবেল পাওয়া উচিত ছিল। কিন্তু ওরা লিবারেলদেরই দেয়, আমাকে কখনো দেবে না।’