আবুধাবিতে আইইউসিএন ওয়ার্ল্ড কনজারভেশন কংগ্রেসের তৃতীয় দিনে সমুদ্র রক্ষায় আন্তর্জাতিক প্রতিশ্রুতি পূরণে জোর দেওয়া হয়েছে। সুনীল অর্থনীতির টেকসই ব্যবহার ও ব্যবস্থাপনায় আলোচনায় উঠে আসে, পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি, উদ্ভাবন ও বিনিয়োগের প্রয়োজনীয়তাও। সংকট উত্তোরণে স্থানীয় জনগোষ্ঠী, নারী ও তরুণদের সম্পৃক্তকরণসহ সব পক্ষের সমন্বিত পদক্ষেপের আহ্বান পরিবেশবাদীদের।
পৃথিবীর মোট আয়তনের ৭০ শতাংশই সমুদ্র। আর এই সমুদ্রকে ঘিরেই আবর্তিত হয়, ৯৫ শতাংশ বৈশ্বিক বাণিজ্য। কর্মসংস্থান থেকে শুরু করে বিশ্বের প্রায় ৩শ’ কোটি মানুষের খাদ্যের যোগানও আসে এই সমুদ্র থেকে। তবে জলবায়ু পরিবর্তন, দূষণ, অবাধ মৎস্য শিকারসহ ধ্বংসাত্মক কর্মকান্ডে ভয়াবহ সংকটে সামুদ্রিক বাস্তুতন্ত্র।

২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বের ৩০ শতাংশ সমুদ্র সংরক্ষিত করা কোনো স্বপ্ন নয়, বরং এখন এটি টিকে থাকার শর্ত। সমুদ্র রক্ষা মানে শুধু পরিবেশ সংরক্ষণ নয়, এটি অর্থনীতি, জনজীবন আর ভবিষ্যৎ প্রজন্মের অস্তিত্ব রক্ষার লড়াই।
সমুদ্র চুক্তি ও বৈশ্বিক অংশীদারিত্ব শুধু আলোচনার টেবিলে নয়, মাঠ পর্যায়ে যথাযথ বাস্তবায়নে গুরুত্বারোপ করেন পরিবেশবাদীরা।

প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মুকিত মজুমদার বাবু আইইউসিএন ওয়ার্ল্ড কনজারভেশন কংগ্রেসের তৃতীয় দিনে যোগ দিয়ে বলেন, সমুদ্রের ব্যাপারে আমরা অনেক উদাসীন এবং আমরা অনেক কিছুই বুঝতে পারিনা সমুদ্র আমাদের কী দিচ্ছে। আমাদের জীবনে এই যে জলবায়ু সব কিছু মিলিয়ে বিশাল একটা ভূমিকা পালন করছে , সেটা কিন্তু এখানে জোরেশোরে আলোচনা হচ্ছে।
মুকিত মজুমদার বাবু আরও বলেন, আলোচনায় একটি ব্যাপার উঠে এসেছে ৩০০ কোটি মানুষের জীবিকার মাধ্যম এই সমুদ্র। খাদ্য বলি, যোগাযোগ বলি, এমনকি আমরা যদি পর্যটনের কথা বলি সমুদ্র একটা বিশাল ভূমিকা পালন করে। সুতরাং সমুদ্রকে যদি ভালো রাখি আমরা তাহলে আমাদের সমুদ্র সম্পর্কিত যাবতীয় যাই আছে সেগুলো ভালো থাকবে। যত বেশি আমরা এ নিয়ে কথা বলবো, ততই কিন্তু আমরা সমুদ্রের ব্যাপারে সচেতন হব। তরুণ সমাজকে এগিয়ে আসতে হবে এই ধরনের কর্মকাণ্ডে এবং আমরা সবাই যখন হাত মেলাবো এক সাথে তখনই ভালো সমাধান আসবে।
মূল প্রতিবেদক: আলীম আল রাজী
তথ্য ও চিত্র: মেহেদী হাসান
প্রকৃতিবার্তা ডেস্ক 



















