রাজনৈতিক-অর্থনৈতিকভাবে বিপর্যস্থ শ্রীলংকা আবার এক বিপর্যয়ের কারণে বিশ্বজুড়ে খবর হলো। স্থানীয় সময় রবিবার হুট করে পুরো শ্রীলংকায় বিদ্যুৎ চলে যায়, অন্ধকারে নিমজ্জিত হয় দ্বীপদেশটি। আকস্মিক এই বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের কারণ হিসেবে বানরকে দায়ী করেছে লংকা সরকার।
শ্রীলঙ্কার একটি বিদ্যুৎ গ্রিডে বানরের অনুপ্রবেশের কারণে এই সমস্যার সূত্রপাত বলে জানিয়েছেন দেশটির জ্বালানিমন্ত্রী কুমারা জায়াকোদি। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘বিদ্যুৎ সরবরাহের ট্রান্সফরমারের সংস্পর্শে আসে একটি বানর। এতে করে বিদ্যুৎ সরবরাহব্যবস্থা ভারসাম্যহীন হয়ে পড়ে। এ ঘটনার পর প্রকৌশলীরা বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক করতে কাজ করেন।’

ঘটনার ৩ ঘণ্টা পর আস্তে আস্তে পুরো শ্রীলংকায় বিদ্যুৎ ফিরতে শুরু করে। তবে বানরের উপর দায় চাপালেও সমালোচনা হচ্ছে দেশটির দুর্বল বিদ্যুৎ ব্যবস্থা-অবকাঠামো নিয়ে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বানরের চেয়ে রাষ্ট্রীয় অদক্ষতা-অবহেলা নিয়েই ব্যাপক সমালোচনা চলছে।
একজন এক্সে লিখেছেন, একটি মাত্র দুর্বৃত্ত বানর কলম্বোর একটি সাবস্টেশন অকার্যকর করে পুরো শ্রীলংকার গ্রিডে বিপর্যয় ঘটিয়ে দিলো! একটি বানর = ব্যাপক বিশৃঙ্খলা। অবকাঠামো পুনর্বিবেচনার সময় হলো?
কেউ কেউ পরিস্থিতির সাথে পৌরাণিক রামায়ণের কাহিনী থেকে রসিকতা করে কার্টুনও প্রচার করেছে। তাতে ওই বানরকে রামায়ণের মহাশক্তিধর হনুমানের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে, এই হনুমানই রাবণের লংকায় আগুন দিয়েছিল।
স্থানীয় সংবাদপত্র ডেইলি মিরর-এর প্রধান সম্পাদক জামিলা হুসেন এক্সে লিখেছেন, “শুধুমাত্র শ্রীলঙ্কায় বানরের দল একটি পাওয়ার স্টেশনের ভিতরে লড়াই করে দ্বীপব্যাপী বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণ হতে পারে।”
সোমবার প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে, সংবাদপত্রটি বলেছে যে প্রকৌশলীরা পাওয়ার গ্রিড আপগ্রেড করতে বা ঘন ঘন ব্ল্যাকআউটের মুখোমুখি হওয়ার জন্য কয়েক বছর ধরে সরকারগুলোকে সতর্ক করে আসছেন।