চলতি বছর শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন ভেনেজুয়েলার মারিয়া কোরিনা মাচাদো। শুক্রবার (১০ অক্টোবর) বাংলাদেশ সময় দুপুর ৩টায় শান্তিতে নোবেল বিজয়ীর নাম ঘোষণা করা হয়।
ভেনেজুয়েলার জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় তার নিরলস প্রচেষ্টার জন্য এই পুরস্কার দেওয়ার কথা জানিয়েছে নরওয়েজিয়ান নোবেল কমিটি।
মাচাদোর নোবেল প্রাপ্তি নিয়ে এক বিবৃতিতে নোবেল কমিটি বলেছে, ‘২০২৫ সালের শান্তি পুরস্কার যাচ্ছে এক সাহসী ও নিবেদিতপ্রাণ শান্তির নেত্রীর কাছে। তিনি এমন এক নারী, যিনি ক্রমবর্ধমান অন্ধকারের মধ্যেও গণতন্ত্রের শিখা জ্বালিয়ে রেখেছেন।’
কমিটি আরও বলেছে, ‘ভেনেজুয়েলার ডেমোক্র্যাটিক ফোর্সেসের নেতা হিসেবে মারিয়া কোরিনা মাচাদো লাতিন আমেরিকার নাগরিক সাহসিকতার অন্যতম অসাধারণ উদাহরণ।’

প্রায় দুই দশক আগে ‘সুমাতে’ নামের একটি গণতান্ত্রিক উন্নয়নকেন্দ্রিক সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে মাচাদো স্বাধীন ও সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবি নিয়ে কাজ শুরু করেন। তিনি অস্ত্র নয়, ব্যালটের মাধ্যমে পরিবর্তনের পথ বেছে নিয়েছিলেন।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, এরপর থেকে মাচাদো ধারাবাহিকভাবে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা, মানবাধিকার ও জনগণের প্রতিনিধিত্বের পক্ষে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করে চলেছেন।
২০২৪ সালের নির্বাচনের আগে, তিনি বিরোধীদলীয় জোটের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ছিলেন, কিন্তু স্বৈরশাসন তার প্রার্থিতা বাতিল করে দেয়। পরে অন্য দলের প্রার্থী এডমুন্ডো গনজালেজ উরুতিয়াকে সমর্থন জানান তিনি।
তার নেতৃত্বে শত-সহস্র স্বেচ্ছাসেবক রাজনৈতিক বিভাজন পেরিয়ে একত্রিত হন এবং স্বচ্ছ ভোটগ্রহণ নিশ্চিত করতে নির্বাচন পর্যবেক্ষক হিসেবে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। যদিও এই কাজে গ্রেপ্তার, নির্যাতন ও নিপীড়নের ঝুঁকি ছিল।
নোবেল কমিটি মাচাদোর আন্দোলনকে নাগরিক সাহস, শান্তিপূর্ণ প্রতিরোধ এবং গণতান্ত্রিক দৃঢ়তার এক অনন্য দৃষ্টান্ত হিসেবে উল্লেখ করেছে।
এ বছর নোবেল পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন দেওয়া হয় ৩৩৮ জনকে। যারমধ্যে ২৪৪ জন হলেন ব্যক্তি। আর বাকি ৯৪টি মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে প্রতিষ্ঠান বা সংগঠনকে।
পুরস্কারের অর্থমূল্য ১১ মিলিয়ন সুইডিশ ক্রোনা (প্রায় ১.২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার)। পুরস্কার আনুষ্ঠানিকভাবে প্রদান করা হবে ১০ ডিসেম্বর, আলফ্রেড নোবেলের মৃত্যুবার্ষিকীতে, নরওয়ের রাজধানী ওসলোতে।
প্রকৃতিবার্তা ডেস্ক 



















