পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ স্পষ্ট করে বলেছেন, সম্প্রতি কাশ্মীরে পর্যটকদের ওপর প্রাণঘাতী হামলার পর ‘ভারতের সামরিক অভিযান আসন্ন’। তিনি জানান, ভারতের বক্তব্য যতই আক্রমণাত্মক হয়ে উঠছে, পাকিস্তান সেনাবাহিনী ততই সরকারকে সম্ভাব্য ভারতীয় হামলার বিষয়ে সতর্ক করেছে। তবে হামলার আসন্ন মনে করার পেছনে কী কারণ রয়েছে, সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানাননি আসিফ।
খাজা আসিফ বলেন, পাকিস্তান সতর্ক অবস্থানে আছে এবং দেশের অস্তিত্বের ওপর সরাসরি হুমকি এলে তবেই পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারের কথা ভাবা হবে।
২৮ এপ্রিল বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘আমাদের মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকতে হবে, কারণ যুদ্ধের শঙ্কা রয়েছে। আগামী এক থেকে চার দিনের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হতে পারে—এমন আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যায় না।’
অবশ্য এই বক্তব্য দেয়ার পর আবার তা পাল্টে ফেলেছেন খাজা আসিফ। জিও নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আসিফ বলেন, তার বক্তব্য ভুলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমি বলেছিলাম পরবর্তী দুই-তিন দিন গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু এটা বলিনি যে যুদ্ধ নিশ্চিতভাবেই শুরু হবে।’
তিনি বলেছেন, ‘এতে কোনো সন্দেহ নেই’ যে বিপদ ঘনিয়ে আসছে। তবে, ‘আমি এটি যে অনিবার্য, আমি তেমন কিছু বলিনি।’
আসিফ বলেন, ‘যদি দেশের সার্বভৌমত্ব হুমকির সম্মুখীন হয় বা যুদ্ধ চাপানো হয়, যেকোনো যুদ্ধ পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে পাকিস্তান সম্পূর্ণ প্রস্তুত।’
তিনি উল্লেখ করেন, তিনি বলেছেন যে আগামী কয়েকদিনে যুদ্ধের আশঙ্কা রয়েছে, তবে এটি এড়ানোও সম্ভব।
প্রসঙ্গত, ভারতের কাশ্মীরে জঙ্গি হামলায় ২৬ জন পর্যটক নিহতের ঘটনায় পাকিস্তানের জড়িত থাকার অভিযোগ তুলেছে ভারত। ইতোমধ্যে দুই দেশই কূটনৈতিক-ভৌগলিকভাবে কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে। দুই পক্ষই আছে চরম উত্তেজনাকর পরিস্থিতিতে, সীমান্তে দুই দেশের সেনাদের গুলি ছোড়াও চলছে। যেকোনো সময় বড় মাত্রার যুদ্ধ বেঁধে যাওয়ার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না সামরিক বিশ্লেষকরা।