প্রকৃতি ও জীবন ক্লাব এবং স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রের শীতবস্ত্র বিতরণ ও মেডিকেল ক্যাম্প

শীতবস্ত্র নিতে ফেলে যাওয়া ভিটেয় তিন চরের মানুষ (ছবিগল্প)

  • নাসিমুল শুভ
  • আপডেট সময় ০৭:০০:৪৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪
  • 81

শীতবস্ত্র নিতে ফেলে যাওয়া ভিটেয় তিন চরের মানুষ  

একসময় মোগলহাটে ছিল স্থলবন্দর ও ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট, কিছু দূরেই ভারত। ১৯৮৮ সালের প্রলয়ঙ্কারী বন্যায় ও ধরলা নদীর ভাঙনে একটি রেলওয়ে সেতু ক্ষতিগ্রস্ত এবং এক কিলোমিটার সংযোগ-সড়ক নদীগর্ভে বিলীন হলে বন্দরটি বন্ধ হয়ে যায়। এখনো সময়ের সাক্ষী হয়ে আছে রেল স্টেশনের লাল দালান, রেললাইন-সংযোগ সড়কের শেষ মাথা গিয়েছে একেবারে ধরলা নদীর ভাঙা পাড় পর্যন্ত।

এখান থেকেই সকালের শিশির ভেজা ঘাস-বালু পেরিয়ে প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশনের উষ্ণতার নৌকা ছাড়লো, গন্তব্য চর ফলিমারি, উদ্দেশ্য দুঃস্থ ও শীতার্ত চরবাসীর মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ এবং তাদের স্বাস্থ্যসেবায় এক দিনের মেডিকেল ক্যাম্প।

শীতের ধরলা শান্ত, স্ফটিক-স্বচ্ছ পানি আর ঝকঝকে বালুচর, নানাজাতের পাখিও চোখে পড়ছিল। ফেসবুকে ‘নেটওয়ার্কের বাইরে যাই’ বলে বিচ্ছিন্নতা-বিলাসে বের হওয়া শহরবাসীর কাছে এসব দৃশ্য আসলেই উপভোগ্য হওয়ার কথা, প্রকৃতি এখানে খুবই প্রশান্তিকর।

কিন্তু ফলিমারির মতো বিচ্ছিন্ন জনপদের মানুষের প্রতিদিনকার জীবনে এই বিচ্ছিন্নতা-বিলাসের চেয়ে বরং রূঢ় বাস্তবতা। উত্তরে বইতে শুরু করেছে হিমেল হাওয়া, ফলিমারি চরে রাতে অনুভূত হচ্ছে কনকনে ঠাণ্ডা, থাকছে সকাল পর্যন্ত। নদী ভাঙনে একসময়ের জমজমাট ফলিমারির চরে এখন ১০-১২ ঘর মানুষ। বাকী সবাই গত দুই বছরের বন্যায় ঘরবাড়ি হারিয়ে অথবা হারানোর ভয়ে আশপাশের আরও দুই চরে বাড়িঘর সরিয়ে নিয়েছেন। যেন নিজের এলাকায় নিজেই উদ্বাস্তু!

দুঃস্থ ও ন্যূনতম স্বাস্থ্য সেবাবঞ্চিত ফলিমারি চরবাসীর কাছে পৌঁছে গেল ৫০০ পিস কম্বল, একদিনের জন্য চিকিৎসক ও মেডিকেল টিম। ঢাকা থেকে শীতবস্ত্র আসবে, ডাক্তার আসবে এই খবর আগেই পৌঁছে গিয়েছিল তিন চরে ভাগ হয়ে থাকা চর ফলিমারির বর্তমান-সাবেক বাসিন্দাদের কাছে। সকাল তখন ১০টা, ভাঙন থেকে রক্ষা পাওয়া স্মৃতি রায় ক্রিস্টাল স্কাউট প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছোট আঙিনায় শুরু হলো উষ্ণতা এবং স্বাস্থ্যসেবা দেওয়ার দিনব্যাপী কর্মযজ্ঞ। স্কুলের বারান্দায় বসলো মেডিকেল ক্যাম্প পাশেই স্তুপ করে রাখা হলো ১০ বস্তা কম্বল।

ভাঙনে এক সময়ের বিশাল ফলিমারি চরটিকে এখন দেখে মনে হয় আপাতত শান্ত ধরলার বুকে একটা ছোট্ট দ্বীপ। এখানেই মোগলহাট থেকে নৌকায় পাড়ি দিয়ে ধূধূ বালুচর দিয়ে হেটে সাঁকো দিয়ে দলবেঁধে আসলেন একসময়ে ফলিমারিতে থাকা বাসিন্দারা।

চরের আরেক দিকে ভারতের কাছাকাছি থাকা উসমান তাঁতির চর থেকে খেয়া নৌকায় ধরলার আরেক ক্ষীণধারা পেরিয়ে আসলেন দুঃস্থ মানুষেরা। ধরলার ধারে সব হারিয়ে ফলিমারির ৮০-৮৫ পরিবার মাথা গুঁজেছে উসমান তাঁতির চরে।

চিকিৎসা সেবা এবং শীতবস্ত্র নিতে লাইনে দাঁড়িয়েছেন বৃদ্ধ আকবর হোসেন, তিনি ফলিমারির একমাত্র মসজিদটির মুয়াজ্জিন। সব রকম সুবিধাবঞ্চিত ফলিমারিবাসীর হয়ে তিনি বলেন, ‘এই যে টিনের ঘর মাইক-খাটিয়া রাখা দেখতাছেন এইটা ফলিমারির মসজিদ, আমি এই মসজিদের মুয়াজ্জিন। আমার বাড়ি ফলিমারি, যেটা নদী ভাঙিয়া ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন হয়া গেছে। আজকে এখানে বিনামূল্যে চিকিৎসা পালাম, ওষুধপাতি পালাম এখন কম্বল পাচ্ছি,আমরা এই নিয়া খুব খুশি, দোয়া করি যেন আপনাদের এমন কাজ আরও ভাল হয়।’

উসমান তাতির চর থেকে শিশুসন্তানকে নিয়ে লাইনে দাঁড়িয়ে অনেকটা নির্বিঘ্নেই শীতবস্ত্র পেলেন নছিমন নাহার।

হাসিমুখে সদ্য হাতে পাওয়া লাল কম্বলটি নেড়েচেড়ে দেখছিলেন দিনমণি রাণী। প্রকৃতিবার্তাকে তিনি বলেন, ‘পৌষ মাসে দিনে তাও থাকার পারি, আতের (রাতের) জারে পাউ হিম হয়ি আসে, তুমরা কম্বল দিলা পাওত জড়ালে ওম (উষ্ণতা) পাবো।’ কম্বল পেয়ে বেজায় খুশি বলে জানালেন উসমান তাঁতির চরের বৃদ্ধ রহমত শেখ।

হেকমত মোল্লা বিনামূল্যের ওষুধগুলোর ব্যাগ হাতে আর লাল কম্বলটা বগলে চেপে হাসিমুখে রওনা দিয়েছেন মোগলহাটের দিকে। বললেন, ‘সরকার আসে যায়, হামার চরের মাইনষের খোঁজ কেউ নেয় না। হামার কোমর ব্যথা, কয়দিন ধরে কাশি, ওষুধ দিলো ডাক্তার। আর এই কম্বলটা পালাম, সকাল সকাল লাইনে দাঁড়ায় কাম হইছে।’

লালমনিরহাটের এই চরে গত ২৮ ডিসেম্বর দিনব্যাপী চলে মেডিকেল ক্যাম্প ও শীতবস্ত্র বিতরণ। মেডিকেল টিমের কর্মীরা বলেন, ‘প্রকৃতি ও জীবনের স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্র দেড় যুগের বেশি সময় ধরে চরাঞ্চলের অসহায়-দুঃস্থ মানুষের জন্য কাজ করছি। আমরা দুর্গম চরে গিয়ে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা, ওষুধ এবং শীত নিবারণে শীতবস্ত্র দেই। আজকে ফলিমারি চরে কয়েকশ মানুষকে ন্যূনতম স্বাস্থ্যসেবা এবং বিনামূল্যে ওষুধ দিলাম। ৫০০ কম্বল বিতরণ করা হলো। মানবতার জন্য কষ্ট করে এসেও চরবাসীর মুখের হাসি দেখে আমরাও ভীষণ আনন্দিত।’

এভাবে প্রতিবছরই শীতে দেশের দুর্গম অঞ্চলগুলোর সুবিধাবঞ্চিত মানুষের কাছে সাধ্যমতো উষ্ণতা নিয়ে হাজির হয় প্রকৃতি ও জীবন ক্লাব। আর বছরজুড়েই দেশের প্রান্তিক জনপদের মানুষের জন্য নূন্যতম স্বাস্থ্যসেবা দিতে কাজ করছে প্রকৃতি ও জীবন স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র। ধরলার ধারে ক্ষয়িষ্ণু ফলিমারি চরের সুবিধাবঞ্চিত মানুষদের জন্য সরকারি-বেসরকারি অন্যান্য সংস্থাগুলোকেও এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন আয়োজকরা।

আপলোডকারীর তথ্য

Shuvo

চবি’র কলোনি থেকে ৯ ফুট লম্বা অজগর উদ্ধার  

প্রকৃতি ও জীবন ক্লাব এবং স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রের শীতবস্ত্র বিতরণ ও মেডিকেল ক্যাম্প

শীতবস্ত্র নিতে ফেলে যাওয়া ভিটেয় তিন চরের মানুষ (ছবিগল্প)

আপডেট সময় ০৭:০০:৪৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪

একসময় মোগলহাটে ছিল স্থলবন্দর ও ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট, কিছু দূরেই ভারত। ১৯৮৮ সালের প্রলয়ঙ্কারী বন্যায় ও ধরলা নদীর ভাঙনে একটি রেলওয়ে সেতু ক্ষতিগ্রস্ত এবং এক কিলোমিটার সংযোগ-সড়ক নদীগর্ভে বিলীন হলে বন্দরটি বন্ধ হয়ে যায়। এখনো সময়ের সাক্ষী হয়ে আছে রেল স্টেশনের লাল দালান, রেললাইন-সংযোগ সড়কের শেষ মাথা গিয়েছে একেবারে ধরলা নদীর ভাঙা পাড় পর্যন্ত।

এখান থেকেই সকালের শিশির ভেজা ঘাস-বালু পেরিয়ে প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশনের উষ্ণতার নৌকা ছাড়লো, গন্তব্য চর ফলিমারি, উদ্দেশ্য দুঃস্থ ও শীতার্ত চরবাসীর মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ এবং তাদের স্বাস্থ্যসেবায় এক দিনের মেডিকেল ক্যাম্প।

শীতের ধরলা শান্ত, স্ফটিক-স্বচ্ছ পানি আর ঝকঝকে বালুচর, নানাজাতের পাখিও চোখে পড়ছিল। ফেসবুকে ‘নেটওয়ার্কের বাইরে যাই’ বলে বিচ্ছিন্নতা-বিলাসে বের হওয়া শহরবাসীর কাছে এসব দৃশ্য আসলেই উপভোগ্য হওয়ার কথা, প্রকৃতি এখানে খুবই প্রশান্তিকর।

কিন্তু ফলিমারির মতো বিচ্ছিন্ন জনপদের মানুষের প্রতিদিনকার জীবনে এই বিচ্ছিন্নতা-বিলাসের চেয়ে বরং রূঢ় বাস্তবতা। উত্তরে বইতে শুরু করেছে হিমেল হাওয়া, ফলিমারি চরে রাতে অনুভূত হচ্ছে কনকনে ঠাণ্ডা, থাকছে সকাল পর্যন্ত। নদী ভাঙনে একসময়ের জমজমাট ফলিমারির চরে এখন ১০-১২ ঘর মানুষ। বাকী সবাই গত দুই বছরের বন্যায় ঘরবাড়ি হারিয়ে অথবা হারানোর ভয়ে আশপাশের আরও দুই চরে বাড়িঘর সরিয়ে নিয়েছেন। যেন নিজের এলাকায় নিজেই উদ্বাস্তু!

দুঃস্থ ও ন্যূনতম স্বাস্থ্য সেবাবঞ্চিত ফলিমারি চরবাসীর কাছে পৌঁছে গেল ৫০০ পিস কম্বল, একদিনের জন্য চিকিৎসক ও মেডিকেল টিম। ঢাকা থেকে শীতবস্ত্র আসবে, ডাক্তার আসবে এই খবর আগেই পৌঁছে গিয়েছিল তিন চরে ভাগ হয়ে থাকা চর ফলিমারির বর্তমান-সাবেক বাসিন্দাদের কাছে। সকাল তখন ১০টা, ভাঙন থেকে রক্ষা পাওয়া স্মৃতি রায় ক্রিস্টাল স্কাউট প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছোট আঙিনায় শুরু হলো উষ্ণতা এবং স্বাস্থ্যসেবা দেওয়ার দিনব্যাপী কর্মযজ্ঞ। স্কুলের বারান্দায় বসলো মেডিকেল ক্যাম্প পাশেই স্তুপ করে রাখা হলো ১০ বস্তা কম্বল।

ভাঙনে এক সময়ের বিশাল ফলিমারি চরটিকে এখন দেখে মনে হয় আপাতত শান্ত ধরলার বুকে একটা ছোট্ট দ্বীপ। এখানেই মোগলহাট থেকে নৌকায় পাড়ি দিয়ে ধূধূ বালুচর দিয়ে হেটে সাঁকো দিয়ে দলবেঁধে আসলেন একসময়ে ফলিমারিতে থাকা বাসিন্দারা।

চরের আরেক দিকে ভারতের কাছাকাছি থাকা উসমান তাঁতির চর থেকে খেয়া নৌকায় ধরলার আরেক ক্ষীণধারা পেরিয়ে আসলেন দুঃস্থ মানুষেরা। ধরলার ধারে সব হারিয়ে ফলিমারির ৮০-৮৫ পরিবার মাথা গুঁজেছে উসমান তাঁতির চরে।

চিকিৎসা সেবা এবং শীতবস্ত্র নিতে লাইনে দাঁড়িয়েছেন বৃদ্ধ আকবর হোসেন, তিনি ফলিমারির একমাত্র মসজিদটির মুয়াজ্জিন। সব রকম সুবিধাবঞ্চিত ফলিমারিবাসীর হয়ে তিনি বলেন, ‘এই যে টিনের ঘর মাইক-খাটিয়া রাখা দেখতাছেন এইটা ফলিমারির মসজিদ, আমি এই মসজিদের মুয়াজ্জিন। আমার বাড়ি ফলিমারি, যেটা নদী ভাঙিয়া ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন হয়া গেছে। আজকে এখানে বিনামূল্যে চিকিৎসা পালাম, ওষুধপাতি পালাম এখন কম্বল পাচ্ছি,আমরা এই নিয়া খুব খুশি, দোয়া করি যেন আপনাদের এমন কাজ আরও ভাল হয়।’

উসমান তাতির চর থেকে শিশুসন্তানকে নিয়ে লাইনে দাঁড়িয়ে অনেকটা নির্বিঘ্নেই শীতবস্ত্র পেলেন নছিমন নাহার।

হাসিমুখে সদ্য হাতে পাওয়া লাল কম্বলটি নেড়েচেড়ে দেখছিলেন দিনমণি রাণী। প্রকৃতিবার্তাকে তিনি বলেন, ‘পৌষ মাসে দিনে তাও থাকার পারি, আতের (রাতের) জারে পাউ হিম হয়ি আসে, তুমরা কম্বল দিলা পাওত জড়ালে ওম (উষ্ণতা) পাবো।’ কম্বল পেয়ে বেজায় খুশি বলে জানালেন উসমান তাঁতির চরের বৃদ্ধ রহমত শেখ।

হেকমত মোল্লা বিনামূল্যের ওষুধগুলোর ব্যাগ হাতে আর লাল কম্বলটা বগলে চেপে হাসিমুখে রওনা দিয়েছেন মোগলহাটের দিকে। বললেন, ‘সরকার আসে যায়, হামার চরের মাইনষের খোঁজ কেউ নেয় না। হামার কোমর ব্যথা, কয়দিন ধরে কাশি, ওষুধ দিলো ডাক্তার। আর এই কম্বলটা পালাম, সকাল সকাল লাইনে দাঁড়ায় কাম হইছে।’

লালমনিরহাটের এই চরে গত ২৮ ডিসেম্বর দিনব্যাপী চলে মেডিকেল ক্যাম্প ও শীতবস্ত্র বিতরণ। মেডিকেল টিমের কর্মীরা বলেন, ‘প্রকৃতি ও জীবনের স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্র দেড় যুগের বেশি সময় ধরে চরাঞ্চলের অসহায়-দুঃস্থ মানুষের জন্য কাজ করছি। আমরা দুর্গম চরে গিয়ে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা, ওষুধ এবং শীত নিবারণে শীতবস্ত্র দেই। আজকে ফলিমারি চরে কয়েকশ মানুষকে ন্যূনতম স্বাস্থ্যসেবা এবং বিনামূল্যে ওষুধ দিলাম। ৫০০ কম্বল বিতরণ করা হলো। মানবতার জন্য কষ্ট করে এসেও চরবাসীর মুখের হাসি দেখে আমরাও ভীষণ আনন্দিত।’

এভাবে প্রতিবছরই শীতে দেশের দুর্গম অঞ্চলগুলোর সুবিধাবঞ্চিত মানুষের কাছে সাধ্যমতো উষ্ণতা নিয়ে হাজির হয় প্রকৃতি ও জীবন ক্লাব। আর বছরজুড়েই দেশের প্রান্তিক জনপদের মানুষের জন্য নূন্যতম স্বাস্থ্যসেবা দিতে কাজ করছে প্রকৃতি ও জীবন স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র। ধরলার ধারে ক্ষয়িষ্ণু ফলিমারি চরের সুবিধাবঞ্চিত মানুষদের জন্য সরকারি-বেসরকারি অন্যান্য সংস্থাগুলোকেও এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন আয়োজকরা।